বাংলা নিউজ >
ছবিঘর > Haryana Violence: রাতে নতুন করে হিংসা ছড়াল গুরুগ্রামে, দোকান জ্বালিয়ে দিল জনতা, NIA তদন্তের দাবি
Haryana Violence: রাতে নতুন করে হিংসা ছড়াল গুরুগ্রামে, দোকান জ্বালিয়ে দিল জনতা, NIA তদন্তের দাবি Updated: 01 Aug 2023, 11:55 PM IST Ayan Das Haryana Violence: কিছুতেই হিংসা থামছে হরিয়ানায়। মঙ্গলবার রাতে নতুন করে হিংসা ছড়াল গুরুগ্রাম। জ্বালিয়ে দেওয়া হল দোকান। কার্যত একইরকম ঘটনা দুপুরের দিকে ঘটে বাদশাপুরে। মঙ্গলবার হরিয়ানায় কী কী ঘটনা ঘটল, তা একনজরে দেখে নিন - 1/8 প্রশাসনের আশ্বাসের পরও মঙ্গলবার রাতের নতুন করে হিংসা ছড়াল হরিয়ানায়। একাধিক রিপোর্ট অনুযায়ী, গুরুগ্রামের সেক্টর ৭০-তে একাধিক দোকান এবং বস্তিতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। যেখানে আগুন ধরানো হয়, সেটার ঠিক পাশেই একটি আবাসন আছে। তার জেরে এলাকায় আতঙ্ক তৈরি হয়েছে বলে একাধিক রিপোর্টে জানানো হয়েছে। (ছবি সৌজন্যে পিটিআই) 2/8 তবে শুধু রাতে নয়, মঙ্গলবার অন্ধকার নামার আগেও গুরুগ্রামে অশান্তি ছড়ায়। বাদশাপুরে কমপক্ষে তিনটি দোকানে লুঠপাট চালানো হয়। পতৌদি চকের কাছে একের পর এক দোকানে ভাঙচুর চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। বাদশাপুর থানার স্টেশন হাউস অফিসার (এসএইচও) সতীশ কুমার বলেছেন, 'কয়েকজন যুবক বাজারে হাঙ্গামা বাঁধানোর চেষ্টা করছিল এবং জয় শ্রীরাম ধ্বনি দিচ্ছিল। আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি সামলে দিয়েছি।' (ছবি সৌজন্যে পিটিআই) 3/8 সোমবার নুহতে একটি ধর্মীয়-সামাজিক সংগঠনের মিছিল আটকানো ঘিরে হিংসার সূত্রপাত। সোমবার নুহতে দুই হোমগার্ডের মৃত্যু হয়। কয়েকজন পুলিশকর্মী-সহ আহত হন অনেকেই। সেই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার নুহতে কারফিউ জারি করা হয়েছে। মঙ্গলবার নতুন করে কোনও হিংসার খবর মেলেনি। নতুন করে হিংসার খবর মেলেনি সোহনাতেও। নুহের অশান্তির আসতেই সোমবার সেখানে হিংসা ছড়ায়। সোমবার সোহনায় একাধিক গাড়ি, দোকানে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। (ছবি সৌজন্যে এএফপি) 4/8 কিন্তু সোমবার মধ্যরাতে গুরুগ্রামের ৫৭ সেক্টরে অঞ্জুমান মসজিদে হামলা চালানো হয়। পিটিআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মসজিদে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পাথর ছোড়ে প্রায় ১০০ জনের উন্মত্ত জনতা। মসজিদের ভিতরে চারজনকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছালে আধিকারিকদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় উন্মত্ত জনতা। (ছবি সৌজন্যে রয়টার্স) 5/8 হিংসা রুখতে মঙ্গলবার নির্দেশিকা জারি করে খুচরো পেট্রোল এবং ডিজেল কেনার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে গুরুগ্রামের জেলাশাসক নিশান্ত যাদব। তিনি জানিয়েছেন, নুহ জেলা এবং গুরুগ্রামের পার্শ্ববর্তী এলাকায় যে হিংসার ঘটনা ঘটেছে, সেটা মাথায় রেখে এরকম সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। (ছবি সৌজন্যে, পারভিন কুমার/হিন্দুস্তান টাইমস) 6/8 হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খাট্টার দাবি করেছেন যে নুহতে যে হিংসা চলেছে, সেটার পিনে গভীর ষড়যন্ত্র আছে। দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দেন। তিনি বলেন, 'হিংসা ছড়ানো কাউকে রেয়াত করা হবে না।' একইসুরে হরিয়ানার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল ভিজ বলেন, ‘কেউ পুরো ঘটনা ঘটিয়েছে। কিন্তু আমি এখনই চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছাচ্ছি। আমরা পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখব।’ 7/8 তারইমধ্যে দিল্লি থেকে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সুরেন্দ্র জৈন দাবি করেছেন, পূর্ব-পরিকল্পিতভাবে হামলা চালানো হয়েছিল। প্ররোচনা দেন হরিয়ানার কয়েকজন কংগ্রেস নেতা। বিজেপি সরকারের গোয়েন্দা ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার তদন্তের দাবি তুলেছেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক। (ছবি সৌজন্যে এপি) 8/8 মঙ্গলবারের মতো বুধবারও গুরুগ্রামের সোহনা মহকুমায় সমস্ত স্কুল, কলেজ-সহ সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন কিছু পোস্ট করতে বারণ করা হয়েছে, যা কারও ধর্মীয় ভাবাবেগ বা কোনও ধর্মের ভাবাবেগে আঘাত করতে পারে। (ছবি সৌজন্যে পারভিন কুমার/হিন্দুস্তান টাইমস)