Indo-Pak FB Love: পাকিস্তানে বিয়ে করেলেও অঞ্জুর মন পড়ে ভারতে, সন্তানদের নিয়ে দিলেন বার্তা Updated: 27 Jul 2023, 06:56 AM IST Abhijit Chowdhury গুগল নিউজে আমাদের পড়ুন পাকিস্তানে গিয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন অঞ্জু। ২৯ বছর বয়সি ফেসবুক ফ্রেন্ডের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন ৩৪ বছরের অঞ্জু। যদিও তাঁর মন এখনও পড়ে ভারতে। এই আবহে নিজের দুই সন্তানকে নিয়ে বিশেষ বার্তা দিলেন অঞ্জু। এখন অবশ্য নাম বদলে তিনি ফাতিমা। 1/5 সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে নিজের নাম বদল করেছেন অঞ্জু। বর্তমানে তাঁর নাম ফাতিমা। উল্লেখ্য, রাজস্থানের এই বধূ এর আগও আলওয়ারের অরবিন্দের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ ছিলেন। তাঁর দুই সন্তানও আছে - ১৫ বছরের মেয়ে এবং ছয় বছরের ছেলে। এই সন্তানদের নিয়েই বিশে বার্তা দিলেন অঞ্জু ওরফে ফাতিমা। গুগল নিউজে আমাদের পড়ুন 2/5 নাসরুল্লার সঙ্গে ২০১৯ সালে ফেসবুকের মাধ্যমে আলাপ হয়েছিল অঞ্জুর। সেই বন্ধুত্ব পরিণত হয়েছিল প্রেমে। সেই প্রেমের টানেই পাকিস্তানে গিয়ে পৌঁছান অঞ্জু। থাকতে শুরু করেন নাসরুল্লার বাড়িতেই। প্রাথমিকভাবে নাসরুল্লা জানিয়েছিলেন যে তাঁদের বিয়ের কোনও পরিকল্পনা নেই। কিন্তু সেই মন্তব্যের পর ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই ধর্মান্তরিত হন অঞ্জু। করেন বিয়ে। আর তা নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। গুগল নিউজে আমাদের পড়ুন 3/5 পিটিআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আপার দির জেলার স্থানীয় আদালতে অঞ্জু (ফতিমা) এবং নাসরুল্লার বিয়ে সম্পন্ন হয়। সেখানে নাসরুল্লার পরিবারের সদস্য এবং স্থানীয় পুলিশের কর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এদিকে এরই মধ্যে অঞ্জু জানান, তিনি কয়েকদিনের মধ্যেই ভারতে ফিরে যাবেন। পাশাপাশি মিডিয়ার উদ্দেশে তাঁর আবেদন, তাঁর সন্তান বা আত্মীয়দের যেন হেনস্থা না করা হয়। গুগল নিউজে আমাদের পড়ুন 4/5 অঞ্জুর কথায়, 'আমি বৈধভাবে এখানে (পাকিস্তানে) এসেছি। আচমকা নয়, বরং পুরো পরিকল্পনা করেই এখানে এসেছি। আমি এখানে সুরক্ষিত আছি। যেমনভাবে এসেছি, তেমনভাবেই আবার ফিরে যাব। দু'তিনদিনের মধ্যেই ভারতে ফিরে যাব। আমার আত্মীয় এবং সন্তানদের হেনস্থা না করার জন্য মিডিয়াকে অনুরোধ করছি। আমায় সবসময় ফোনে পাবেন।' গুগল নিউজে আমাদের পড়ুন 5/5 এদিকে অঞ্জুর কীর্তিতে বেজায় খাপ্পা তাঁর বাবা গয়াপ্রসাদ থমাস। মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়র জেলার বৌনা গ্রামের বাসিন্দা তিনি। পাকিস্তানে গিয়ে অঞ্জুর দ্বিতীয় বিয়ের কথা সামনে আসতেই গয়াপ্রসাদ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, 'আমি প্রার্থনা করি, আমার মেয়ে যেন পাকিস্তানেই মারা যায়। ও নিজের দুই সন্তান এবং স্বামীকে ফেলে যেভাবে পালিয়ে গিয়েছে, তা মেনে নেওয়া যায় না। ও নিজের সন্তানদের কথাও ভাবল না। ও পাকিস্তানে গিয়ে বিয়ে করতে চাইলে নিজের স্বামীর সঙ্গে আগে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে পারত। ও আমাদের কাছে আর বেঁচে নেই। ওর সন্তানদের কী হবে? ওর স্বামীর কী হবে? ও নিজের সন্তান এবং স্বামীর ভবিষ্যৎ নষ্ট করে দিয়েছে।' গুগল নিউজে আমাদের পড়ুন