কয়েক সপ্তাহ আগেও তিনি ছিলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি। তবে এখন তিনি রাজনীতির ময়দানে নেমেছেন। তমলুক থেকে বিজেপি তাঁকে লোকসভা নির্বাচনের প্রার্থী করেছে। এহেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্য ঘিরেই জোর বিতর্ক রাজনৈতিক মহলে।
1/5 বিচারপতি থাকাকালীন শাসকদলের নেতাদের নিয়ে করা তাঁর মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক হয়েছিল বিস্তর। তবে রাজনীতির ময়দানে নেমে যেন আরও লাগামহীন ভাষায় তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণ করতে দেখা গেল কলকাতা হাই কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি তথা তমলুক লোকসভা আসনের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে। নির্বাচনী জনসভা থেকে 'আইনসিদ্ধ উত্তম-মধ্যম' দেওয়ার নিদান দিলেন অভিজিৎ।
2/5 রিপোর্ট অনুযায়ী, বুধবার রামনবমীর উৎসবে যোগ দিতে নন্দীগ্রামে গিয়েছিলেন প্রাক্তন বিচারপতি তথা বিজেপি নেতা অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেখানেই তিনি বিজেপি কর্মীদের 'আইনসিদ্ধ উত্তম-মধ্যম'-এর বিষয়ে বলেন। এর আগে বিজেপি কর্মীদের ওপরে তৃণমূলের 'অত্যাচার' তুলে ধরে পালটা হামলার নিদান দেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। যা ঘিরে চরম বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
3/5 নন্দীগ্রামে ভোট প্রচারে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, 'দুর্নীতি, তোলাবাজির বিরুদ্ধে মানুষ জেগে উঠেছেন। প্রতিরোধ করার জন্য মানুষ জেগে উঠেছে। মনে রাখবেন, মানুষের আত্মরক্ষার অধিকার আছে। সেই আত্মরক্ষার অধিকার প্রয়োগ করতে গিয়ে, মানুষ যদি আপনাদের উত্তম-মধ্যম দেন, তাতে কোনও দোষ হবে না। কারণ আত্মরক্ষার অধিকার আইনে স্বীকৃত। ভারতীয় দণ্ডবিধিতে এটাকে বলা হয়েছে, রাইট টু প্রাইভেট ডিফেন্স।'
4/5 এদিকে স্বভাবতই প্রাক্তন এক বিচারপতির এহেন মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। তমলুকের তৃণমূল প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্য অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এই মন্তব্য প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, 'তিনি একসময় বিচারপতি ছিলেন। মানুষ তাঁকে শ্রদ্ধা করতেন। সিস্টেম যাতে আইনের পথে চলে, সেটাই তাঁর দায়িত্ব ছিল। আজ সেই ব্যক্তিই আইন হাতে তুলে নেওয়ার কথা বলছেন। আমার ভাবতে খারাপ লাগছে একজন প্রাক্তন বিচারপতি এই মন্তব্য করছেন।' (ছবি সৌজন্যে ফেসবুক)
5/5 এদিকে প্রাক্তন বিচারপতি তথা বিজেপি প্রার্থীর বক্তব্যকে কার্যত 'সমর্থন' করলে আইনজীবী তথা তমলুকে বামেদের প্রার্থী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, ‘আত্মরক্ষার অধিকার সকলেরই রয়েছে, তবে সেটা একপাক্ষিক নয়। সায়ন বলেন, যারা তৃণমূলের ঝান্ডা হাতে সিপিআইএমকে খেদিয়ে এখন বিজেপির ঝান্ডার তলায় রয়েছে, তারাও যদি আক্রমণ করতে আসে, তাদের বিরুদ্ধেও আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে সবার।’ (ছবি সৌজন্যে ফেসবুক)