West Bengal Govt Scolarship: পঞ্চায়েত ভোটের দামামা বেজে গিয়েছে। রক্ত ঝরতে শুরু করে দিয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায়। এরই মধ্যে আদালতের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, সিভিক ভলান্টিয়ার বা চুক্তি ভিত্তিক কাউকে ভোটের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োগ করা যাবে না। এরই মাঝে এবার বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন শুভেন্দু অধিকারী।
1/5 এর আগে শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেছিলেন যে ভোটের ময়দানে পুলিশের পোশাক পরিয়ে সিভিক ভলান্টিয়ারদের নামানোর পরিকল্পনা করছে রাজ্য সরকার। এরই মাঝে অবশ্য কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দেয় আদালত। তা নিয়েও কম জলঘোলা হয়নি। এই সবের ফাঁকেই এবার সরকার সিভিক ভলান্টিয়ারদের জন্য একটি বড় ঘোষণা করে। যা নিয়ে এবার বিস্ফোরক শুভেন্দু অধিকারী।
2/5 সম্প্রতি সরকারের তরফে হোম গার্ড, সিভিক ভলান্টিয়ার এবং চুক্তি ভিত্তিক উপকূলরক্ষীদের সন্তানদের জন্য স্কলারশিপ চালু করা হয়েছে। আর তাই নিয়ে তোপ দেগেছেন শুভেন্দু। এক দীর্ঘ টুইটে এই নিয়ে শুভেন্দু লেখেন, 'এতদিন ধরে হোমগার্ড, সিভিক ভলান্টিয়ার, চুক্তি ভিত্তিক উপকীলরক্ষী, ভিলেজ পুলিশ, এনভিএফ-দের উপেক্ষা করে এসেছে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ এবং রাজ্য সরকার। এখন তাদের হাতে অল্প কিছু তুলে দিয়ে তাদের আনুগত্য কিনতে চাইছে সরকার।'
3/5 শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেন, সরকার এই নয়া স্কলারশিপের ঘোষণা করে আদর্শ আচরণ বিধি লঙ্ঘন করেছে। উল্লেখ্য, হোমগার্ড, সিভিক ভলান্টিয়ার, চুক্তি ভিত্তিক উপকীলরক্ষী, ভিলেজ পুলিশ, এনভিএফ-এর কোনও কর্মীর সন্তান যদি মাধ্যমিক বা উচ্চমাধঅযমিকে ভালো ফল করে থাকে, তাহলে তাদের বৃত্তি দেওয়া হবে। এই মর্মে ফর্ম বিলি করছে রাজ্য পুলিশ। তা নিয়েই আপত্তি জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।
4/5 সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ শানিয়ে শুভেন্দু টুইট বার্তায় লেখেন, 'আপনি পুলিশকে তাদের ন্যায্য ৩৬ শতাংশ ডিএ থেকে বঞ্চিত করেছেন। আপনি এই সব চুক্তি ভিত্তিক পদ তৈরি করে কর্মপ্রার্থীদের সঙ্গে বৈষম্য করেছেন। কম বেতনে যাতে এক কাজ করানো যায়, তার জন্যই এই কাজ করেছেন আপনি। তাদের কম বেতন দিয়েও স্থায়ী কর্মীদের মতো দায়িত্ববোধের আশা করা হয় এই কর্মীদের থেকে।'
5/5 শুভেন্দু প্রশ্ন তোলেন, যদি রাজ্য সরকারের এই স্কালরশিপ দেওয়ার নেপথ্যে সদিচ্ছা থাকত, তাহলে আদর্শ আচরণ বিধি কার্যকর হওয়ার আগেই কেন এটা ঘোষণা করা হল না? এদিকে তিনি অভিযোগ করেন, রাজ্য নির্বাচন কমিশনার এই প্রেক্ষিতে চোখ বন্ধই রাখবেন। শুভেন্দু অভিযোগ করেন, মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি নিজের সীমাহীন আনুগত্য দেখাতেই এই বিষয়টি থেকে চোখ ঘুরিয়ে নেবেন নির্বাচন কমিশনার।