শুক্রবার নেপাল পুলিশের গুলিতে এক ভারতীয় নিহত ও চারজন আহত হন বিহারেরে সীতামারহির। একজনকে আটকও করে নেপাল পুলিশ। শনিবার যদিও তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। সীমান্ত পেরিয়ে ভারত ফিরে নিজের দুর্দশার কথা জানালেন তিনি।
লগন কিশোর সংবাদসংস্থা এএনআইকে জানিয়েছেন যে তিনি ও তার ছেলে সীমান্তে গিয়েছিলে তাঁর ছেলের বউয়ের সঙ্গে দেখা করতে, যিনি নেপালি নাগরিক। আচমকাই নিরাপত্তারক্ষীরা এসে তাঁর ছেলেকে ধাক্কা মারে। তিনি বাধা দিতে গেলে তাঁকে রুঢ় ভাষায় কথা বলে চুপ করিয়ে দেওয়া হয়। এরপর আরও কয়েকজন নিরাপত্তাকর্মী এসে শূন্যে গুলি চালাতে শুরু করে, বলে জানান লগন।
সেই সময় ভয় তাঁরা পালাতে গেলে তাঁকে আটক করা হয়, রাইফেলের বাঁট দিয়ে মেরে নেপালের সংগ্রমপুরে নিয়ে যাওয়া হয় বলেই অভিযোগ লগনের। পুরো ঘটনায় তলপেটে গুলি লেগে মারা যান বিকেশ যাদব নামের এক যুবক। আহত হয়েছেন উদয় ঠাকুর ও উমেশ রাম নামের দুই তরুণ।
লগন কিশোর জানিয়েছেন যে নেপালি পুলিশ তাঁকে জোর করেছিল এটা বলিয়ে নিতে যে তাঁকে নেপাল থেকেই ধরে আনা হয়েছে। তিনি তখন তাঁদের বলেন যে প্রাণ গেলেও আমি এটাই বলব যে আমি ভারত থেকে এসেছি।
নেপাল-ভারত সীমান্ত পাহারা দেয় সীমান্ত সুরক্ষা বল। এসএসবি-র ডিজি গতকাল জানিয়েছিলেন যে ঘটনাটি নেপাল সীমান্তে প্রায় দেড় কিলোমিটার ভিতরে এসেছে। স্থানীয় গোলোযোগ থেকেই এই বিপত্তি বলেই তিনি জানিয়েছেন। করোনার জেরে সীমান্ত বন্ধ রেখেছে নেপাল। তারপর থেকে এই নিয়ে তৃতীয়বার অস্থিরতা হল এই অঞ্চলে। তবে প্রাণহানির ঘটনা এই প্রথম।