বাংলা নিউজ >
ছবিঘর > 8th Pay Commission Meeting in Kolkata: বাকি ডিএ, এরই মাঝে রাজ্যে অষ্টম পে কমিশন! কলকাতায় নেওয়া হতে পারে বড় সিদ্ধান্ত
8th Pay Commission Meeting in Kolkata: বাকি ডিএ, এরই মাঝে রাজ্যে অষ্টম পে কমিশন! কলকাতায় নেওয়া হতে পারে বড় সিদ্ধান্ত Updated: 24 Dec 2023, 03:12 PM IST Abhijit Chowdhury আগামী ২৮ থেকে ৩০ ডিসেম্বর কলকাতায় অনুষ্ঠিত হতে চলেছে সর্বভারতীয় রাজ্য সরকারি কর্মীচারী ফেডারেশনের সাধারণ সভার বৈঠক। উল্লেখ্য, এই বৈঠকে অষ্টম বেতন কমিশন গঠন এবং পুরনো পেনশন কমিশন ফিরিয়ে আনার দাবি উঠতে চলেছে বলে জানা গিয়েছে। এই আবহে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টির লক্ষ্যে নেওয়া হতে পারে বড় সিদ্ধান্ত। 1/8 ফেডারেশনের সভাপতি সুভাষ লাম্বা জানিয়েছেন, সমস্ত রাজ্য থেকে প্রায় ৬০০ জন প্রতিনিধি সাধারণ পরিষদের সভায় অংশ নেবেন। তিনি সরকারি কর্মচারীদের পদোন্নতিতে বিভাগীয় পরীক্ষা, অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে স্কিল এমপ্লয়মেন্ট কর্পোরেশনে নিবন্ধিত চুক্তিবদ্ধ কর্মচারীদের বেতন না দেওয়া এবং কেন্দ্রীয় সরকারের মতো হাউস রেন্ট অ্যালাউন্সের (এইচআরএ) স্ল্যাব পরিবর্তন না করার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান। স্পষ্ট ভাষায় তিনি বলেন, 'কর্মচারী বিরোধী নীতি মেনে নেওয়া যায় না।' এদিকে বৈঠকে অষ্টম বেতন কমিশন এবং ওপিএস নিয়ে দাবি তোলা হবে বলে জানান তিনি। 2/8 দুর্গাপুজোর আগেই সপ্তম বেতন কিশন অনুযায়ী ডিএ বেড়েছে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের। আর কয়েক মাস পরেই আরও এক দফায় বাড়তে পারে সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা। এরই মাঝে উঠেছে বেতন কাঠামো পরিবর্তনের দাবি। উল্লেখ্য, গত ২০১৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে দেশে কার্যকর হয়েছিল সপ্তম বেতন কমিশন। সেই অনুযায়ী, বর্তমানে সরকারি কর্মীদের ন্যূনতম মাসিক বেতন ১৮ হাজার টাকা। এর আগে দুর্গাপুজোর সময়কালে এর আগে কর্মীদের চার শতাংশ ডিএ বাড়ানো হয়। ২০২৩ সালের ১ জুলাই থেকে কার্যকর করা হয়েছে নয়া ডিএ। বর্তমানে তাদের ডিএ বেড়ে ৪৬ শতাংশ হয়েছে। 3/8 এদিকে রিপোর্ট অনুযায়ী, আগামী বছরের লোকসভা ভোটের আগে আরও এক দফায় ডিএ বাড়তে পারে সরকারি কর্মীদের। এবারে কত শতাংশ বাড় পারে ডিএ? রিপোর্ট বলছে, ৪ থেকে ৫ শতাংশ হারে ডিএ বাড়তে পারে আগামী বছর। এদিকে মহার্ঘ ভাতা ৫০ শতাংশ ছুঁয়ে ফেললে তা মূল বেতনের সাথে যুক্ত হয়ে যেতে পারে বলে দাবি করা হচ্ছে। এদিকে রিপোর্ট অনুযায়ী, ডিএ বাড়লে হাউজ রেন্ট অ্যালউয়েন্স এবং ট্রাভেল অ্যালউয়েন্সও বাড়তে পারে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের। 