সোমবার ডিএ আন্দোলনের ৩৭৫তম দিন। ৩৭৪তম দিন, অর্থাৎ রবিবার ডিএ আন্দোলনের মঞ্চ খোলা হয়। তবে আন্দোলন এখনও জীবিত। এই আবহে এবার নবান্নের দোরগোড়ায় আন্দোলনকে নিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন ডিএ আন্দোলনকারীরা।
1/5 রবিবার সকালে ডিএ আন্দোলনকারীদের মঞ্চ খোলা শুরু হয়েছিল। আন্দোলনতর সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের সরকারি কর্মচারীদের অভিযোগ রাজ্য সরকার চক্রান্ত করে ডেকরেটার্সকে দিয়ে মঞ্চ খুলে দিচ্ছে। অবশ্য এর আগে শনিবার বিকালে সেনার তরফে এক প্রতিনিধি দল এসে আন্দোলকারীদের সঙ্গে কথা বলেছিল এবং তাদের ধরনা তুলতে বলেছিলেন। সঙ্গে আন্দোলনকারীদের নোটিশও ধরিয়েছিলেন সেনা আধিকারিকরা।
2/5 এই আবহে ডিএ আন্দোলনকারীদের অন্যতম 'মুখ' তথা যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ অভিযোগ করেন, মুখ্যমন্ত্রীই কলকাঠি নেড়ে তাঁদের আন্দোলনের মঞ্চ খুলিয়েছেন। কলকাতা পুলিশের কিছু আধিকারিক সেনাকে দিয়ে এই কাজ করিয়েছে বলে তাঁর দাবি। তাঁর আরও দাবি, শনিবার যখন সেনা কর্তারা এসেছিলেন, তখন থেকেই কিছু পুলিশ ডিএ আন্দোলনের মঞ্চের আশপাশে ঘোরাফেরা শুরু করেছিলেন।
3/5 তবে ডিএ আন্দোলনকারীদের স্পষ্ট বার্তা, এ ভাবে আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না। আন্দোলন চলবে। ভাস্কর ঘোষ এক ডিগ্রি পারদ চড়িয়ে আবার বলেন, 'রাজ্য সরকার বেশি বাড়াবাড়ি করলে এখান থেকে অনশন মঞ্চ তুলে নিয়ে নবান্নের সামনে গিয়ে বসব।'
4/5 এদিকে ডিএ আন্দোলনের মঞ্চ খোলার বিষয়ে আদালতে মামলা করা হবে বলে জানান যৌথ মঞ্চের সদস্যরা। ভাস্কর ঘোষের দাবি, কোন পুলিশ আধিকারিকরা গিয়ে সেনাকর্তাদের প্ররোচিত করেছেন সেই তথ্য আমাদের কাছে আছে। এদিকে সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তোপ দেগে ডিএ আন্দোলনকারীরা বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রী মানবিক মুখের কথা বলেন। তাঁর মানবিকতা কোথায়?'
5/5 উল্লেখ্য, বিগত ১৮ দিন ধরে ডিএ আন্দোলনকারীদের মধ্যে বেশ কয়েকজন আমরণ অনশনে বসেছেন। এর মধ্যে অনেকেই অনেকবার অসুস্থ হয়েছেন। এই আবহে মমতার উদ্দেশে ডিএ আন্দোলনকারীদের প্রশ্ন, 'মানবিক মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার পাঠাতে পারলেন না, তবে এই চক্রান্ত করতে পারলেন?'