রাজ্য সরকারকে চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) আন্দোলনকারীরা। তাঁরা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিলেন, কাজ না হলে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। কিন্তু তাঁদের দাবিপূরণ না হলে কোনওভাবেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের পাশে দাঁড়াবেন না। কী হুঁশিয়ারি দিলেন তাঁরা, তা দেখে নিন -
1/5 দীর্ঘদিন ধরেই দাবি জানিয়ে আসছিলেন। রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হওয়ার পরে ময়দানে নামলেন ডিএ আন্দোলনকারীরা। তাঁরা স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন না করা হলে পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোটকর্মীর কাজ করা হবে না।
2/5 সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ বলেন, ‘মানুষের বাঁচার অধিকার সংবিধান স্বীকৃত। কিন্তু নির্বাচন কমিশন এবার পঞ্চায়েত ভোটে ভোটকর্মী ও সাধারণ মানুষের সেই বাঁচার অধিকারকেই প্রশ্নের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। তাই সংগ্ৰামী যৌথ মঞ্চের নেতৃত্বে মানুষের ভোটের অধিকারকে সুরক্ষিত রাখতে ও ভোটকর্মীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর তত্ত্বাবধানে পঞ্চায়েত ভোটের দাবি করে ডেপুটেশন দেওয়া হল। এতে কাজ না হলে আন্দোলন ও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
3/5 বিষয়টি নিয়ে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আরও এক নেতার বক্তব্য, রাজ্য পুলিশের উপর আস্থা আছে। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের আমলে দেখা গিয়েছে যে পুলিশকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না। তাই পুলিশি নিরাপত্তায় ভরসা পাওয়া যাচ্ছে না।
4/5 তারইমধ্যে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে একটি নয়া কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে বলা হয়েছে, '২০১৩ সাল এবং ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটে কাজ করতে যে রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা আক্রান্ত হয়েছিলেন এবং এফআইআর দায়ের করেছিলেন, তাঁরা মেল করুন।' সেইসঙ্গে একটি মেল আইডিও দেওয়া হয়েছে। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে এএনআই)
5/5 রাজ্যের নয়া নির্বাচন কমিশনার তথা রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যসচিব অবশ্য পঞ্চায়েত রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের উপর আস্থা রেখেছেন। ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার দিন তিনি জানান, রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা তো এই রাজ্যেরই কর্মচারী। তাই তাঁরা ভোটের ডিউটি করবেন বলেও আশাপ্রকাশ করেন রাজ্যের নয়া নির্বাচন কমিশনার। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে পিটিআই)