জাতীয় শিক্ষা নীতিতে পুঁথিগত বিদ্যা থেকে বাস্তবধর্মী পড়াশোনার ওপর বেশি জোর দেওয়া হয়েছে। কতকটা সেই পথে হেঁটেই স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যে গবেষণার স্পৃহা জাগাতে নয়া পদক্ষেপ রাজ্যে স্কুল শিক্ষা দফতরের। স্কুল পড়ুয়ারা যাতে ছোট থেকেই গবেষণামুখী হয়, এর জন্য এবার থেকে 'সামার প্রোজেক্টে'র নিয়ম চালু করা হচ্ছে।
1/5 এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে স্কুল শিক্ষা দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, এবার থেকে স্কুল স্তরেই সামার প্রোজেক্ট চালু হয়ে যাবে। গ্রীষ্মের ছুটিতে ছাত্র-ছাত্রীদের কী কী করণীয়, তা নিয়ে নির্দেশিকা জারি করল স্কুল শিক্ষা দফতর। জানা গিয়েছে, পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের এই নির্দেশিকা মেনে সামার প্রোজেক্ট সম্পন্ন করতে হবে।
2/5 স্কুল শিক্ষা দফতরের আশা, এই প্রোজেক্টের মাধ্যমে পড়ুয়াদের স্বাধীন চিন্তাভাবনা, নেতৃত্বদানের ক্ষমতা বাড়বে। এর ফলে পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হবে। স্কুল শিক্ষা দফতর জানিয়েছে, কোনও পড়ুয়া যদি কোনও একটি বিষয় পছন্দ করে, তা মাথায় রেখেই নির্দিষ্ট কাজ দেওয়া হবে তাকে। পড়ুয়ারা যখন স্কুলজীবন থেকে বেরিয়ে উচ্চশিক্ষার আঙিনায় পা রাখবে বা যখন তাঁরা পেশগত জীবনে পা রাখবে, তখন এই দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা তাদের সাহায্য করবে বলে মত শিক্ষা দফতরের।
3/5 পঞ্চম এবং ষষ্ঠ শ্রেণির পড়ুয়াদের প্রকৃতি পর্যবেক্ষণ সংক্রান্ত কাজ দেওয়া হবে। এদিকে সপ্তম এবং অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়াদের কোনও বিজ্ঞান কেন্দ্র বা পেশাগত প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে গিয়ে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। সেই কেন্দ্রে পড়ুয়ারা যা শিকবে, তা কাজে লাগাতে হবে। এদিকে দশম শ্রেণির পড়ুয়াদের হাসপাতাল, ব্যাঙ্ক, গ্রন্থাগার, কলেজ বা হস্তশিল্পকেন্দ্রে গিয়ে প্রায় সপ্তাহ খানেক পর্যবেক্ষণ করতে হবে। একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদেরও এই ধরনের কোনও প্রোজেক্ট করতে হবে।
4/5 এই প্রোজেক্টগুলির মাধ্যমে চিরাচরিত শিক্ষার পাশাপাশি হাতে-কলমে কাজের অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে পারবেন পড়ুয়ারা। প্রসঙ্গত, জাতীয় শিক্ষা নীতিতেও পড়ুয়াদের হাতেকলমে শিক্ষার উপরেই জোর দেওয়া হয়েছে। রাজ্যে জাতীয় শিক্ষা নীতি চালুর বি।য়ে ভাবনা চিন্তা চলছে বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই। এই আবহে কতকটা জাতীয় শিক্ষা নীতির পথ অনুসরণ করে পড়ুয়াদের বিকাশের জন্য এই নয়া প্রোজেক্ট চালু করা হয়েছে।
5/5 এদিকে এই প্রোজেক্টের দিকে নজর রাখার দায়িত্ব থাকবে ব্লক ডেভলপমেন্ট অফিসার, সাব ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেটের ওপরও। শিক্ষা দফতরের আশা, এই প্রোজেক্টের ফলে আগামী দিনে পথ চলা আরও মসৃণ হবে পড়ুয়াদের জন্য। পাশাপাশি উচ্চশিক্ষায় গবেষণামুখী হবে তারা। প্রত্যেকটি ক্ষেত্রেই পড়ুয়ারা ৫-৭ দিন সময় নিয়ে পর্যবেক্ষণ করবে এবং তার ওপর ভিত্তি করেই ছুটি শেষে স্কুল খুললে শিক্ষকদের কাছে নিজেদের অ্যাসাইনমেন্ট জমা দেবে।