ডিএ আন্দোলনের মাঝে সম্প্রতি নবান্নে একাধিক দফতরে গিয়ে সরকারি কর্মীদের কাজকর্ম দেখে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগে কখনও এমনটা করতে দেখা যায়নি মমতাকে। তবে বিভিন্ন দফতরে গিয়ে সরকারি কর্মীদের হাজিরা নিয়ে অসন্তুষ্ট হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই আবহে সরকারি দফতরে কর্মীদরে হাজিরা নিয়ে কড়া নির্দেশ দিলেন মমতা।
1/6 জানা গিয়েছে, এবার থেকে সব সরকারি দফতরে কর্মীদের হাজিরার জন্য বায়োমেট্রিক সিস্টেম চালু করা হবে। মুখের ছবি ও আঙুলের ছাপ দিয়ে অফিসে 'লগ ইন', 'লগ আউট' করতে হবে। সরকারি কর্মীরা এর ফলে যখন তখন অফিসে আসতে পারবেন না বা অফিস ছেড়ে যেতে পারবেন না।
2/6 এদিকে সরকারি কর্মীদের কাজ প্রসঙ্গে শুক্রবারের তৃণমূলের শীর্ষ বৈঠকে নাকি তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, 'আগের বাম সরকারের আমলের চেয়ে অনেক বেশি পরিমাণে কাজ হচ্ছে। মানুষকে ঘরে ঘরে পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। সরকারি কর্মচারীরা অধিকাংশই খুব ভাল কাজ করছেন। তবে একাংশ বিরোধী দলের হয়ে নানা ধরনের কুৎসা এবং অপপ্রচার করছেন। আমাদের প্রকৃত তথ্য তুলে ধরতে হবে।'
3/6 এদিকে ডিএ বিতর্ক প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'বাম আমলে মাত্র ৩৩ শতাংশ ডিএ দিত, সেখানে আমাদের সরকার এসে ১০৬ শতাংশ দিচ্ছে। কেন্দ্রের চাকরি ও বেতন, দুটোই আলাদা। রাজ্যে চাকরি করে কেন্দ্রের সমান বেতন দাবি করা অনৈতিক। আমি সীমিত সামর্থ্য মেনে যতটা পারি ডিএ দিয়েছি। কিন্তু একবারও তো কেউ বলছেন না, কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের ন্যায্য বকেয়া পাওনা কেন দেওয়া হচ্ছে না?'
4/6 এর আগে গত ১৬ মার্চ আচমকাই মুখ্যমন্ত্রী নবান্নর ১৪ তলায় যাওয়ার আগে ১২ তলায় লিফট থেকে নেমে পড়েন। এর আগে ১৫ মার্চ পাঁচতলায় গিয়ে স্বরাষ্ট্র দফতরের কাজ কর্ম দেখেছিলেম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১৫ তারিখের সেই 'সাপ্রাইজ ভিজিটে'র সময় নাকি মুখ্যমন্ত্রী জিজ্ঞেস করেছিলেন, '১০ মার্চ কারা কারা আসেননি অফিসে?'
5/6 গত ১৫ তারিখ দুপুর ১২টা ৫ মিনিট নাগাদ নবান্নের পাঁচ তলায় ৪০৩ নম্বর রুমে ও ৪০৪ নম্বর রুমে যান মমতা। সেখানে গিয়ে জানতে চান ১০ তারিখ কারা কারা কাজে আসেননি। প্রসঙ্গত, মমতা যখন সেখানে ছিলেন, তখন স্বরাষ্ট্র দফতরে হাজিরা ছিল মাত্র ২৫ শতাংশ। জানা গিয়েছে, যাঁরা সেই সময় অফিসে উপস্থিত ছিলেন, তাঁরা জানালেন, অসুস্থ থাকার কারণে ৬ জন আসতে পারেননি। বাকি দুই-একজন ছুটিতে রয়েছেন। এরই মাঝে এবার দফতরে হাজিরা নিয়ে বায়োমেট্রিক চালুর সিদ্ধান্ত মমতার।
6/6 এদিকে ধর্মঘটে অংশ নেওয়া কর্মীদের উদ্দেশে সরকারের বিভিন্ন দফতরের তরফে শোকজ নোটিশ জারি করা হয়েছে বিগত কয়েক দিনে। নোটিশে বলা হয়েছে, গত ১০ মার্চ তাঁরা কেন অফিসে আসেননি, তার সন্তোষজনক জবাব না পেলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে তাঁদের বিরুদ্ধে। জবাব সন্তোষজনক না হলে এক দিনের বেতন কাটা যাবে। পাশাপাশি কর্মজীবন থেকে একদিন বাদ পড়বে। পেনশন এবং গ্র্যাচুইটি সহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধায় সামান্য প্রভাব পড়তে পারে এর জেরে।