কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দিতে হবে। এই দাবি জানিয়ে এবার সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেই দেখা করলেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। এদিকে সাক্ষাতের সময় মুখ্যমন্ত্রীর হাতে উপহারও তুলে দেন সরকারি কর্মীরা। এদিকে ডিএ ইস্যু ছাড়াও নিজেদের আরও সমস্যার কথা মুখ্যমন্ত্রীর সামনে তুলে ধরেন সরকারি কর্মীরা।
1/6 একাধিক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, ভোটের পরে ডিএ বাড়তে পারে রাজ্য সরকারি কর্মীদের। এর আগে দুর্গাপুজোর সময় কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের ডিএ বেড়েছিল একলাফে ৪ শতাংশ। পরে একে একে একাধিক রাজ্য সেই পথে হেঁটে মহার্ঘ ভাতা বাড়িয়েছিল তাদের রাজ্যের সরকারি কর্মীদের। যদিও বেশ কিছু রাজ্যে সরকারি কর্মীদের পকেট ভরেনি সেই সময়। উল্লেখযোগ্য ভাবে সেই বঞ্চিতদের তালিকায় ছিলেন বাংলার সরকারি কর্মীরাও। তবে সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৪ শতাংশ ডিএ বৃদ্ধির ঘোষণা করেন।
2/6 তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ৪ শতাংশ ডিএ বৃদ্ধির ঘোষণা সন্তুষ্ট নন সরকারি কর্মীদের একটা বড় অংশ। এই আবহে সম্প্রতি নবান্নের সামনে ধরনাতেও বসেন সরকারি কর্মীরা। জানুয়ারিতে আরও বড় আকারে আন্দোলন করারও ডাক দিয়েছেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দিতে হবে। অবশ্য এই দাবি শুধু বাংলার সরকারি কর্মীদের নয়। অন্যান্য অনেক রাজ্যেও এই একই দাবি।
3/6 কয়েকদিন আগেই জানা গিয়েছিল, দেশের অধিকাংশ রাজ্যে ডিএ বৃদ্ধি হলেও ভোটের কারণে মধ্যপ্রদেশে সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধি আটকে গিয়েছিল। উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধি হয় এআইসিপিআই সূচক মেনেই। পশ্চিমবঙ্গ এবং কয়েকটি রাজ্য ছাড়া দেশের বাকি প্রায় সর্বত্রই কেন্দ্রীয় হারেই মেটানো হয় সরকারি কর্মীদের ডিএ। যদিও ভোটের কারণে বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশে ডিএ বৃদ্ধি সম্ভব হয়নি।
4/6 তবে রিপোর্টে দাবি করা হয়, ভোটের পর ডিএ বাড়তে পারে মধ্যপ্রদেশে। প্রসঙ্গত, আদর্শ আচরণবিধি কার্যকর থাকায় সেখানে ডিএ বাড়াতে পারেনি আগের শিবরাজ সিং চৌহানের সরকার। অবশ্য মধ্যপ্রদেশের রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ বৃদ্ধির জন্য নির্বাচন কমিশনের অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের তরফে সেই অনুমতি মেলেনি।
5/6 এই আবহে মধ্যপ্রদেশের নবনিযুক্ত মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদবের সঙ্গে দেখা করলেন সরকারি কর্মীদের প্রতিনিধি দল। মুখ্যমন্ত্রী সম্প্রতি নিজের শহর উজ্জয়িনীতে গিয়েছিলেন। সেখানেই সরকারি কর্মচারী ইউনিয়নের তরফ থেকে সাক্ষাৎ করা হয় মোহনের সঙ্গে। তাঁরা দাবি জানায়, কেন্দ্রীয় হারে ডিএ বাড়ানো হোক রাজ্যে। পাশাপাশি সরকারি কর্মীদের আরও সমস্যার কথা তাঁরা তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে।
6/6 কর্মচারী ইউনিয়নের জেলা সম্পাদক দিলীপ চৌহান জানান, জেলা সভাপতি মনোহর গিরির নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। মহিদপুর তহসিলের ব্লক সভাপতি বিষ্ণুকান্ত পাঞ্চালের আঁকা একটি ছবি উপহার দেওয়া হয় মোহন যাদবকে। মধ্যপ্রদেশে বর্তমানে ৪২ শতাংশ হারে ডিএ পাচ্ছেন সরকারি কর্মচারীরা। ৪ শতাংশ বেড়ে সেই ডিএ ৪৬ শতাংশ হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে।