বেঙ্গালুরু এফসির বিরুদ্ধে তিন পয়েন্ট এসেছে। তারপর মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের কোচ জুয়ান ফেরান্দোর মুখে সাময়িকভাবে হাসি ফুটলেও তা যে দীর্ঘস্থায়ী হবে না, সেটা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। কারণ বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে এমন একাধিক ভুল করেছে মোহনবাগান, যা অন্য কোনও ম্যাচে করলে তিন পয়েন্ট ছাড়াই মাঠ ছাড়তে হত।
1/5 বিপক্ষের ডিফেন্স ভেদ করতে না পারা: বুধবার ৬৭ মিনিটে প্রথমবার তেকাঠিতে বল রাখে মোহনবাগান। অথচ প্রথম ১৫-২০ মিনিটের পর থেকেই পরপর আক্রমণে উঠে আসছিল। আর বেঙ্গালুরুর ডিফেন্সে গিয়ে আটকে যাচ্ছিল। অবিলম্বে সেই সমস্যার সমাধান করতে হবে জুয়ান ফেরান্দোকে। কারণ এই মরশুমে মোহনবাগান যা দল গড়েছে, তাতে অনেক দলই ডিফেন্সে ‘টিমবাস’ দাঁড় করিয়ে দেওয়ার কৌশল নিতে পারে। বিপক্ষ প্রথম গোল করলে তো সেই সম্ভাবনা আরও বেশি। সেই পরিস্থিতিতে মরশুমের শুরুতেই প্ল্যান ‘বি’ তৈরি করতে হবে ফেরান্দোকে। (ছবি সৌজন্যে পিটিআই)
2/5 ম্যাচ ‘কিল’ করতে না পারা: প্রথমে ১০ জন, পরে নয়জনে খেলছিল বেঙ্গালুরু। তারপরও ‘ইনসিওরেন্স’ গোল করে ম্যাচ ‘কিল’ করতে পারেনি মোহনবাগান। যে ‘ইনসিওরেন্স’ গোলটা মোহনবাগানের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে। কারণ এএফসি কাপ ও আইএসএলে লাগাতার ম্যাচ খেলতে হচ্ছে মোহনবাগানকে। ফলে পুরো সময় দলের সেরা খেলোয়াড়দের মাঠে রাখা যাবে না। ‘ইনসিওরেন্স’ গোল পেয়ে গেলে তাঁদের তুলে নিয়ে কিছুটা বিশ্রাম দেওয়া যাবে। (ছবি সৌজন্যে পিটিআই)
3/5 এখনও জমাট নয় ডিফেন্স: বুধবার কোনও গোল না খেলেও মোহনবাগানের ডিফেন্সে একাধিক ফাঁকফোকর ধরা পড়েছে। বিপক্ষের গতিশীল ফুটবলার থাকলে মোহনবাগান ডিফেন্সে কিছুটা কাঁপুনি ধরছে। বিপক্ষকে নিজেদের বক্সের কাছে উঠে আসারও সুযোগ দিচ্ছে। পেনাল্টি বক্সে ঢুকে পড়তে দিচ্ছে। বুধবারই যদি সুনীল ছেত্রী থাকতেন, তাহলে বেঙ্গালুরু ম্যাচ জিতে গেলেও অবাক হওয়ার কিছু ছিল না। (ছবি সৌজন্যে, এক্স @bengalurufc)
4/5 মোহনবাগান খেলোয়াড়দের কিছুটা স্বার্থপরতা: সতীর্থ থাকলেও নিজে গোল করার চেষ্টা থেকে উদভ্রান্তের শট মারা - মোহনবাগানের খেলোয়াড়দের সেই প্রবণতা কাটাতে হবে। বিশেষত বুধবার ম্যাচের শেষলগ্নে দিমিত্রি পেত্রাতোস কমপক্ষে দুটি ক্ষেত্রে চূড়ান্ত স্বার্থপরতার পরিচয় দিয়েছেন। কামিন্স অবশ্য সেই পথে হাঁটেননি। বরং হুগো বৌমাসের গোলের ক্ষেত্রে তিনি নিজে শট নিতে পারতেন, সেটা না করে সতীর্থকে পাস বাড়ান। (ছবি সৌজন্যে, এক্স @IndSuperLeague)
5/5 আর মোহনবাগানের খেলায় যে সেইসব ভুল আছে, তা স্বীকার করে নিয়েছেন কোচ ফেরান্দোও। তবে অজুহাত খাড়া করতেও ছাড়েননি তিনি। মোহনবাগান কোচের দাবি, দল যে ভুলগুলি করছে, সেগুলি শুধরে নেওয়ার মতো সুযোগ পাচ্ছেন না। কারণ একটি ম্যাচ শেষ করলেই অপর একটি ম্যাচ চলে আসছে। ফলে একটি ম্যাচ শেষ করেই পরবর্তী ম্যাচের জন্য নির্দিষ্ট কৌশল তৈরি করতে হচ্ছে। ঠিকমতো ভুল সংশোধন করা যাচ্ছে না। (ছবি সৌজন্যে আইএসএল)