বাংলা নিউজ >
ছবিঘর > Khalistan Referendum in Canada: ট্রুডোকে মোদীর সতর্কবার্তা ভারতে, আর সেদিনই খালিস্তানের সমর্থনে ‘গণভোট’ কানাডায়
Khalistan Referendum in Canada: ট্রুডোকে মোদীর সতর্কবার্তা ভারতে, আর সেদিনই খালিস্তানের সমর্থনে ‘গণভোট’ কানাডায় Updated: 11 Sep 2023, 12:34 PM IST Abhijit Chowdhury একদিকে খালিস্তানিপন্থীদের বাড়বাড়ন্ত নিয়ে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোকে বার্তা দিলেন নরেন্দ্র মোদী। অন্যদিকে কানাডায় খালিস্তানের সমর্থনে প্রস্তাব পাশ করাল 'শিখস ফর জাস্টিস'। মৃত খালিস্তানি নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরের অধীনে থাকা গুরুদ্বারেই এই প্রস্তাব পাশ হয়। 1/6 কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়ায় খালিস্তানের সমর্থনে পাশ করানো হয়েছে একটি প্রস্তাবনা। এই গোটা প্রক্রিয়ার নেপথ্যে ছিল বিচ্ছিনতাবাদী সংগঠন 'শিখস ফর জাস্টিস'। জানা গিয়েছে, একটি গুরুদ্বারে এই খালিস্তানি রেফারেন্ডাম পাশ করানো হয়। এদিকে যে গুরুদ্বারে এই প্রস্তাবনা পাশ করানো হয়েছে, তার প্রধান ছিলেন হরদীপ সিং নিজ্জর। গত ১৮ জুন এই গুরুদ্বারেই আততায়ীদের গুলিতে নিহত হয়েছিলেন এই খালিস্তানি নেতা। কানাডার খালিস্তানপন্থীদের অভিযোগ, ভারতই নাকি খুন করিয়েছিল নিজ্জরকে। যদিও তদন্তের পর কানাডা এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। 2/6 এদিকে আগামী ২৯ অক্টোবর খালিস্তানের সমর্থনে আরও একটি গণভোট করাতে চলেছে সিখল ফর জাস্টিস। এদিকে খলিস্তানিদের প্রশ্রয় দেওয়া নিয়ে কানাডাকে বারবারই সতর্ক করেছে দিল্লি। তবে তাতে টনক নড়েনি জাস্টিন ট্রুডোর। এর আগে কানাডায় খালিস্তানিদের একটি শোভাযাত্রার ট্যাবলোতে ইন্দিরা গান্ধীকে হত্যাকাণ্ডকে প্রদর্শন করা নিয়ে ভারত আপত্তি জানিয়েছিল। তবে কানাডার সরকার তা নিয়ে কিছুই করেনি। এই পরিস্থিতিতে চূড়ান্ত বিরক্ত দিল্লি। 3/6 বিগত কয়েক মাস ধরেই কানাডায় ভারত বিরোধী শক্তি বেশি করে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। খালিস্তানি আন্দোলনের নামে মন্দিরে মন্দিরে হামলা হয়েছে। এদিকে কানাডা সরকারকে এই নিয়ে বারবার সতর্ক করলেও ঘরোয়া রাজনীতির স্বার্থে এই নিয়ে নীরবতা পালন করেছেন জাস্টিন ট্রুডো। তবে দিল্লিতে জি২০ বৈঠকের পর মোদীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে এই নিয়ে কথা শুনতে হয় তাঁকে। অবশ্য তিনি তাঁর সরকারের সেই পুরনো অবস্থানের কথাই জানিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। 4/6 জানা গিয়েছে, গতকাল খলিস্তানি ইস্যু নিয়ে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোকে কড়া বার্তা দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেইসঙ্গে যাতে কানাডায় ভারতীয় দূতবাসের আধিকারিকদের উপর হামলা, প্রবাসী ভারতীয়দের হুমকি এবং মন্দিরের উপর হামলার মতো ঘটনায় ইতি টানা যায়, তা নিশ্চিত করতে বলেন তিনি। যদিও মোদীর বার্তায় আখেরে কতটা কাজ হবে, তা নিয়ে সন্দেহ আছে। বিশেষত খলিস্তানি ইস্যুতে ট্রুডো যা বলেছেন, তা নয়াদিল্লির কাছে একেবারেই আশাব্যঞ্জক নয়। 5/6 মোদী ও ট্রুডোর বৈঠকের পর ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের তরফে একটি বিবৃতিতে বলা হয়, ‘কানাডায় উগ্রপন্থী লোকজন যে ভারত-বিরোধী কাজকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে, সেটা নিয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তারা বিচ্ছিন্নতাবাদের পক্ষে প্রচার চালাচ্ছে। ভারতীয় কূটনীতিবিদদের বিরুদ্ধে হামলা চালানো, দূতাবাসের সম্পত্তি নষ্ট করা, কানাডার প্রবাসী ভারতীয়দের হুমকি দেওয়া এবং তাঁদের ধর্মাচরণের জায়গায় হামলা চালানোর জন্য উস্কানি দিচ্ছে।’ 6/6 এদিকে মোদীর সঙ্গে বৈঠকের পর খলিস্তানি ইস্যু নিয়ে ট্রুডো বলেন, 'দুটি বিষয় নিয়েই আলোচনা হয়েছে। গত কয়েক বছর ধরে প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে দুই বিষয় নিয়েই একাধিকবার আলোচনা হয়েছে।' আর এই আবহে শিখস ফর জাস্টিস গণভোট করিয়ে ভারত বিরোধী কার্যকলাপ জারি রেখেছে কানাডার মাটিতে।