চাকরিজীবীদের মুখে হাসি ফুটিয়ে প্রভিডেন্ট ফান্ডের সুদের হার বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় সরকার। এই নিয়ে আজ, ২৪ জুলাই বিজ্ঞপ্তি জারি করে সরকার। এর আগে গত অর্থবর্ষে পিএফ-এর সুদের হার ছিল ৮.১ শতাংশ। যা বিগত ৪৫ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।
1/5 বাড়ানো হল প্রভিডেন্ট ফান্ডের সুদের হার। এর আগে পিএফ-এ সুদের হার ৪৫ বছরের মধ্যে সবথেকে নীচে চলে গিয়েছিল গতবছর। তবে আজ বিজ্ঞপ্তি জারি করে কেন্দ্রয় সরকারের তরফে জানিয়ে দেওয়া হল পিএফ-এর সুদের হার বাড়ানো হচ্ছে ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের জন্য। আগামী বছর লোকসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত বলে মত অনেকের।
2/5 গতবছর পিএফ-এর সুদের হার কমিয়ে ৮.১ শতাংশ করা হয়েছিল। ১৯৭৭ সালের পর এটাই পিএফ-এর সর্বনিম্ন সুদের হার। এই আবহে মাঝে রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, পিএফ-এর সুদের হার অপরিবর্তিতই রাখা হতে পারে বা সুদের হার কমিয়ে ৮ শতাংশও করা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে রিপোর্টে। তবে চাকরিজীবীদের মুখে হাসি ফুটিয়ে কিছুটা বাড়ানো হল পিএফ-এর সুদের হার।
3/5 এর আগে এর আগে ২০২০-২১ অর্থবর্ষে পিএফ-এর সুদের হার ছিল ৮.৫ শতাংশ। তার ঠিক এক বছর আগে ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে এই সুদের হার ছিল ৮.৬৫ শতাংশ। সেখান থেকে কমিয়েই ৮.৫ শতাংশ করা হয়েছিল পিএফ-এর সুদের হার। ২০২০-২১ সালে সেই হারই বহাল রাখা হয়েছিল। তবে ২০২১-২২ অর্থবর্ষে তা কমিয়ে ৮.১ শতাংশ করা হয়েছিল। এই আবহে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে চাকরিজীবীদের কিছুটা স্বস্তি দিয়ে বাড়ানো হল পিএফ-এর সুদের হার।
4/5 আগামী বছর লোকসভা নির্বাচন হতে চলেছে। তার আগে অনেক গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। এই আবহে বিশ্লেষকদের মত, আম জনতাকে স্বস্তি দিতেই সামান্য বাড়ানো হল পিএফ-এর সুদের হার। যদিও সাম্প্রতিক রিপোর্ট অনুযায়ী, পিএফ-এর সুদের হার বৃদ্ধির সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করা হয়নি কোথাও। তবে আজ বিজ্ঞপ্তি জারি করে সরকার জানাল চলতি অর্থবর্ষের জন্য পিএফ-এর সুদের হার হবে ৮.১৫ শতাংশ।
5/5 প্রসঙ্গত, পিএফ-এ চাকরিজীবীদের গচ্ছিত টাকা অন্য জায়গায় বিনিয়োগ করা হয়। সেখান থেকে যে লাভ হয়, তার থেকেই সুদ বাবদ টাকা দেওয়া হয় কর্মচারীদের। বর্তমানে, ইপিএফও-র মাধ্যমে ৮৫ শতাংশ বিনিয়োগ করা হয় সরকারি সিকিউরিটিজ ও বন্ডে। বাকি ১৫ শতাংশ ইটিএফ-এ বিনিয়োগ করা হয়। ঋণ ও ইক্যুইটি থেকে উপার্জনের ভিত্তিতে এই পিএফের সুদ নির্ধারণ করা হয়।