গত ২২ সেপ্টেম্বর চন্দ্রযান-৩ মিশনের ল্যান্ডার বিক্রম এবং রোভার প্রজ্ঞানের ‘ঘুম’ ভাঙবে বলে আশা করা হয়েছিল। তবে সেটা এখনও হয়নি। সেই পরিস্থিতিতে চাঁদের মাটিতে ল্যান্ডার এবং রোভারের ভবিষ্যৎ নিয়ে মুখ খুললেন ভারতীয় মহাকাশ সংস্থা ইসরোর প্রাক্তন চেয়ারম্যান।
1/6 চন্দ্রযান-৩ মিশনের ল্যান্ডার বিক্রম এবং রোভার প্রজ্ঞানকে ‘জাগিয়ে’ তোলার আর কোনও সম্ভাবনা নেই। দাবি করলেন ভারতীয় মহাকাশ সংস্থা ইসরোর প্রাক্তন চেয়্যারম্যান তথা স্পেস কমিশনের সদস্য এ এস কিরণ কুমার। যিনি চন্দ্রযান-৩ মিশনের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন। অর্থাৎ চন্দ্রযান-৩ মিশন শেষ হয়ে গিয়েছে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। (ফাইল ছবি, সৌজন্য ইসরো)
2/6 সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভারতীয় মহাকাশ সংস্থা ইসরোর প্রাক্তন চেয়্যারম্যান তথা স্পেস কমিশনের সদস্য বলেছেন যে ‘না, না, (ল্যান্ডার বিক্রম এবং রোভার প্রজ্ঞানকে) জাগিয়ে তোলার আর কোনও সম্ভাবনা নেই। যদি জাগিয়ে তোলা যেত, তাহলে এতক্ষণে সেটা হয়ে যেত। (এখন) আর কোনও সম্ভাবনা নেই।’ (ফাইল ছবি, সৌজন্যে পিটিআই)
3/6 গত ২৩ অগস্ট চাঁদের মাটিতে অবতরণ করেছিল ল্যান্ডার বিক্রম। যে ল্যান্ডারের মধ্যে ছিল রোভার প্রজ্ঞান। তারপর থেকে রোভার চাঁদের মাটিতে একাধিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়েছে। যা যা পরিকল্পনা করা হয়েছিল, যাবতীয় কাজ করেছিল। পরবর্তীতে ২ সেপ্টেম্বর রোভার প্রজ্ঞানকে ‘ঘুম’ পাড়িয়ে দিয়েছিল ইসরো। দু'দিন পরে ল্যান্ডারকেও ‘ঘুম’ পাড়ানো হয়েছিল। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে পিটিআই)
4/6 সেইসময় ইসরোর তরফে জানানো হয়েছিল যে চাঁদে যখন ফের সূর্যোদয় হবে, তখন ল্যান্ডার ও রোভার জেগে উঠবে বলে আশাপ্রকাশ করা হচ্ছে। তবে চাঁদে সূর্যোদয় হলেও ল্যান্ডার এবং রোভারের ‘ঘুম’ ভাঙেনি। বিজ্ঞানীদের মতে, চাঁদে যখন সূর্যাস্ত হয়, তখন তাপমাত্রা হিমাঙ্কের ১৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি নেমে যায়। সেই ধাক্কা সামলানো অত্যন্ত কঠিন কাজ। (ফাইল ছবি)
5/6 তবে ইসরোর যা যা পরিকল্পনা ছিল, সেইসব কাজ আগেভাগেই সেরে ফেলেছে রোভার এবং বিক্রম। সেইসঙ্গে চন্দ্রযান-৩ মিশনের ফলে ইসরোর হাতে যা তথ্য এসেছে, তা অত্যন্ত কার্যকরী হবে বলে মত ভারতীয় মহাকাশ সংস্থা ইসরোর প্রাক্তন চেয়্যারম্যান তথা স্পেস কমিশনের সদস্যের। (ফাইল ছবি)
6/6 ভারতীয় মহাকাশ সংস্থা ইসরোর প্রাক্তন চেয়্যারম্যান বলেন, ‘বৃহত্তর ক্ষেত্রে বড়সড় সাফল্য মিলেছে। এমন একটি জায়গায় যাওয়া হয়েছে, যেখানে কেউ যেতে পারেননি। ওই অঞ্চলের বিভিন্ন তথ্য পাওয়া গিয়েছে। যা অত্যন্ত কার্যকরী তথ্য। পরবর্তী মিশনের ক্ষেত্রে তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে।’ (ফাইল ছবি)