গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার জবাবে গাজায় গোলা বর্ষণ জারি রেখেছে ইজরায়েল। মাঝে মাঝে তো প্রতি ৩০ সেকেন্ডে একটি করে রকেট গাজার উদ্দেশে উড়ে যাচ্ছে। এই আবহে এক বিবৃতি প্রকাশ করেছিলেন পোপ ফ্রান্সিস। আর সেই বিবৃতি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করলেন ইজরায়েলের বিদেশমন্ত্রী।
1/5 ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধের আবহে গতকাল এক বিবৃতি প্রকাশ করা হয় ভ্যাটিকানের পক্ষ থেকে। পোপ ফ্রান্সিস তাতে গাজায় আটকে পড়া সাধারণ মানুষকে সাহায্য করার জন্য মানবিক করিডর খুলে দেওয়ার আহ্বান করেছিলেন। তিনি গাজায় মানবাধিকার রক্ষার পক্ষে সওয়াল করেছিলেন। পাশাপাশি হামাসের হাতে বন্দি ইজরায়েলিদেরও মুক্তি দেওয়ার আবেদন করেছিলেন পোপ। তবে গাজা নিয়ে পোপের এই 'দরদ' হজম হয়নি ইজরায়েলের।
2/5 ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধ নিয়ে ভ্যাটিকানের বিবৃতি প্রকাশের পরই এই নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেন ইজরায়েলের বিদেশমন্ত্রী এলি কোহেন। টাইমস অফ ইজরায়েলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, 'আমরা আশা করছি যে ভ্যাটিকান এই ঘটনায় স্পষ্ট বার্তা পেশ করবে। হামাস জঙ্গিরা মহিলা, শিশু এবং সাধারণ মানুষকে হত্যা করেছে শুধুমাত্র তারা ইজরায়েলি এবং ইহুদি বলে। যখন ইজরায়েল ১৩০০ মানুষের মৃতদেহ দাফন করছে, সেই সময় গাজার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি দেওয়ার বিষয়টি আমরা মেনে নিতে পারছি না।'
3/5 রাষ্ট্রসংঘের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ইজরালেয়ের বোমা বর্ষণের জেরে গাজায় ঘরছাড়া হয়েছেন ৪ লাখ ২৩ হাজার সাধারণ মানুষ। এদিকে ইজরায়েলকে যুদ্ধে সমর্থন করলেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইজেন আবেদন করেন, যাতে সাধারণ মানুষের ওপর হামলা না চালানো হয়। এদিকে গাজা ভূখণ্ডে ত্রাণ পাঠানোর জন্য সীমান্ত খুলে দিয়েছে মিশর।
4/5 প্রসঙ্গত, ৭ অক্টোবর সকাল সকাল হাজার হাজার রকেট গাজা ভূখণ্ড থেকে উড়ে এসেছিল দক্ষিণ ইজরায়েলে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই মুহূর্তের মধ্যে মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছিল ইজরায়েলের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। হামাস জঙ্গিরা সীমান্তের বেড়া কেটে ইজরায়েলে ঢুকে পড়ে। অমানবিক তাণ্ডব চালায় তারা। সাধারণ মানুষকে বাড়িতে ঢুকে ঢুকে খুন করে হামাসের বন্দুকবাজরা। সঙ্গে অনেককেই অপহরণ করে তারা। এরপর ইজরায়েলও পালটা জবাবি হামলা চালিয়েছে। তাতে গাজায় মৃত্যু হয়েছে বহু মানুষের।
5/5 এই সবের মাঝেই এদিকে ইজরায়েল গাজায় সৈন্য পাঠানোর তোড়জোড় করছে বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই ইজরায়েলে সর্বদল সরকার গঠন হয়েছে। আলাদা ওয়ার ক্যাবিনেট (যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা) তৈরি হয়েছে। এই আবহে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন গতকাল ইজরায়েলে পা রাখেন। এরই মাঝে উভয় দিক থেকেই হামলা, প্রতিআক্রমণ জারি রয়েছে।