বাংলা নিউজ >
ছবিঘর > Gangasagar Latest Update: শেষ পর্যন্ত কত ভক্ত এসেছিল গঙ্গাসাগরে? তীর্থযাত্রীরা ফিরতেই সাফাই অভিযানে খোদ মন্ত্রীরা
Gangasagar Latest Update: শেষ পর্যন্ত কত ভক্ত এসেছিল গঙ্গাসাগরে? তীর্থযাত্রীরা ফিরতেই সাফাই অভিযানে খোদ মন্ত্রীরা Updated: 17 Jan 2024, 11:25 AM IST Abhijit Chowdhury এবছর গঙ্গাসাগরে আগত ভক্তের সংখ্যা ১ কোটির গণ্ডি ছাড়িয়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই পরিসংখ্যান দিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে গঙ্গাসাগরের মেলা শেষ হতেই ভক্তরা ফিরতে শুরু করেছেন। তবে কাজ এখনও শেষ হয়নি রাজ্যের মন্ত্রীদের। বর্তমানে সৈকত সাফাইয়ের কাজে হাত লাগিয়েছেন তাঁরা। 1/5 মঙ্গলবার নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ১ কোটি ১০ লাখের বেশি পূণ্যার্থী এবারে স্নান করতে গঙ্গাসাগরে যান। এত সংখ্যক মানুষকে শুষ্ঠ ভাবে সামলানোর জন্য প্রশাসনের প্রশংসা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। এই আবহে মেলার সঙ্গে যুক্ত প্রতিটি সরকারি কর্মীকে প্রশংসাসূচক চিঠি এবং স্মারক উপহার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। 2/5 মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিক ভাবে শেষ হয়েছে গঙ্গাসাগর মেলা। এই আবহে লাখ লাখ তীর্থযাত্রী ফিরতে শুরু করেছেন। এরই মাঝে রাজ্য সরকারের ছয় মন্ত্রী সেখানে আছেন মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে। পাশাপাশি রাজ্য ও জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরাও আছেন সেখানে। মঙ্গলবার মন্ত্রী এবং আধিকারিকরা নিজেরাই সৈকত সাফাইয়ের কাজে নামেন। 3/5 জানা গিয়েছে, অরূপ বিশ্বাস, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, সুজিত বসু, স্নেহাশিস চক্রবর্তী, বঙ্কিম হাজরা ও ইন্দ্রনীল সেন সৈকত সাফাইয়ের কাজে হাত লাগান গতকাল। এছাড়াও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সভাধিপতি নীলিমা বিশ্বাস, জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা ও সুন্দরবন পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার কোটেশ্বর রাও সেই সাফাই অভিযানে যোগ দেন। 4/5 রবিবার রাত ১২টা ১৩ মিনিট থেকে মকর সংক্রান্তির পূণ্যস্নানের সময় শুরু হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু রাতে জোয়ার ছিল সাগরে। সেকারণে সুরক্ষার কারণে রাতের অন্ধকারে ওই ঠান্ডার মধ্যে কাউকে নামতে দেওয়া হয়নি। তবে সূর্য ওঠার আগেই ভোর তিনটে থেকে শুরু হয়ে যায় সাগরে স্নান। সোমবার বেলা পর্যন্ত ছিল স্নানের পূণ্য তিথি। 5/5 পূণ্যার্থীদের ভিড় সামলাতে কলকাতা থেকে কাকদ্বীপ পর্যন্ত একাধিক বাফার জোন তৈরি করা হয়েছিল এবারে। মেলা প্রাঙ্গণে ৩৪টি ওয়াচ টাওয়ার ছিল। ১১০০ সিসি ক্যামেরা ও ড্রোনের মাধ্যমে নজদারি চালানো হয়। জলপথে ৩৮টি ভেসেল, ৬টি বার্জ ও ১১০টি লঞ্চ চলেছে। মেলা প্রাঙ্গণে ভিড় সামাল দিতে তৈরি করা হয়েছিল ৫৪৮ ড্রপ গেট। পূণ্যার্থীর সুবিধার্থে এবছর দশ হাজারের বেশি শৌচাগার তৈরি হয়েছিল সাগরে। এবছর মেলা প্রাঙ্গনে মোট ১৪ হাজার পুলিশ কর্মী মোতায়েন করা হয়েছিল। এছাড়াও ২৪০০ সিভিল ডিফেন্সের কর্মীকে মোতায়ন করা হয়েছিল সেখানে।