বাংলা নিউজ >
ছবিঘর > Modi on Electoral Bond: '…নিখুঁত নয়', ইলেক্টোরাল বন্ড নিয়ে বড় মন্তব্য মোদীর, সঙ্গে হুঁশিয়ারি বিরোধীদের
Modi on Electoral Bond: '…নিখুঁত নয়', ইলেক্টোরাল বন্ড নিয়ে বড় মন্তব্য মোদীর, সঙ্গে হুঁশিয়ারি বিরোধীদের Updated: 01 Apr 2024, 11:04 AM IST Abhijit Chowdhury 'কোনও স্কিমই নিখুঁত নয়', নির্বাচনী বন্ড নিয়ে এমনই স্বীকারোক্তি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। তামিলনাড়ু ভিত্তিক 'থান্টি টিভি'-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মোদী এই মন্তব্য করেন। পাশাপাশি তিনি ইলেক্টোরাল বন্ড নিয়ে বিরোধীদের হুঁশিয়ার করে দেন। 1/6 ইলেক্টোরাল বন্ড স্কিম নিখুঁ তনয় বলে স্বীকার করে নিয়ে এর পক্ষে যুক্তি দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এক তামিল টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই বিষয়ে মোদী রবিবার বলেন, 'ইলেক্টোরাল বন্ডকে ধন্যবাদ। এখন আমরা তহবিলের উৎস খুঁজে বের করতে পারি। কিছুই নিখুঁত নয়, তবে অপূর্ণতাগুলিকে সমাধান করা যেতে পারে।' 2/6 নির্বাচনী বন্ড নিয়ে বিরোধীদের পালটা তোপ দেগে মোদী বলেন, 'আমি এমন কী করেছি যাতে আমি ব্যাকফুটে যাব? যারা আজকে নাচছে, তারাই পরে মাথা চাপড়াবে। আমি জিজ্ঞেস করতে চাই, ২০১৪ সালের আগের নির্বাচনে কে কোথা থেকে টাকা পেয়েছে, তা কে খুঁজে বের করতে পারবে? তবে আজ মোদী এই ইলেক্টোরাল বন্ড নিয়ে এসেছিল বলেই মানুষে জানতে পারছে যে কোথা থেকে টাকা এসেছে।' 3/6 প্রসঙ্গত, তথ্য অনুযায়ী, বন্ড থেকে রাজনৈতিক দলগুলি যে অনুদান পেয়েছে, তার মধ্যে প্রায় আর্ধেকই গিয়েছে বিজেপির পকেটে। ২০১৯ সালের ১২ এপ্রিল থেকে ২০২৪ পর্যন্ত বিজেপি ৬৯৮৬.৫ কোটি টাকা পেয়েছে। এদিকে ১৪০০ কোটি পেয়ে এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আছে কংগ্রেস। আর তৃণমূল কংগ্রেস তালিকায় তৃতীয় স্থানে আছে। বিজেপির এত পরিমাণ অনুদান নিয়ে বিরোধীরা তোপ দেগেছে। পাশাপাশি বেশ কিছু অনুদানের সঙ্গে ইডি-সিবিআই হানা বা বরাত পাওয়ার 'যোগ' খুঁজে পেয়েছে তারা। তবে পদ্ম শিবির সেই সব অভিযোগকে পাত্তা দিতে নারাজ। 4/6 উল্লেখ্য, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি এক ঐতিহাসিক রায়ের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, নির্বাচনী বন্ড অসাংবিধানিক। এই আবহে ৬ মার্চের মধ্যে নির্বাচনী বন্ড নিয়ে যাবতীয় তথ্য জমা করতে নির্দেশ করা হয়েছিল স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়াতে। তবে এই তথ্য জমা দেওয়ার জন্য আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত সময় চেয়েছিল দেশে সবচেয়ে বড় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক। তবে শেষ পর্যন্ত এসবিআই-এর সেই আবেদন খারিজ করে ১২ মার্চের মধ্যে যাবতীয় তথ্য নির্বাচন কমিনের কাছে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত। 5/6 পরে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর সময় মতো নির্বাচনী বন্ডের তথ্য প্রকাশ করা হলেও বন্ডের ইউনিক নম্বর কমিশনকে দেয়নি এসবিআই। এর জেরে কোন বন্ডের মাধ্যমে কত টাকা কোন দলকে দেওয়া হয়েছে, সেই সংক্রান্ত পুরো তথ্য প্রকাশ্যে আসেনি। পরে সুপ্রিম কোর্টে ফের 'ধমক' খেয়ে সেই সব তথ্য প্রকাশ করতে বাধ্য হয়েছিল স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। 6/6 প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে নির্বাচনী বন্ডের স্কিম আনা হয়। তার পর থেকে কোনও বাধা ছাড়াই বন্ড বিক্রি করা হচ্ছিল দেশে। এদিকে নির্বাচন কমিশনের তরফে সর্বোচ্চ আদালতকে জানানো হয়েছিল, রাজনৈতিক দলগুলির হাতে নগদের অভাব থাকায় নির্বাচনী বন্ড বিক্রির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কমিশনের দাবি, নির্বাচনী বন্ডে কোনও অস্বচ্ছতা নেই। তবে মামলা শেষে সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চ ঐতিহাসিক রায়তে জানিয়ে দেয়, নির্বাচনী বন্ড বিক্রি করে রাজনৈতিক দলগুলি যেভাবে টাকা তুলছে, তা আদতে অসাংবিধানিক।