বিতর্কের মুখে হৃতিক রোশনের বিজ্ঞাপন চালানো হচ্ছে না বলে দাবি করল জোম্যাটো। সেইসঙ্গে ফুড ডেলিভারি সংস্থার তরফে দাবি করা হল, বিজ্ঞাপনে যে ‘মহাকাল’-র উল্লেখ করা হয়েছে, তা আদতে মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়িনীর একটি রেস্তোরাঁ। শ্রী মহাকালেশ্বর মন্দিরের কথা বলা হয়নি।
‘হিন্দুস্তান টাইমস’-র প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে জ্যোমাটোর তরফে একটি বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, উজ্জয়িনীর মহাকাল রেস্তোরাঁকে বিজ্ঞাপনে ‘মহাকাল' হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'উজ্জয়িনীর নির্দিষ্ট পিন কোডে হৃতিক রোশন অভিনীত বিজ্ঞাপন চালানো হয়েছিল। তাতে মহাকাল রেস্তোরাঁর থালির কথা বলা হয়েছিল এবং পবিত্র শ্রী মহাকালেশ্বর মন্দিরের কথা বলা হয়নি।'
সম্প্রতি জোম্যাটোর একটি বিজ্ঞাপন বয়কটের দাবি তোলেন শ্রী মহাকালেশ্বর মন্দিরের দুই পুরোহিত। তাঁরা দাবি করেন, অবিলম্বে জোম্যাটোর বিজ্ঞাপন তুলে নিতে হবে এবং ক্ষমা চাইতে হবে ফুড ডেলিভারি সংস্থাকে। বিষয়টি নিয়ে উজ্জ্বয়িনীর জেলাশাসক তথা মহাকালেশ্বর মন্দির ট্রাস্টের চেয়ারম্যান আশিস সিংয়ের দ্বারস্থ হন। তাঁরা দাবি করেন, জোম্যাটোর বিজ্ঞাপন বিভ্রান্তিকর। মন্দির থেকে বিনামূল্যে 'প্রসাদ' দেওয়া হয়। 'প্রসাদ' বিক্রি করা হয়।
আরও পড়ুন: বাবা দুর্ঘটনায় জখম, সংসার টানতে Zomato'র ডেলিভারি বয় সাত বছরের কিশোর
মহাকালেশ্বর মন্দিরের দুই পুরোহিত সরব হওয়ার মধ্যে টুইটার জোম্যাটোর বিরুদ্ধে ট্রেন্ড শুরু হয়। একটি হিন্দু সংগঠনের তরফে টুইটারে বলা হয়, '#মহাকালের অপমান করেছে জোম্যাটো। বিজ্ঞাপনে হৃতিক রোশন বলেন যে থালি খেতে ইচ্ছা করছিল, মহাকাল থেকে আনিয়ে নিলাম। মহাকাল কোনও চাকর নন যে যাঁরা খাবার চাইবেন, তাঁদের ডেলিভারি দিয়ে আসবেন। তিনি ভগবান। তাঁর পুজো করা হয়। একইরকম সাহস দেখিয়ে অন্য ধর্মের ভগবানকে অপমান করতে পারত জোম্যাটো?'
সেই বিতর্কের মধ্যে জোম্যাটোর তরফে দাবি করা হয়, সারাদেশে একটি বিজ্ঞাপন ক্যাম্পেন চালানো হচ্ছিল। তাতে প্রতিটি শহরের জনপ্রিয় রেস্তোরাঁ এবং জনপ্রিয় খাবার বেছে নেওয়া হয়েছিল। উজ্জ্বয়িনীর জন্য মহাকাল রেস্তোরাঁ বেছে নেওয়া হয়েছিল। সেইসঙ্গে জোম্যাটোর তরফে বলা হয়েছে, 'আমরা উজ্জ্বয়িনীর মানুষের ভাবাবেগেকে সম্মান করি এবং যে বিজ্ঞাপন বিতর্ক, সেই বিজ্ঞাপন চলছে না। আমরা আন্তরিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থী এবং কারও বিশ্বাস ও ভাবাবেগে আঘাতের কোনও উদ্দেশ্য কখনও ছিল না আমাদের।'