4/8 এদিকে বিগত বেশ কয়েক মাস ধরে জাতীয় পেনশন স্কিম এবং পুরোনো পেনশন ব্যবস্থা নিয়ে রাজনীতি চলছে দেশে। বহু ক্ষেত্রেই সরকারি কর্মীরা পুরনো ব্যবস্থা চালু করার দাবি করেছে। কিন্তু নতুন পেনশন স্কিম নিয়ে কেন আপত্তি সরকারি কর্মীদের? কেন এত আন্দোলন, বিক্ষোভ, প্রতিবাদ? পুরনো আর নতুন পেনশন স্কিমের পার্থক্য কোথায়? সরকারি কর্মীদের বক্তব্য, এনপিএস-এর অধীনে অবসর গ্রহণের পরে তাদের ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তিত তারা। 5/8 এনপিএস বনাম ওপিএস: দুই পেনশন নীতির ফারাক কোথায়? কত টাকা জমানো হয়েছে, কত বছরে চাকরিতে যোগ দিয়েছেন, কী ধরনের বিনিয়োগ করা হয়েছে, বিনিয়োগ থেকে কত আয় হয়েছে - এই সমস্ত বিষয়গুলির উপর নয়া পেনশন প্রকল্প নির্ভর করে। সেখানে পুরনো ব্যবস্থায় শেষ পাওয়া বেতনের ৫০ শতাংশ পেনশন পাওয়া যায়। যা নির্ধারিত ছিল। সেইসঙ্গে অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাও মিলত এতে। 6/8 এদিকে নয়া পেনশন প্রকল্পের আওতায় নিজের কর্মজীবনে যে পরিমাণ অর্থ সঞ্চয় করেন কর্মচারীরা, অবসরের সময় সেটার ৬০ শতাংশ টাকা তোলা যায়। যে টাকা তুললে কর দিতে হয় না। বাকি ৪০ শতাংশ অ্যানুইটিতে বিনিয়োগ করা হয়। প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী, শেষ যে বেতন তুলেছিলেন সরকারি কর্মচারী, সেটার ৩৫ শতাংশের মতো পেনশন বাবদ পাওয়া যায়। তবে সেটা যে মিলবে, এমন কোনও নিশ্চয়তা নেই। কারণ পুরোটাই বাজারের উপর নির্ভর করে। 7/8 সরকারি কর্মীদের একাংশের বক্তব্য, পুরনো পেনশন প্রকল্পে কোনও ঝুঁকি নেই। নয়া পেনশন প্রকল্পে ঝুঁকি আছে। যদিও অপর অংশের বক্তব্য, ন্যাশনাল পেনশন স্কিম যে বাজার-নির্ভর, তা ঠিক। কিন্তু দীর্ঘকালীন ক্ষেত্রে তাতে বেশি লাভবান হবেন কর্মীরা। তবে ঝুঁকি নিতে নারাজ অধিকাংশ সরকারি কর্মী। এই আবহে একাধিক রাজ্যে পুরনো পেনশন প্রকল্প ফিরিয়ে আনার পক্ষে দাবি ক্রমশ জোরালো হচ্ছে। 8/8 এর আগে ২০০৩ পর্যন্ত বাজেট বরাদ্দ থেকে অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের পেনশন দিল সরকার। তবে বাজপেয়ী জমানায় চালু হয় ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেম। ২০০৪ সালের ১ এপ্রিল থেকে চালু হয় এনপিএস। এই নয়া ব্যবস্থায় সরকারের আর্থিক বোঝা হালকা হয়। প্রাথমিক ভাবে শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের ক্ষেত্রেই এটা প্রযোজ্য ছিল। পরবর্তীতে সব রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য তা প্রযোজ্য হয়। তবে বিগত কয়েক বছরে কিছু রাজ্যে নতুন করে চালু হয় ওপিএস।