ডার্বিতে কিছুটা হলেও সুবিধাজনক জায়গায় রয়েছে ইস্টবেঙ্গল। গোল করার বিচারে এগিয়ে থাকায়, ডার্বি ড্র করলেই শেষ চারের পৌঁছে যাবে তারা। অন্য দিকে জিততেই হবে মোহনবাগানকে। তাই কিছুটা চাপেই সবুজ মেরুন শিবির। যদিও এই পরিস্থিতিতে আত্মতুষ্টি চলে আসার একটা সম্ভাবনা থাকে। সেটাই ভাবাচ্ছে কুয়াদ্রাতকে।
1/5 সুপার কাপের ডার্বির আগে বেশ ভালো ছন্দেই রয়েছে ইস্টবেঙ্গল। সুপার কাপের গ্রুপ পর্বের প্রথম দু’ম্যাচে লাল-হলুদ বেশ ভালো ফুটবল খেলেছে। অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী মনে হয়েছে তাদের। ম্যাচে দাপট দেখাচ্ছেন তারা। তবে সমস্যা হচ্ছে, একটা সময়ের পর গা-ছাড়া ভাব দেখা যাচ্ছে ইস্টবেঙ্গল ফুটবলারদের মধ্যে। গ্রুপ লিগে নিজেদের শেষ ম্যাচে শ্রীনিধি ডেকানের বিরুদ্ধে তার জন্য গোলও হজম করতে হয়েছে।
2/5 অন্য সমস্যাটি হল গোল করার পর, পাল্টা গোল খেয়ে যাওয়া। যেটা কিন্তু ইস্টবেঙ্গলের বেশ বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। রক্ষণের মধ্যে বোঝাপাড়ার অভাবেই এটা হচ্ছে। ডার্বিতে কিন্তু এটা বড় সমস্যা হতে পারে। এই জায়গাটি শুধরোতে হবে ইস্টবেঙ্গলকে। ডার্বির ২দিন আগে বুধবার (১৭ জানুয়ারি) ইস্টবেঙ্গল ক্লোজড ডোর অনুশীলন করে। সেখানে কার্লেস কুয়াদ্রাত দলের এই ভুলত্রুটিগুলি আলাদা করে সকলের চোখের আড়ালে শুধরে দিয়েছেন কিনা, সেটা অবশ্য জানা যায়নি।
3/5 বর্তমান পরিস্থিতিতে অবশ্য কিছুটা সুবিধাজনক জায়গায় রয়েছে ইস্টবেঙ্গল। গোল করার বিচারে এগিয়ে থাকায়, ডার্বি ড্র করলেই শেষ চারের ছাড়পত্র সংগ্রহ করে ফেলবে তারা। অন্য দিকে জিততেই হবে মোহনবাগানকে। তাই কিছুটা চাপেই সবুজ মেরুন শিবির। যদিও এই পরিস্থিতিতে আত্মতুষ্টি চলে আসার একটা সম্ভাবনা থাকে। যা কোনও ভাবে হতে দিতে চান না কার্লেস কুয়াদ্রাত। পরপর দু'ম্যাচ খেলার পর চাপ কাটাতে ফুটবলারদের দু'দিন ছুটি দিয়েছিলেন।
4/5 ইস্টবেঙ্গলের দেশীয় ফুটবলারদের মধ্যে মহেশ নওরেম সিংহ ও লালচুংনুঙ্গা প্রথম থেকেই ভালো খেলছিলেন। সঙ্গে প্রভসুখন গিলের মতো ভাল গোলরক্ষক পেয়েছে তারা। নন্দকুমারও ভালো ফুটবলার। কুয়াদ্রাত দায়িত্ব নেওয়ার পরে, প্রথম ডার্বিতে নন্দের করা দুরন্ত গোলেই জিতেছিল ইস্টবেঙ্গল।
5/5 এই ভারতীয় ফুটবলারদের প্রতি ম্যাচে খেলিয়েছেন কুয়াদ্রাত। তাঁদের উপর ভরসা রেখেছেন। শৌভিক চক্রবর্তীকে ব্যবহার করেছেন রক্ষণের সামনে ব্লকার হিসেবে। এই পরিকল্পনা কাজে লেগেছে। সঙ্গে বিদেশিরা তো রয়েছেনই ভালো ছন্দে। মাঝমাঠে ভরসা দিচ্ছেন সউল ক্রেসপো ও বোরহা হেরেরা। ক্রেসপো সেট পিস থেকে বেশ ভালো। কর্নার বা ফ্রি কিকে ভয়ঙ্কর হতে পারেন। আর দলের অধিনায়ক ক্লেটন সিলভা, সত্যিই ফুল ফোটাচ্ছেন। অধিনায়কের মতো দায়িত্ব নিয়ে খেলছেন তিনি। খেলা তৈরি করার পাশাপাশি গোলটাও খুব ভালো চেনেন। ডান পা খুব ভালো চলে। সব মিলিয়ে লাল-হলুদ ডার্বিতে কী করেন, দেখার অপেক্ষায় সমর্থকেরা।