বিক্ষোভের আগুনে জ্বলছে পাকিস্তান। কট্টরপন্থী নেতার গ্রেফতারির পর পাকিস্তানে এখন প্রায় যুদ্ধ পরিস্থিতি। করাচি-সহ পাকিস্তানের একাধিক বড় শহরে শুরু হয়েছে তীব্র অশান্তি। সোমবার উগ্র ইসলামপন্থী তেহরিক-ই-লাব্বাইক পাকিস্তানের (TLP) সুপ্রিমো সাদ রিজভিকে গ্রেফতার করা হয়। তারপরেই তুঙ্গে উঠেছে বিক্ষোভ।
সংবাদসংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, উগ্র ইসলামপন্থী দলে নেতার গ্রেফতারের পর পরই বিক্ষোভ চরমে ওঠে। লাহোর, রাওয়ালপিন্ডি-সহ একাধিক শহরে জ্বলছে বিক্ষোভের আগুন। চলছে সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর, গাড়ি-বাসে ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে আগুন। হামলা করা হচ্ছে পুলিশকর্মী ও সেনার উপর।
ইমরান খান সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সামিল হয়েছে হাজার হাজার কট্টরপন্থী সমর্থক। পরিস্থিতি সামাল দিতে নেমেছে সেনাবাহিনী। কিন্তু, উলটোদিকে থেকে প্রতিবাদীরে সশস্ত্র বিক্ষোভের জেরে চাপে প্রশাসন।
সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে যাতে আন্দোলন না ছড়ায়, সেই উদ্দেশ্যে বেলা ১১টা থেকে বিকেল চারটে পর্যন্ত সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়া বন্ধ রাখার ঘোষণা করা হয়। বুধবার পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ রশিদ আহমেদ তেহরিখ-ই-লাব্বাইক পাকিস্তানকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন। এর পরেই আরও হিংসাত্মক হয়ে ওঠে বিক্ষোভকারীরা।
ঘটনার সূত্রপাত গত বছর পাকিস্তানে ফরাসি রাষ্ট্রদূতের একটি প্রকাশনাকে কেন্দ্র করে। সেখানে ইসলাম ধর্মের প্রধান প্রবর্তক মহম্মদের একটি কার্টুন ছবি ছাপানো হয়। এরপর থেকেই শুরু হয় প্রতিবাদ। ফরাসি রাষ্ট্রদূতের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তোলে তেহরিক-ই-লাব্বাইক পাকিস্তান। সময়ের সঙ্গে আরও বৃদ্ধি পায় বিক্ষোভের আঁচ।
গত নভেম্বরে তেহরিক-ই-লাব্বাইক পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনা করে ইমরান খান সরকার। ২০২১-এর ফেব্রুয়ারিতে ফরাসি রাষ্ট্রদূতকে ফিরে যেতে বলা হবে বলে আশ্বাস দেয় ইমরান খান সরকার। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে তা না হওয়ায় আবারও বাড়ে বিক্ষোভ। আর দলটি নিশিদ্ধ ঘোষণার পর এবং সাদ রিজভি গ্রেফতারের পর চরমে ওঠে অশান্তি।