মলদ্বীপের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক ক্রমেই তলানিতে গিয়ে ঠেকছে। গতবছর সেই দেশের প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন মহম্মদ মুইজ্জু। তিনি চিনপন্থী হিসেবেই পরিচিত। এরপরই তাঁর একের পর এক সিদ্ধান্তের মাধ্যমে দিল্লির সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছে মালের। এই আবহে ভারতের কাছে ক্ষমা চাইলেন সেদেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি।
1/5 সম্প্রতি ভারতে এসেছিলেন মলদ্বীপের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট মহম্মদ নশিদ। ২০০৮ সাল থেকে ২০১২ পর্যন্ত মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ছিলেন তিনি। পরে ২০১৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত মলদ্বীপের সংসদের স্পিকার পদেও দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি। ভারতপন্থী রাজনৈতিক দল মলদ্বীভিয়ান ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সভাপতি হিসেবে দীর্ঘ ৯ বছর ছিলেন নশিদ।
2/5 মলদ্বীপের এহেন বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ ভারতে এসে বলেন, 'মলদ্বীপের জনগণ ভারতের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।' উল্লেখ্য, বিগত কয়েক মাসে ভারত ও মলদ্বীপের মধ্যে একাধিক বার দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে বিভিন্ন বিষয়ে। প্রধানমন্ত্রী মোদীর লাক্ষাদ্বীপ সফর নিয়ে কটাক্ষ করে পদ খুঁইয়েছিলেন মলদ্বীপের তিন মন্ত্রী। এরপরই মলদ্বীপকে বয়কট করার রব ওঠে ভারতে। এর জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেখানকার অর্থনীতি।
3/5 এই আবহে সংবাদসংস্থা এএনআই-কে নশিদ বলেন, 'যা হচ্ছে, তার জেরে মলদ্বীপের ওপরে অনক প্রভাব পড়ছে। আমি বলতে চাই, মলদ্বীপের জনগণ ভারতের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। আমরা চাই যাতে ভারতীয়রা ছুটি কাটাতে মলদ্বীপে আসুক। আমরা তাদের আপ্য়ায়নে কোনও ত্রুটি রাখব না।' এদিকে তিনি আরও দাবি করেন, মুইজ্জু শীঘ্রই 'শান্ত হয়ে যাবেন' এবং তাঁর সরকারের বিদেশ নীতিতে বদল আসবে। ভারতের সঙ্গে আবারও মলদ্বীপের সুসম্পর্ক গড়ে উঠবে বলে আশা ব্যক্ত করেন নশিদ।
4/5 এর আগে বৃহস্পতিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন মহম্মদ নশিদ। মলদ্বীপ থেকে ভারতীয় সেনা প্রত্যাহারের বিষয়টি নিয়ে নশিদ বলেন, 'যখন প্রেসিডেন্ট ভারতকে তাদের সেনা সরাতে বললেন, তখন ভারত কী করল? ভারত কিন্ত আমাদের ওপর জোর খাটায়নি। তারা শান্ত হয়ে আলোচনার বার্তা দিয়েছিল।'
5/5 এদিকে চিনের সঙ্গে মলদ্বীপ সরকারের সাম্প্রতিক প্রতিরক্ষা চুক্তি সম্পর্কে নশিদ বলেন, 'আমার মনে হয় মুইজ্জু কিছু সরঞ্জাম কিনতে চেয়েছিলেন। মূলত রবার বুলেট এবং কাঁদানে গ্যাস। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে সরকার এই সব কেনার প্রয়োজন অনুভব করেছে। বন্দুকের নল দেখিয়ে প্রশাসন চালানো যায় না।'