বাংলা নিউজ >
ছবিঘর > Reasons for India's loss in WC Final: শেষ ৪০ ওভারে ৪ বাউন্ডারি, সহজে সিঙ্গলস দেওয়া- কোন ৭ কারণে বিশ্বকাপ পেল না ভারত?
Reasons for India's loss in WC Final: শেষ ৪০ ওভারে ৪ বাউন্ডারি, সহজে সিঙ্গলস দেওয়া- কোন ৭ কারণে বিশ্বকাপ পেল না ভারত? Updated: 19 Nov 2023, 09:21 PM IST Ayan Das স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে গেল রোহিত শর্মা-সহ পুরো ভারতের। বিশ্বকাপ ফাইনালে পুরোপুরি পর্যদুস্ত হল টিম ইন্ডিয়া। রবিবার প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ২৪০ রান তোলে ভারত। জবাবে ৪২ বল বাকি থাকতেই ছয় উইকেটে জিতে যায় অস্ট্রেলিয়া। কোন ছয় কারণে ভারত হারল, তা দেখে নিন। 1/8 এবার বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে জিতে অভিযান শুরু করেছিল ভারত। টানা ১০টি ম্যাচ জিতেছিল। দাপুটে পারফরম্যান্স করছিল। কিন্তু যে পারফরম্যান্সটা সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ, সেখানেই বাজে খেলল ভারতীয় দল। তার জেরে অধরা থেকে গেল রোহিত শর্মার বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন। (ছবি সৌজন্যে রয়টার্স) 2/8 মাঝের ৩০ ওভারে মাত্র দুটি বাউন্ডারি: এবার বিশ্বকাপের শুরু থেকেই ভারতীয় দল আক্রমণাত্মক মনোভাবের উপর জোর দিয়েছে। কিন্তু ফাইনালে ১১ ওভার থেকে ৪০ ওভারের মধ্যে টিম ইন্ডিয়া মারল মাত্র দুটি বাউন্ডারি। কোনও খোঁয়াড় পিচ ছাড়া সেই পরিসংখ্যান নিয়ে কোনও দলের ম্যাচ জেতার কথাও নয়। আর সেটা হলও না। সেটার জন্য একটা দায় বর্তায় বিরাট কোহলি এবং কেএল রাহুলের উপর। কাউকে টার্গেট করলেন না। যে বোলারই এলেন, তাঁদের এমন সম্মান দিলেন, তাঁরা সম্ভবত নিজেরাও ভাবেননি যে এত সম্মান পাবেন। স্ট্রাইকও রোটেট করলেন না ঠিকভাবে। সবমিলিয়ে শেষ ৪০ ওভারে চারটি বাউন্ডারি মারে ভারত। (ছবি সৌজন্যে পিটিআই) 3/8 বিরাটের ক্যাচ ফস্কানো: হাতে ২৪০ রানের পুঁজি। প্রথম বলে ডেভিড ওয়ার্নারের ব্যাটের কাণায় লেগে স্লিপের দিকে বল গেল। কিন্তু বিরাট কোহলি এবং শুভমন গিল দাঁড়িয়ে দেখলেন। চার হয়ে গেল। অবশ্যই বিরাটের ক্যাচ ছিল। কয়েক বল পরেই তিনিই ওয়ার্নারের ক্যাচ ধরলেন। কিন্তু প্রথম বলে উইকেট পড়লে সেটার যা প্রভাব হত, সেটা হল না। তাহলে কে বলতে পারত, ম্যাচের ফল অন্যরকম হত। (ছবি সৌজন্যে এএফপি) 4/8 ‘এক্সট্রা’-র ভাণ্ডার: একে তো হাতে ২৪০ রান, তাতে অস্ট্রেলিয়ার দীপাবলির 'বিলেটেড' উপহার দিল ভারতীয় দল। গোটা বিশ্বকাপে ভালো খেলে ফাইনালে বাজে উইকেটকিপিং করলেন। গলালেন একাধিক বল। মহম্মদ শামিও দিশাহীন বল করলেন কিছুটা। স্নায়ুর চাপে পড়ে বাড়তি জোর দিতে গিয়ে দিশা হারালেন। সবমিলিয়ে ‘এক্সট্রা’ হিসেবে ১৮ রান দিল ভারত। আর সেটার বেশিরভাগই হল প্রথম চার ওভারে। চার ওভারের শেষে অজিদের স্কোর ছিল এক উইকেটে ৪১ রান। সেটার মধ্যে ১১ রানই ছিল অতিরিক্তের কারণে। যা অমার্জনীয়। (ছবি সৌজন্যে পিটিআই) 5/8 অধিনায়কত্বের সিদ্ধান্তে ভুল: অন্যদিন ‘ফার্স্ট চেঞ্জ’ বোলার হিসেবে আসেন শামি। কিন্তু আজ তাঁকে শুরুতে রোহিত শর্মা নিয়ে আসায় প্রশ্ন উঠছে। কিন্তু অজিদের দুই ওপেনার বাঁ-হাতি হওয়ায় সেই সিদ্ধান্ত অবাক হওয়ার মতো নয়। আবার এটাও ঠিক যে মহম্মদ সিরাজ নয়া বলে ভালো বল করেন। তবে অজিদের অল-আউট না করে যখন জেতা যাবে না বলে জানেন রোহিত, তখন স্পিনারদের কেন স্লিপ দিলেন না, সেটা নিয়ে প্রশ্ন থাকবে। কয়েকটা বল ব্যাটের কাণায় লেগে বেরিয়ে যায়। (ছবি সৌজন্যে রয়টার্স) 6/8 অস্ট্রেলিয়ার নিখুঁত পরিকল্পনা ও কামিন্সের দুর্দান্ত অধিনায়কত্ব: ফাইনালে একেবারে নিখুঁত পরিকল্পনা করে নেমেছিল। কার কোন বলে সমস্যা আছে, কাকে কীভাবে আউট করতে হবে, সব একেবারে ঠিকঠাক হয়েছে। আর ক্যাপ্টেন কামিন্স যা করেছেন, প্রতিটি সিদ্ধান্ত কাজে লেগেছে। যখন যে বোলারকে এনেছেন, তিনি উইকেট দিয়েছেন। ফাইনালে ক্যাপ্টেন কামিন্স সবকিছু নিখুঁত করেছেন। (ছবি সৌজন্যে পিটিআই) 7/8 ২০২৩ সালেই বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে ট্র্যাভিস হেডের দাপুটে ইনিংসের সামনে চূর্ণ হয়ে গিয়েছিল টিম ইন্ডিয়া। এবার একদিনের বিশ্বকাপের ফাইনালেও তাই হল। আর তাঁকে আউট করার কোনও পরিকল্পনা বের করতে পারল না। শর্ট বলে হেডের দুর্বলতা থাকলেও সেটা যে আমদাবাদের ঢিমেগতির উইকেটে কাজে দেবে না, সেটা বোঝা উচিত ছিল। প্রথম ১০ ওভারে শুধু কাঁপলেন হেড। তারপর ছড়ি ঘোরালেন। (ছবি সৌজন্যে পিটিআই) 8/8 রোহিত শর্মা, শ্রেয়স আইয়ার আউট হয়ে যাওয়ার পরে স্ট্রাইক রোটেট করতে পারেনি ভারতীয় দল। আর অস্ট্রেলিয়াকে চাপের মুখে ফেলে দিয়েও অজিদের ঠিক সেটাই করতে দিয়েছে টিম ইন্ডিয়া। যদি রিকোয়ার্ড রানরেটের চাপ থাকত, তাহলে সেই কৌশল তবুও মানা যেত। কিন্তু টার্গেট কম হয়, তাহলে সেটা একেবারেই কাজের কৌশল নয়। (ছবি সৌজন্যে পিটিআই)