কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে দু'দিনের জন্য রেড রোডে ধরনায় বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই আবহে এবার মুখ্যমন্ত্রীর বেতন কাটার দাবিতে সরব হলেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। তাঁদের বক্তব্য, এক যাত্রার পৃথক ফল কেন হবে? মুখ্যমন্ত্রী ধরনায় বসলে তাঁর বেতনও কাটতে হবে বলে দাবি উঠেছে।
1/5 এদিকে ধরনা মঞ্চ থেকে সরাসরি ডিএ আন্দোলনকারীদের আক্রমণ শানিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ডিএ আন্দোলনকারীদের 'চোর-ডাকাত' বলে আখ্যা দিয়েছিলেন মমতা। পাশাপাশি অভিযোগ করেছিলেন, ডিএ আন্দোলনকারীরা চিরকুটে চাকরি পেয়েছিলেন। এই আবহে মুখ্যমন্ত্রীর 'চোর-ডাকাত' মন্তব্যের প্রতিবাদে ৬ এপ্রিল কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন ডিএ আন্দোলনকারীরা।
2/5 এদিকে বাম কর্মী সংগঠন ও সংগ্রামী যৌথমঞ্চের তরফে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী যতই আক্রমণ শানান না কেন, হকের ডিএ-র দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নেবেন তাঁরা। আগামীতে আরও দু'দিন ধর্মঘটেরও ডাক দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের তরফে। আন্দোনরত সরকারি কর্মীদের সাফ কথা, ডিএ না মেটানো পর্যন্ত প্রতিবাদ চলবে।
3/5 এদিকে কোঅর্ডিনেশন কমিটি আগামী ৬ এপ্রিল ধরনায় বসবে দিল্লিতে। ১০ ও ১১ এপ্রিল দিল্লির যন্তরমন্তরে ধর্নায় বসবেন সংগ্রামী যৌথমঞ্চের এক হাজার জন্য সদস্য। প্রসঙ্গত, ১১ তারিখই ডিএ মামলার শুনানি হওয়ার কথা সুপ্রিম কোর্টে। এর আগেই অবশ্য ৬ এপ্রিল কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে কোঅর্ডিনেশন কমিটি এবং যৌথ মঞ্চ। ডিএ আন্দোলনকারীদের দাবি, ১০ মার্চের থেকেও বেশি সংখ্যক কর্মী ৬ এপ্রিলে তাঁদের প্রতিবাসে সামিল হবেন।
4/5 মঞ্চ থেকে ডিএ আন্দোলনকারীদের আক্রমণ শানিয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 'চোর-ডাকাত' বলে সরকারি কর্মীদের সম্বোধন করেছিলেন মমতা। তৃণমূল নেত্রীর এহেন মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেছেন সরকারি কর্মীরা। ২৯ মার্চ তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো বলেছিলেন, ‘প্রতিদিন আপনারা এখানে গিয়ে এই চাই, ওখানে গিয়ে ওই চাই করেন। চোর-ডাকাতগুলো। যে চোর-ডাকাতগুলো চিরকুটে চাকরি পেয়েছিল। সব গিয়ে বসে আছে ওখানে, ডিএ-র ওখানে। তাঁদের কাছে আমায় জ্ঞান শুনতে হবে? জ্ঞানদাতারা, চোরেরা, ডাকাতরা, ডাকাত সর্দাররা।’
5/5 এরপর ৩০ মার্চও সরকারি কর্মীদের আক্রমণ শানান মমতা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'যাঁরা গণশক্তিতে কাজ করেন তাঁদের প্রত্যেকের স্ত্রী শিক্ষিকা। সব চিরকুটের চাকরি। জনগণের টাকা নিয়ে পেনডাউন করবেন? যারা পেনডাউন করেছেন তারা চিরকুটে চাকরি পেয়েছেন। সব ফাইল খুঁজে বের করতে বলেছি। টাকা নিচ্ছে। পেনশন নিচ্ছে। আরও চাই।'