বেজিং বারবার আলোচনায় সীমান্ত ইস্যুকে সামনে রেখে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চেষ্টায়। বেজিংয়ের এই নীতির প্রেক্ষাপটে দেখে নেওয়া যাক, চিনের আর্থিক পরিস্থিতি।
1/5 য়ব্রিকস সম্মেলেনের শেষে মঞ্চে মোদী ও জিনপিংকে একসঙ্গে আলোচনারত দেখে দক্ষিণ এশিয়ার কূটনীতিতে বেশ দোলাচল দেখা যায়। এদিকে, কী নিয়ে কথা হয়েছে, তা নিয়ে দুই রকমের বার্তা এসেছে দিল্লি ও বেজিংয়ের তরফে। চিনের সঙ্গে সীমান্ত ইস্যুতে কার্যত নিজের অবস্থানেই অনড় রয়েছে দিল্লি। চিন যদিও দুই পক্ষের সম্পর্ক ফের স্বাভাবিক করার দিকে উদ্যোগের হাত বাড়াতে মরিয়া চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, বলে মত বিশেষজ্ঞদের। (ANI Photo)
2/5 বেশ কিছু সূত্রের দাবি, চিন ব্রিকস সম্মেলনের আগে, চেয়েছিল যাতে সম্মেলনের ফাঁকে নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে শি জিনপিংয়ের বৈঠক আয়োজনের। সেই বৈঠক ব্রিকস সম্মেলনের ফাঁকে আনুষ্ঠানিকভাবে আয়োজনের কথা ছিল। তবে প্রধানমন্ত্রী মোদীর কর্মসূচির ব্যস্ততার জেরে সেই বৈঠক সম্ভব হয়নি। এদিকে, বেজিং বারবার আলোচনায় সীমান্ত ইস্যুকে সামনে রেখে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চেষ্টায়। বেজিংয়ের এই নীতির প্রেক্ষাপটে দেখে নেওয়া যাক, চিনের আর্থিক পরিস্থিতি। (ANI Photo)
3/5 সীমান্ত ইস্যুতকে বেজিংয় ভারতীয় সেনার পেট্রোলিং সংক্রান্ত অধিকার নিয়ে কথা বলতে চাইছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, যাতে ফের একবার ভারত ও চিনের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক সুস্থির দিকে যায়, তার জন্যই এই চেষ্টা। দেখা গিয়েছে, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক খাতে গত বছর চিনের ঘাটতি ছিল ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। চলতি বছরের শুরুতেই দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ৪৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঘাটতি দেখা গিয়েছে চিনে। ফলে সেই জায়গা থেকে চিন বারবার ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্বাভাবিকের চেষ্টায়।
4/5 এদিকে, চিন ইস্যুতে কার্যত নিজের অবস্থানে অনড় মোদী সরকার। ইতিমধ্যেই বিরোধীরা বারবার কেন্দ্রকে চিন ইস্যুতে আক্রমণ করেছে। বারবার কংগ্রেস বলছে, লাদাখে পিএলএর পরিস্থিতি কী, তা নিয়ে কেন্দ্রের দাবি 'মিথ্যা'। এই অবস্থায় মোদী সরকার প্রায় সাফ বার্তাই জানান দিচ্ছে। পূর্ব লাদাখ থেকে সম্পূর্ণ ডিসএনগেজমেন্ট ও ডি এসকালেশনেের পরই আলোচনা সম্ভব। এছাড়াও লাদাখে দৌলত বেগ ওল্ডিতে ভারতীয় সেনার সম্পূর্ণ পেট্রোলিং অধিকারের দাবি রাখছে দিল্লি।
5/5 শুধু যে সীমান্ত ইস্যু তা নয়। চিন ঘুরপথে এনএসজি, রাষ্ট্রসংঘের হাত ধরে বারবার ভারতকে কোণঠাসা করতে চাইছে। যে চাপকেও কার্যত খুব একটা ভালোভাবে নিচ্ছে না কেন্দ্র। এই পরিস্থিতিতে মোদী সরকার তার অবস্থান স্পষ্ট করছে, যে কোনও মতেই চিনের কোনও চাপের কাছে দিল্লি মাথা নত করতে প্রস্তুত নয়।