2/4 ২০১৭ সালে প্রেমশ্রীর বিয়ে হয়েছিল ২৫ বছর বয়সী সত্যবীরের সঙ্গে। অভিযোগ, বিয়ের প্রথম থেকেই স্বামীকে পছন্দ ছিল না তাঁর। স্বামী খুবই কালো বলে ছিল অভিযোগ ছিল প্রেমশ্রীর। স্বামীর থেকে বার বার সে ডিভোর্সও চেয়েছিল। তবে তা শেষপর্যন্ত মেলেনি বলে জানা যায়। বিয়ে ঘিরে লেগে ছিল প্রতিনিয়ত ঝগড়া। প্রতীকী ছবি
3/4 স্বামীকে দেখে কোনও মতেই আকর্ষণ অনুভব না করায় সত্যবীরকে ঘুমন্ত অবস্থায় পুড়িয়ে মারে প্রেমশ্রী বলে অভিযোগ ছিল। সেই ঘটনা ২০১৯ সালের। জানা যায় ঘুমন্ত স্বামীর গায়ে পেট্রোল ঢেলে তাঁকে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। গুুরুর আহত অবস্থায় সত্যবীরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সেখানেই তিনি মারা যান। ঘটনায় অভিযোগের জেরে স্বামীকে হত্যার অভিযোগের মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন প্রেমশ্রী।
4/4 এদিকে, আহত অবস্থায় মোরাদাবাদ হাসপাতালে যখন সত্যবীর ভর্তি হন, তখন তিনি পুলিশকে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানান, ‘আমি আমার স্ত্রীকে ঘটনার আগের দিনই বাপের বাড়ি নিয়ে যাই। আমাপ শ্বশুরালয়ের সকলে জানান, আমার স্ত্রী পছন্দ করেন না আমাকে। পরদিন সকালেই আমি বাড়িতে ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় আমাকে পেট্রোল ঢেলে গায়ে আগুন লাগানো হয়।’ তাঁর এই বয়ানের ভিত্তি সহ বহু তথ্যপ্রমাণে কোর্টে প্রেমশ্রীকে দোষী হিসাবে সাব্যস্ত করা হয়। প্রেমশ্রী দোষী সাব্যস্ত হয়ে যাবজ্জীবন কারাবাসের সাজা পায়।