বাংলা নিউজ >
ছবিঘর > Kolkata-Bangkok Highway Latest Update: চ্যালেঞ্জের মুখে কলকাতা-ব্যাংকক ত্রিদেশীয় মহাসড়ক, জানালেন জয়শঙ্কর
Kolkata-Bangkok Highway Latest Update: চ্যালেঞ্জের মুখে কলকাতা-ব্যাংকক ত্রিদেশীয় মহাসড়ক, জানালেন জয়শঙ্কর Updated: 07 Aug 2023, 11:27 AM IST Abhijit Chowdhury কলকাতা থেকে সড়কপথে সোজা ব্যাংকক যাওয়া যাবে কবে? এই প্রশ্নের জবাব সুস্পষ্ট ভাবে দিতে পারছে না কেউ। এই প্রকল্পের কাজ অনেকটা এগিয়ে গেলেও বেশ কিছু জট দেখা দিয়েছে। তার জেরেই আটকে পড়েছে কাজ। এমনটাই জনালেন কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। 1/6 ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর সম্প্রতি জানান, কলকাতা-ব্যাংকক ত্রিদেশীয় হাইওয়ে প্রকল্পটি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। মায়ানমারের ওপর দিয়ে যাওয়ার কথা এই মহাসড়কের। তবে সেই দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির জেরেই এই রাস্তার কাজ থমকে বলে জানান তিনি। এদিকে বিদেশমন্ত্রী জানান, সিতওয়ে বন্দরটি সম্প্রতি কাজ শুরু করেছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, এবছরই মায়ানমারের সঙ্গে ভারতের উপকূলীয় শিপিং চুক্তি সম্পন্ন হবে। 2/6 এর আগে গত ১৬ জুলাই ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্ক বৈঠকে বসেছিলেন মায়ানমারের বিদেশমন্ত্রী থান সোয়ের সাথে। মায়ানমারের কর্তাদের সঙ্গে দেখা করে চলমান প্রকল্পগুলি নিয়ে আলোচনা করেছিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। এই বৈঠকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল ভারত-মায়ানমার-থাইল্যান্ড ত্রিদেশীয় মহাসড়কের ওপর। 3/6 জানা গিয়েছে, এই মহাসড়কের ৭০ শতাংশ কাজই প্রায় শেষ। কলকাতা থেকে শুরু করে শিলিগুড়ি ছুঁয়ে এই মহাসড়ক চলে যাবে উত্তরপূর্ব ভারতে। মণিপুরের মোরে হবে ভারতের শেষ। এরপর মায়ানমার হয়ে থাইল্যান্ডের মায়ে সট-এ প্রবেশ করবে এই মহাসড়ক। এই মহাসড়ক করেই সরাসরি কলকাতা থেকে ব্যাংককে যাওয়া যাবে। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরের মধ্যেই এই প্রকল্প শেষ করতে চেয়েছিল সরকার। তবে মায়ানমারের অশান্ত পরিস্থিতির কারণে তা শেষ করা সম্ভব হয়নি। 4/6 তবে আগামী তিন থেকে চার বছরের মধ্যে ওই হাইওয়ে চালু হয়ে যেতে পারে বলে আশাপ্রকাশ করেছে থাইল্যান্ড এবং মায়ানমার সরকার। 'বে অফ বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি-সেক্টরাল টেকনিকাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশন'-র আওতায় নির্মাণ করা হচ্ছে এই হাইওয়ে। এই আবহে মায়ানমারের কর্তাদের তরফে আশা প্রকাশ করা হয়েছিল, আগামী তিন বছরের মধ্যে তাদের দেশের অংশের কাজ শেষ হয়ে যাবে। 5/6 প্রস্তাবিত রুট অনুযায়ী, ব্যাংকক থেকে হাইওয়ে শুরু হবে। থাইল্যান্ডের মধ্যে দিয়ে কিছুটা অংশ অতিক্রম করে সেই হাইওয়ে মায়ানমারে প্রবেশ করবে। তারপর ঢুকে পড়বে ভারতে। উত্তর-পূর্ব ভারতের বিভিন্ন রাজ্য হয়ে পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করবে এটি। নাগাল্যান্ডের কোহিমা, মণিপুরের মোরে, অসমের গুয়াহাটির মতো জায়গা ছুঁয়ে যাবে সেই হাইওয়ে। 6/6 এদিকে থাইল্যান্ডে এই মহাসড়কের কাজ জোর কদমে চলছে বলে জানা গিয়েছে। এই মহাসড়ক চালু হলে পূর্ব ও উত্তরপূর্ব ভারতের সঙ্গে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সংযোগ স্থাপন আরও সহজ হবে। এতে বাণিজ্য বাড়বে। এই অঞ্চলের পর্যটন শিল্প আরও বিকশিত হবে। এই তিন দেশের মানুষের মধ্যে পারস্পরিক আদান প্রদানও বাড়বে। গোটা অঞ্চল সমৃদ্ধ হবে।