হেমন্ত সোরেনের দলের চম্পাই সোরেনকে ঝাড়খণ্ডের নয়া মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মনোনীত করলেন রাজ্যপাল সিপি রাধাকৃষ্ণন। যে চম্পাইকে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার পরিষদীয় দলের নেতার হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে। তারইমধ্যে বিধায়কদের ‘কেনাবেচা’ যাতে আটকানো যায়, তা নিয়ে দিনভর চরম নাটক হল।
1/6 ঝাড়খণ্ডে সরকার গঠনের জন্য চম্পাই সোরেনকে আমন্ত্রণ জানালেন রাজ্যপাল সিপি রাধাকৃষ্ণন। রাজভবনের সূত্র উদ্ধৃত করে বৃহস্পতিবার রাতের দিকে সংবাদসংস্থা এএনআইয়ের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে যে ঝাড়খণ্ডে সরকার গঠনের জন্য ঝাড়খণ্ড জনমুক্তি মোর্চার (জেএমএম) পরিষদীয় দলের নেতা চম্পাইকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। কতদিনের মধ্যে তাঁকে সরকার গঠন করতে হবে, তা অবশ্য এখনও স্পষ্ট নয়। (ছবি সৌজন্যে পিটিআই)
3/6 তবে তাতেই ঝাড়খণ্ডের রাজনৈতিক টালবাহানায় যে ইতি পড়ে গেল, সেই তত্ত্ব মানতে রাজি নন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। কারণ চম্পাইকে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে হবে। সেক্ষেত্রে ঝাড়খণ্ডকে যে আরও একপ্রস্থ টালবাহানা বা রাজনৈতিক নাটকীয়তার সাক্ষী থাকতে হবে না, তা হলফ করে বলছেন না রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের ধারণা, যতক্ষণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে পারছেন চম্পাই, ততক্ষণ টালবাহানা চলবে। (ছবি সৌজন্যে পিটিআই)
4/6 শপথগ্রহণের জন্য চম্পাইকে এমন একটা সময় আমন্ত্রণ জানিয়েছেন ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল, যার কয়েক ঘণ্টা আগেই দ্রুত সরকার গঠনের আর্জি জানিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন হেমন্ত সোরেনের দলের নেতা। তিনি দাবি করেন যে রাজ্যে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। হেমন্তের ইস্তফার পর থেকে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি ফাঁকা না থাকায় রাজ্যে রাজনৈতিক সংকট বাড়ছে। তাই যেন তাঁকে দ্রুত সরকার গঠনের জন্য ডাকা হয়। (ছবি সৌজন্যে পিটিআই)
5/6 তারইমধ্যে জেএমএম-কংগ্রেস জোটের বিধায়কদের 'কেনাবেচা' রুখতে তাঁদের রাঁচি থেকে কংগ্রেস-শাসিত তেলাঙ্গানায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। সেজন্য হায়দরাবাদ বিমানবন্দরে বিশেষ বাসের বন্দোবস্তও করা হয়েছিল। কিন্তু দৃশ্যমানতা কম থাকায় তাঁরা হায়দরাবাদে যেতে পারেননি। রাতের দিকে তাঁদের রাঁচি বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে আসতে দেখা যায়। তবে তাতে আশঙ্কিত নন জোটের নেতারা। তাঁদের বক্তব্য, ৪৩ জন বিধায়কই একসঙ্গে আছেন। (ছবি, সৌজন্যে পিটিআই)
6/6 আর সেই যাবতীয় নাটকের শুরু হয়েছে হেমন্তের ইস্তফার পর থেকে। আর্থিক তছরুপের মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) হাতে গ্রেফতারির আগে বুধবার রাতে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছেড়ে দেন হেমন্ত। নয়া মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে হেমন্তের স্ত্রী'র নাম উঠে এলেও শেষপর্যন্ত পরিষদীয় দলনেতা হিসেবে চম্পাইকে বেছে নেওয়া যায়। যিনি ঝাড়খণ্ডের নয়া মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন। (ছবি সৌজন্যে এপি)