গত অক্টোবরে, দুর্গাপুজোর সময়, কেন্দ্রীয় সরকার তার কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা বাড়িয়েছিল ৪ শতাংশ। এই ঘোষণার পর কর্মচারীদের ভাতা এখন ৪২% থেকে বেড়ে ৪৬% হয়েছে। আর আগামী বছর কেন্দ্রীয় কর্মীদের ডিএ বেড়ে ৫০ শতাংশ ছুঁলেই বাড়বে বাড়ি ভাড়া ভাতাও। জানুন বিস্তারিত...
1/5 নিয়ম অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের হাউজ রেন্ট অ্যালাউন্সে সংশোধন করা হয় মহার্ঘ ভাতার ভিত্তিতে। বর্তমানে ২৭, ১৮, ৯ শতাংশ হারে এইচআরএ পান সরকারি কর্মচারীরা। গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, বাড়ি ভাড়া ভাতার পরবর্তী সংশোধনীতে সর্বোচ্চ ৩ শতাংশ বৃদ্ধি হতে পারে। সর্বাধিক এইচআরএ হার ২৭ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ করা হতে পারে। যাদের ভাতা ১৮ শতাংশ তারা ২০ শতাংশ হারে এইচআরএ পাবেন। এবং যাদের এইচআরএ ৯ শতাংশ থেকে বেড়ে দশ শতাংশ হবে।
2/5 উল্লেখ্য, এইচআর-এর ক্ষেত্রে তিনটি ভাগে শহরগুলিকে ভাগ করা হয়েছে। এই ক্যাটেগোরির নিরিখে এইচআরএ দেওয়া হয়। X ক্যাটাগরির শহরের বাসিন্দা কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের জন্য ২৭ শতাংশ এইচআরএ, Y ক্যাটাগরির জন্য ১৮ শতাংশ ও Z ক্যাটেগোরির জন্য ৯ শতাংশ এইচআরএ দেওয়া হয়ে থাকে।
3/5 এদিকে আগামী বছরে লোকসভা ভোটের আগেই ডিএ বাড়তে পারে সরকারি কর্মীদের। এমনটাই জানা গিয়েছে একটি রিপোর্টে। এর আগে দুর্গাপুজোর সময় কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের ডিএ বেড়েছিল একলাফে ৪ শতাংশ। পরে একে একে একাধিক রাজ্য সেই পথে হেঁটে মহার্ঘ ভাতা বাড়িয়েছিল তাদের রাজ্যের সরকারি কর্মীদেরও। তবে বাংলার সরকারি কর্মীদের ভাগ্য খোলেনি তখন। তবে বড়দিনের প্রাক্কালে রাজ্যের কর্মীদের ৪ শতাংশ ডিএ বৃদ্ধির ঘোষণা করেন মমতা।
4/5 ল্লেখ্য, বছরে দু'বার করে ডিএ সংশোধন করা হয় সপ্তম বেতন কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী। এই পরিস্থিতিতে গত জুন মাস থেকে কার্যকর হয়েছে কেন্দ্রীয় কর্মচারীদের বর্ধিত ডিএ। যদিও সেই ঘোষণা হয়েছিল দুর্গাপুজোর সময়। আর এবার জানুয়ারি থেকে ফের ডিএ বাড়তে চলেছে বলে জানা গিয়েছে। সপ্তম বেতন কমিশন অনুসারে জানুয়রিতে ডিএ সংশোধন হওয়ার কথা। এই আবহে লোকসভা ভোটের আগে সেই বর্ধিত ডিএ ঘোষণা করা হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে।
5/5 এবারে কত শতাংশ বাড় পারে ডিএ? রিপোর্টে দাবি করা হচ্ছে, এবারে মহার্ঘ ভাতা ফের ৪ থেকে ৫ শতাংশ হারে বাড়তে পারে। লোকসভা ভোটের আগেই এই সংক্রান্ত ঘোষণা হতে পারে। আর তা কার্যকর হতে পারে জানুয়ারি থেকে। এদিকে বিভিন্ন সরকারি কর্মীরা এবার অষ্টম বেতন কমিশনের দাবি তুলেছেন। এই নিয়ে কলকাতায় ইতিমধ্যেই বৈঠক করেন সর্বভারতীয় রাজ্য সরকারি কর্মী সংগঠনের প্রতিনিধিরা। রেল কর্মীরা প্রধানমন্ত্রীকে এই নিয়ে চিঠিও লিখেছেন।