বাংলা নিউজ >
ছবিঘর > কাশ্মীরে 'মানবাধিকার লঙ্ঘন' নিয়ে কমিটি হোক, ৩৭০ ধারা নিয়ে পৃথক রায় জাস্টিস কৌলের
কাশ্মীরে 'মানবাধিকার লঙ্ঘন' নিয়ে কমিটি হোক, ৩৭০ ধারা নিয়ে পৃথক রায় জাস্টিস কৌলের Updated: 11 Dec 2023, 02:40 PM IST Ayan Das জম্মু ও কাশ্মীর থেকে সংবিধানের ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পক্ষে রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তবে তারইমধ্যে পৃথক রায় পড়েছেন বিচারপতি সঞ্জয় কিষান কৌল। ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করা নিয়ে একমত হলেও কয়েকটি ভিন্ন পর্যবেক্ষণ করেছেন তিনি। 1/5 জম্মু ও কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে তদন্তের জন্য বিশেষ কমিটি গঠনের সুপারিশ করলেন বিচারপতি সঞ্জয় কিষান কৌল। যিনি জম্মু ও কাশ্মীর থেকে সংবিধানের ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার মামলায় সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চে ছিলেন। তিনি পৃথক রায় দেন। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে এপি ও এএনআই) 2/5 আশির দশকে কাশ্মীরে যে বিচ্ছিন্নতাবাদের সমস্যা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল, সেটার বিষয়ে উল্লেখ করেন বিচারপতি কৌল। সেই কারণে কাশ্মীরি পণ্ডিতরা যে দেশের অন্য প্রান্তে চলে গিয়েছিলেন, তাও উল্লেখ করেছেন। সেইসঙ্গে তিনি জানান, তিনি যখন ওই অঞ্চলে গিয়েছিলেন, তখন মানুষের যন্ত্রণা অনুভব করেছিলেন। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে এপি) 3/5 তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রের শত্রুর সঙ্গে লড়াইয়ের জন্য আছে সেনা। কোনও রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করা সেনার ঠিক কাজ নয়। কিন্তু ওটা উদ্ভট সময় ছিল। (জম্মু-কাশ্মীরে) সেনা মোতায়েনের প্রভাব পড়েছিল। রাজ্যের অখণ্ডতা ও বিদেশিদের অনুপ্রবেশ রুখতে সেনা যা কাজ করেছিল, সেটার ফলে রাজ্যের পুরুষ, মহিলা এবং শিশুদের মূল্য চোকাতে হয়েছিল।’ (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে এপি) 4/5 বিচারপতি কৌল বলেন, ‘সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য ক্ষত নিরাময় করার প্রয়োজন আছে। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে মানুষ কষ্ট ভোগ করেছেন। আর ক্ষত নিরাময় করার প্রথম ধার হিসেবে রাষ্ট্র এবং সেটার ডানাপালা যে নিয়ম লঙ্ঘন করেছে, সেটা স্বীকার করতে হবে।’ (ছবি সৌজন্যে এএনআই) 5/5 তিনি আরও বলেন, 'কমপক্ষে আশিক দশক থেকে রাষ্ট্র এবং অন্যান্যদের কারণে মানবাধিকার লঙ্ঘনের যে ঘটনা ঘটেছে, তা তুলে ধরার জন্য এবং তদন্ত করার জন্য নিরপেক্ষ সত্য ও সমন্বয় সাধন কমিটি গঠনের সুপারিশ করছি। সেইসঙ্গে সেই কমিটি যাতে সেই বিষয়টি সমাধানের জন্য বিভিন্ন পন্থার সুপারিশ করবে।' (ছবি সৌজন্যে এএনআই)