আজ তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণা করা হয়েছে সাকেত গোখলের। মনোনীত প্রার্থীর তালিকায় নিজের নাম দেখার পরই দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানান সাকেত। তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও'ব্রায়েনকেও ধন্যবাদ জানান তিনি। একটি দীর্ঘ টুইটে নিজেকে 'মধ্যবিত্তি' বলে আখ্যা দেন সাকেত। পাশাপাশি তিনি দাবি করেন, তিনি 'অরাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ড'-এর মানুষ। কে এই সাকেত? ২০২১ সালে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। আরটিআই কর্মী হিসেবেই তাঁর পরিচিতি। এককালে সাংবাদিকতাও করেছেন তিনি।
বিভিন্ন ইস্যুতে আরটিআই করে বিগত কয়েক বছর ধরে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে অনবরত তোপ দেগেছেন তিনি। আবার অনেক সময়ই তাঁর টুইটের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এরই মাঝে বিভিন্ন বিতর্কে জড়িয়েছেন সাকেত। ২০২২ সালে মৌরবী সেতু ভেঙে পড়ার ঘটনা নিয়ে একটি ভুয়ো টুইট করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল সাকেতকে। সেই মামলায় জামিন পাওয়ার পর একই মামলায় সেদিনই ফের তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এদিকে ২০২৩ সালে অর্থ তছরুপের মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করেছিল ইডি।
টুইট বার্তায় সাকেত লেখেন, 'আমি আমার নেতাদের কাছে খুবই কৃতজ্ঞ। তৃণমূল সভাপতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে রাজ্যসভার সদস্য হিসাবে নির্বাচনের প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন দিয়েছেন। আমি তাই তাঁদের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা জানাই। আমার প্রতি তাঁদের বিশ্বাসে আমি অভিভূত। একটি অরাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে আসা তরুণ মধ্যবিত্ত ছেলেকে এই সুযোগ দিয়েছেন তাঁরা। তাঁরাই আমার শক্তির উৎস। জনসেবার জন্য আমার অনুপ্রেরণা। কঠিনত সময়ে আমার ও আমার পরিবারের পাশে শক্ত স্তম্ভের মতো দাঁড়িয়েছেন তাঁরা।'
এদিকে ডেরেকের প্রতি নিজের কৃতজ্ঞতা জানান সাকেত। টুইট বার্তায় তিনি লেখেন, 'তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েন আমার পরামর্শদাতা এবং অভিভাবক। তাঁর কাছেও আমি কৃতজ্ঞ। কারণ আজ রাজনীতি সম্পর্কে আমি যতটুকু জানি,তা আমাকে আক্ষরিক অর্থে শিখিয়েছেন তিনি। জীবনের প্রতিটি ধাপে আমার পথপ্রদর্শক হিসেবে কাজ করেছেন তিনি। আমি যে সাংসদ হিসাবে আমার দায়িত্ব পালন করতে পারব, সেই আত্মবিশ্বাসটুকু তিনি আমাকে জুগিয়েছেন।'