বিগত জানুয়ারি মাসে শেষ সপ্তাহ থেকেই রাজ্যে শুরু হয়েছে ডিএ আন্দোলন। সেই আন্দোলনের ঝাঁঝ জিনকে দিন বেড়েছে। এদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পালটা আক্রমণ শানিয়েছেন সরকারি কর্মীদের। এই সবের মাঝেই ডিএ নিয়ে মমতাকে খোঁচা দিয়ে টুইট করলেন বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী।
1/5 প্রসঙ্গত, নয়া অর্থবর্ষ শুরুর আগেই ৩১ মার্চ রাতে বড় ঘোষণা করা হয় বাংলার প্রতিবেশী রাজ্যের তরফে। অসমের রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মুখে হাসি ফুটিয়ে সেরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডিএ বৃদ্ধির ঘোষণা করেন। অসম সরকার ঘোষণা করে, সরকারি কর্মচারী এবং পেনশনভোগীদের চার শতাংশ মহার্ঘ ভাতা বাড়ানো হয়েছে।
2/5 পশ্চিমবঙ্গে যেখানে ডিএ-র দাবিতে আন্দোলন করা সরকারি কর্মীদের 'চোর-ডাকাত' বলে আখ্যা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা, সেখানে প্রতিবেশী অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা টুইট বার্তায় লেখেন, 'আমাদের সরকার তার কর্মচারীদের কথা চিন্তা করে এবং তাদের যত্ন নেয়। আমি এটা ঘোষণা করতে পেরে আনন্দিত যে রাজ্য সরকারি কর্মচারী, পেনশনভোগী এবং অল ইন্ডিয়া সার্ভিস অফিসারদের জন্য মহার্ঘ ভাতা ৪ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে। এর ফলে ডিএ-র হার ৪২ শতাংশ হল।'
3/5 অসম সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, ৪ শতাংশ ডিএ বৃদ্ধি ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারও ডিএ বৃদ্ধি করে ৪২ শতাংশ করেছে। অল ইন্ডিয়া কনজিউমার প্রাইস ইন্ডেক্সের সূচক অনুযায়ী এই ডিএ বৃদ্ধি করা হয়েছে। তবে পশ্চিমবঙ্গে ডিএ বৃদ্ধি হয়েছে নামমাত্র।
4/5 এই নিয়ে শুভেন্দু টুইট করে লেখেন, 'দুঃখজনক যে, আমাদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সরকার সরকারি কর্মীদের চোর, ডাকাত বলে সম্বোধন করেন। অন্য দিকে, আমি অসমের মুখ্যমন্ত্রীকে গেরুয়া অভিনন্দন জানাচ্ছি। তিনি সরকারি কর্মচারীদের ডিএ ৪ শতাংশ হারে বাড়িয়ে তা কেন্দ্রের ডিএ-র হারে সমান করে দিয়েছেন। এগিয়ে বাংলা, না বঞ্চিত বাংলা?'
5/5 প্রসঙ্গত, গত ফেব্রুয়ারিতে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি বাজেটে ৩ শতাংশ ডিএ বৃদ্ধির কথা ঘোষণা কর হয়েছিল। বর্তমানে দেশের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে সর্বনিম্ন হারে ডিএ প্রদান করা হয়। বাংলার আন্দোলনরত সরকারি কর্মচারীদের বক্তব্য, এই পে কমিশনের প্রথম থেকেই সরকার ৬ শতাংশ ডিএ বলে ঘোষণা করে আসছে, সেটা মিথ্যা। সরকার এইচআর-এর টাকা ১৫ শতাংশ থেকে ৩ শতাংশ কমিয়ে ১২ করেছে। সেটাই ডিএ বলে চালাচ্ছে। ওটা আসলে ডিএ নয়। সরকারি কর্মীদের অভিযোগ, তাঁরা কোনও ডিএ পাচ্ছিলেন না। এখন ৩ শতাংশ ঘোষণা করল। তাঁরা ৩৯ শতাংশ ডিএ চাইছেন।