'পলাতক' খালিস্তানপন্থী স্বঘোষিত ধর্মগুরু অমৃতপাল সিং নিজের সেনা তৈরি করছিল বলে জানা গিয়েছে। নিষিদ্ধ খালিস্তান টাইগার ফোর্সের মতো 'আনন্দপুর খালসা ফোর্স' তৈরি করছিল সে। 'ওয়ারিস পঞ্জাব দে' সংগঠনের প্রধান মানব বোমা স্কোয়াডও তৈরি করছিল বলে জানা গিয়েছে।
1/5 জানা গিয়েছে, নিজের 'নেশামুক্তি কেন্দ্র' এবং এক গুরুদ্বারে অস্ত্র মজুত করছিল অমৃতপাল। সেখানে যুব সমাজকে খালিস্তানি বিচ্ছিনতাবাদের পাঠ পড়ানো হত। মজুত অস্ত্র সহকারে সেই যুবকদের 'আত্মঘাতী' হামলার জন্য তৈরি করছিল অমৃতপাল সিং। আর এই সবই অমৃতপাল করছিল পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর মদতে।
2/5 কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে ইতিমধ্যেই জানা গিয়েছে, 'ওয়ারিস পাঞ্জাব দে' গোষ্ঠীর নেতা অমৃতপাল সিং একজন 'আইএসআই এজেন্ট'। পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থা তাকে ভারতে নিয়ে এসেছে খালিস্তানি বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন গড়ে তুলতে। দেশে সহিংসতা ছড়িয়ে দেওয়াই তার মূল উদ্দেশ্য।
3/5 গোয়েন্দা কর্তার কথয়, 'অমৃতপাল সিং একজন অনাবাসী ভারতীয়। সে দুবাইতে ট্রাক ড্রাইভার হিসাবে কাজ করেছিল। সে একজন আইএসআই এজেন্ট। সংযুক্ত আরব আমিরাতে থাকার সময় সে পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থা সংস্পর্শে এসেছিল। তাকে বলা হয়েছিল ধর্মের নামে নির্বোধ তরুণ শিখদের উদ্বুদ্ধ করতে। একটা বোঝাপড়া হয়েছিল যে আইএসআই টাকা খরচ করবে এবং খালিস্তানের নামে শিখদের উত্তেজিত করবে অমৃতপাল।'
4/5 জানা গিয়েছে, গতবছরই দুবাই থেকে ভারতে ফেরে অমৃতপাল। ফেব্রুয়ারি মাসে অমৃতপাল তাঁর সংগঠন 'ওয়ারিস পঞ্জাব দে'-র সদস্যদের নিয়ে অজনালা পুলিশ স্টেশনে সশস্ত্র আক্রমণ করেছিল। এই আবহে গত শনিবার তাকে ধরতে বিশাল অভিযান চালিয়েছিল পঞ্জাব পুলিশ। অভিযানের পরই ঘিরে ফেলা হয়েছে 'ওয়ারিস পঞ্জাব দে'-র প্রধানের গ্রাম জাল্লুখেরায়। কোনও রকমের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে অমৃতপাল সিংয়ের গ্রামে কড়া নজরদারি চালাচ্ছে পুলিশ।
5/5 জানা গিয়েছে, মৃত খালিস্তানি জঙ্গি দিলওয়ার সিংয়ের উদাহরণ তুলে ধরে যুব সমাজকে হাতে অস্ত্র তুলে নিতে উদ্বুদ্ধ করত অমৃতপাল সিং। উল্লেখ্য, এই দিলওয়ার আত্মঘাতী হামলা চালিয়ে পঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বেয়ান্ত সিংকে হত্যা করেছিল। উল্লেখযোগ্য ভাবে, সম্প্রতি অমৃতপাল হুঁশিয়ারি দিয়েছিল, খালিস্তানি আন্দোলনকে দমানোর চেষ্টা করা হলে ইন্দিরা গান্ধীর মতো পরিণতি হবে অমিত শাহের।