বাংলা নিউজ >
ছবিঘর > Covid-19 Omicron BF.7: চিনা করোনা ঝড়ের ছায়া কি ভারতেও এসে পড়বে?
Covid-19 Omicron BF.7: চিনা করোনা ঝড়ের ছায়া কি ভারতেও এসে পড়বে? Updated: 23 Dec 2022, 11:42 AM IST Abhijit Chowdhury চিনের করোনা সংক্রমণের ঢেউ গোটা বিশ্বকে আতঙ্কিত করছে। প্রতিবেশী দেশের করোনা ঝড়ের আবহে ভারত ইতিমধ্যেই পদক্ষেপ করতে শুরু করেছে। সরকারি স্তরে তৎপরতা দেখা গিয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যেই সংসদে দেশের কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে বিবৃতি পেশ করেছেন। তবে চিনের করোনা ঢেউয়ের কারণে ভারতে বর্তমানে কতটা আতঙ্কের কারণ রয়েছে? 1/5 তথ্য বলছে, চিনের করোনা ঢেউ ভারতে সেভাবে প্রভাব ফেলবে না। চিনের মতো ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হবে না ভারতে। এর অন্যতম কারণ হল ভারতে উপলব্ধ কোভিড টিকার মান চিনের থেকে অনেকটাই ভালো। এদিকে ভারতে অনেক আগে থেকেই ওমিক্রন রয়েছে। এই আবহে চিনা নাগরিকদের থেকে ভারতীয়দের শরীরে এই ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি। ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভারতে সাপ্তাহিক কোভিড সংক্রমণের গড় মাত্র ১৩৯। ২০২০ সালের মার্চ মাসের পর থেকে এটাই সর্বনিম্ন সাপ্তাহিক গড়। দেশের অনেকেই করোনা টিকার তৃতীয় ডোজ নিয়ে নিয়েছে। অধিকাংশ প্রাপ্ত বয়স্ক কোভিডের টিকার দুটি ডোজ নিয়ে নিয়েছেন। 2/5 তথ্য বলছে, চিনের করোনা ঢেউ ভারতে সেভাবে প্রভাব ফেলবে না। চিনের মতো ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হবে না ভারতে। এর অন্যতম কারণ হল ভারতে উপলব্ধ কোভিড টিকার মান চিনের থেকে অনেকটাই ভালো। এদিকে ভারতে অনেক আগে থেকেই ওমিক্রন রয়েছে। এই আবহে চিনা নাগরিকদের থেকে ভারতীয়দের শরীরে এই ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি। ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভারতে সাপ্তাহিক কোভিড সংক্রমণের গড় মাত্র ১৩৯। ২০২০ সালের মার্চ মাসের পর থেকে এটাই সর্বনিম্ন সাপ্তাহিক গড়। দেশের অনেকেই করোনা টিকার তৃতীয় ডোজ নিয়ে নিয়েছে। অধিকাংশ প্রাপ্ত বয়স্ক কোভিডের টিকার দুটি ডোজ নিয়ে নিয়েছেন। 3/5 দেশের সব রাজ্যে বর্তমানে করোনার সাপ্তাহিক গড় গত এক মাসের তুলনায় ৩০ শতাংশ কম। দেশে বর্তমানে করোনা সংক্রমণের সাপ্তাহিক সর্বোচ্চ গড় কেরলে। সেখানে বর্তমানে গড়ে সপ্তাহে ৬৭ জন করোনা আক্রান্ত হচ্ছে। এই তালিকায় দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থানে রয়েছে মহারাষ্ট্র এবং কর্ণাটক। এই দুই রাজ্যে সংক্রমণের সাপ্তাহিক গড় যথাক্রমে ২২ এবং ১৯। 4/5 এদিকে ভারতে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের সময় মৃত্যুর হার কম ছিল। যেখানে প্রথম এবং দ্বিতীয় করোনা ঢেউয়ে দেশে মৃত্যুর হার যথাক্রমে ১.২৫ এবং ১.০৫ শতাংশ ছিল, সেখানে তৃতীয় ঢেউয়ে করোনার জেরে মৃত্যুর হার ছিল ০.৩৬ শতাংশ। এদিকে ২০২১ সালে দেশে করনোায় সর্বোচ্চ রোগী মারা গিয়েছিলেন। ২০২০ সালে যেখানে সরকারি ভাবে ১,৪৯,০৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল, সেখানে ২০২১ সালে করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছিলেন ৩,৩২,৫১০ জন। ২০২২ সালে সেই সংখ্যাটা ৫০,৪১০। 5/5 তবে এই সব পরিসংখ্যানের মধ্যে একটি আশঙ্কার বিষয় লুকিয়ে রয়েছে। তা হল দেশে করোনা পরীক্ষার হার উল্লেখযোগ্য ভাবে পড়ে গিয়েছে। গত সপ্তাহে দেশে গড়ে দৈনির ১,০৮,৩৫২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে পজিটিভিটি রেট ০.১৪ শতাংশ। এর আগে এত কম সংখ্য নমুনা পরীক্ষা হয়েছিল ২০২০ সালের মে মাসে। তখন অবশ্য পজিটিভিটি রেট ৫ শতাংশের ওপরে ছিল। এদিকে দেশের ৯৪ কোটি প্রাপ্ত বয়স্কের মধ্যে ৭১.৯ কোটি মানুষই এখনও বুস্টার ডোজ নেননি। এর অর্থ, দেশের ৬৬ শতাংশ প্রাপ্ত বয়স্ক নিজের করোনা টিকার শেষ ডোজ নিয়েছিলেন অন্তত ৬ মাস আগে, ৫৩ শতাংশ শেষ ডোজ নেন ৯ মাস আগে এবং ১১ শতাংশ মানুষ শেষ ডোজ নিয়েছেন ১ বছরেরও আগে।