বাংলা নিউজ >
ছবিঘর > Jadvpur University Ragging: 'আমি নিজে ব়্যাগিংয়ের শিকার, প্রয়োজন কাউন্সেলিং', আদালতে দাবি ধৃত যাদবপুরের পড়ুয়ার
Jadvpur University Ragging: 'আমি নিজে ব়্যাগিংয়ের শিকার, প্রয়োজন কাউন্সেলিং', আদালতে দাবি ধৃত যাদবপুরের পড়ুয়ার Updated: 23 Aug 2023, 08:37 AM IST Abhijit Chowdhury যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলে পড়ুয়া মৃত্যুর ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে অন্যতম হল মনোতোষ ঘোষ ও দীপশেখর দত্ত। এই মামলার শুনানি চলাকালীন দু’জনেই জেল হেফাজতের আবেদন করলেন আদালতে। পাশাপাশি দাবি জানালেন, তাঁদের কাউন্সেলিংয়ের প্রয়োজন। 1/5 ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় সর্বপ্রথম গ্রেফতার করা হয়েছিল সৌরভ চৌধুরীরে। তারপরই মনোতোষ ঘোষ ও দীপশেখর দত্তকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ধৃত দীপশেখর দত্তর বাড়ি বাঁকুড়ায়। অন্যদিকে মনোতোষ ঘোষের বাড়ি হুগলির আরমবাগে। মনোতোষ সমাজবিজ্ঞান ও দীপশেখর অর্থনীতির ছাত্র। এই আবহে মনোতষ এবং দীপশেখর উভয়ই দাবি করল, তারা নিজেরই ব়্যাগিংয়ের শিকার। 2/5 এই নিয়ে আদালতে মনোতষ দাবি করেন, মৃত পড়ুয়াকে হস্টেলে থাকার বন্দোবস্ত করে দিয়েছিল সে। তাই তার নাম উঠে এসেছে এই মামলায়। তার দাবি, যে দিন ঘটনাটি ঘটে, সেদিন সে জেনারেল বডির মিটিংয়ে ছিল। আদালতে সে জানায়, ১৯ অগস্ট তার বাড়ি থেকে একটা ডাইরি উদ্ধার করে পুলিশ। সেখানে তার ব়্যাগিংয়ের অভিজ্ঞতার কথা লেখা আছে। 3/5 মনোতষের পালটা প্রশ্ন, তার ডাইরি দেখে ব়্যাগিং সংক্রান্ত যে সব তথ্য পুলিশ পেয়েছে, তার ভিত্তিতে কি কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে? সে দাবি করে, সে মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছে। এই আবহে একদিন অন্তর কাউন্সেলিং করা প্রয়োজন। সেই রিপোর্ট কোর্টের কাছে পেশ করার অবেদন জানায় সে। প্রয়োজনে তাকে জেল হেফাজতে পাঠানোর দাবি তোলে মনতোষ। তদন্তে সবরকম সহযোগিতা করার আশ্বাসও দেয় সে। 4/5 এদিকে দীপশেখর দত্ত আদালতে দাবি করে, সেও একবছর ধরে ব়্যাগিংয়ের শিকার থেকেছে। পুলিশ হেফাজতে থেকে সে মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে দাবি করে দীপশেখর। তারও একদিন অন্তর কাউন্সেলিং করানোর আবেদন জমা পড় আদালতে। 5/5 এদিকে শুনানি শেষে দীপশেখর এবং মনোতোষের ২৬ অগস্ট পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। অপরদিকে সৌরভ চৌধুরীকে ২৫ অগস্ট পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। এদিকে বিতর্ক তৈরি হয়েছে ধৃত দীপশেখরের বাবার মন্তব্যে। তিনি বলেন, 'কোনও হস্টেলে থাকতে গেলে র্যাগিং-এর শিকার হতেই হয়। প্রাণ যদি কারও যায়, সেটা তো তাঁর ব্যাপার।'