শিশুদের জন্য স্কুলের পাঠ্যক্রমে যৌন শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার সুপারিশ করল আইন কমিশন। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পাঠানো রিপোর্টে কমিশনের তরফে বলা হয়েছে, শিশুদের যৌন হেনস্থা এবং এই সংক্রান্ত আরও অন্যান্য বিষয়ে সচেতন করতে প্রচার চালাতে হবে এবং শিশুদের কাছে এই সংক্রান্ত তথ্য তুলে ধরতে হবে।
1/5 এবার স্কুলের সিলেবাসে জুড়তে পারে 'যৌন শিক্ষা' বিষয়টি। জাস্টিস রুতুরাজ অবস্থির নেতৃত্বে গঠিত আইন কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শিশুদের শারীরিক, মানসিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশের জন্য তাদের যৌন নির্যাতনের বিষয়ে সচেতন করা প্রয়োজন। এই আবহে শিশুদের জন্য স্কুলের পাঠ্যক্রমে যৌন শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার সুপারিশ করল আইন কমিশন। রিপোর্টে কমিশনের তরফে বলা হয়েছে, শিশুদের যৌন হেনস্থা এবং এই সংক্রান্ত আরও অন্যান্য বিষয়ে সচেতন করতে প্রচার চালাতে হবে এবং শিশুদের কাছে এই সংক্রান্ত তথ্য তুলে ধরতে হবে।
2/5 আইন কমিশন এই বিষয়ে আরও বলেছে, বিভিন্ন শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তনের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে শিক্ষিত করে তুলতে হবে শিশুদের। পাঠ্যক্রমে এই বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ দেওয়া হয়েছে। কমিশন বলেছে, জাতীয় কিশোর স্বাস্থ্য কর্মসূচির মতো সরকারি প্রকল্পগুলি ব্যবহার করে দেশের কিশোর-কিশোরীদের শিশু যৌন নির্যাতন সম্পর্কে শিক্ষিত করে তোলা উচিত।
3/5 এদিকে বিগত দিনে বহু মামলায় আদালতের তরফে সুপারিশ করা হয়েছিল যৌন সম্মতির বসসীমা কমানোর জন্য। এই আবহে যৌন সম্মতির বয়সসীমা নিয়ে চূড়ান্ত রিপোর্ট তৈরি করে আইন কমিশন। পকসো আইনে যৌন সংসর্গের বয়সসীমা ১৬ বছরে নামিয়ে আনা নিয়ে তীব্র আপত্তি জানিয়েছেন ভারতের আইন কমিশন।
4/5 পকসোর আইনের অধীনে করা একাধিক মামলার প্রেক্ষিতে দেশের বিভিন্ন আদালত পর্যবেক্ষণ করেছে, যৌন সম্মতির বয়স ১৮ বছর থেকে কমিয়ে ১৬ বছর করার জন্য। এই মর্মে চিন্তাভাবনা করে সম্প্রতি নিজেদের চূড়ান্ত রিপোর্ট পেশ করে আইন কমিশন। তাতে একটা সংশোধনী আনার কথা জানিয়েছে তারা। বলা হয়, যদি কোনও মহিলার সঙ্গে যদি কোনও নাবালক উভয়ের সম্মতিতে যৌনতায় লিপ্ত হয় তবে ছেলেটির যেন কম শাস্তি হয়।
5/5 প্রাপ্তবয়স্ক না হয়ে যৌন সঙ্গমে লিপ্ত হলে তা অপরাধ হিসেবে গণ্য হয় দেশে। তা সে উভয়ের সম্মতিতে হলেও তা আইনের চোখে অপরাধ। এই আবহে দেশে বহু ক্ষেত্রেই প্রেমের 'দায়ে' কৈশোরকালেই অনেকের নাম উঠছে অপরাধের খাতায়। যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছিল শীর্ষ আদালতের তরফে। এমনকী এই সংক্রান্ত বিভিন্ন মামলায় অনেক হাই কোর্টও পর্যবেক্ষণে তাদের এই উদ্বেগের কথা প্রকাশ করেছিল। তবে আইন কমিশন এই সংক্রান্ত আইনে শিথিলতা আনতে চায় না।