সদ্য সমাপ্ত জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে এসে হোটেলে 'ঝামেলা' করেন চিনা কূটনীতিকরা। সম্প্রতি প্রকাশিত এক রিপোর্টে এমনটাই দাবি করা হয়েছে। দাবি করা হয়েছে, দিল্লির তাজ হোটেলে একটি অদ্ভূত আকারের রহস্যজনক ব্যাগ নিয়ে এসেছিলেন চিনা কূটনীতিকরা। সেই ব্যাগটিকে খুলে পরীক্ষা করতে দেননি তারা।
1/5 দিল্লিতে জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে আসেননি চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। তাঁর বদলে চিনের প্রতিনিধিত্ব করতে এসেছিলেন সেদেশের প্রিমিয়ার। তাঁর সঙ্গে চিনা কূটনীতিকদের বেশ বড়সড় একটি দল দিল্লিতে এসেছিলেন। তাঁরা সকলেই ছিলেন দিল্লির তাজ হোটেলে। সেখানকার ৭৫টি ঘর তারা ভাড়া করেছিলেন। হোটেলে প্রবেশের সময় এক চিনা কূটনীতিকের কাছে অদ্ভূত আকারের বড় একটি ব্যাগ ছিল বলে জানা গিয়েছে।
2/5 রিপোর্ট অনুযায়ী, চিনা কূটনীতিকদের কাছে একটি রহস্যজনক ব্যাগ ছিল। সেই ব্যাগটি তারা খুলে পরীক্ষা করতে বাধা দেন। 'ডিপ্লোম্যাটিক ইমিউনিটি'র নামে বিনা সিকিউরিটি চেকে সেই ব্যাগটি ঘরে নিয়ে যান তাঁরা। জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটে গত বৃহস্পতিবার। হোটেল কর্তৃপক্ষ ব্যাগটি পরীক্ষা না করে ঘরে নিয়ে যেতে দিলেও সেটির ওপর কড়া নজর রাখা হয়েছিল। পরে সেই বিষয়ে ভারতীয় নিরাপত্তারক্ষীদের অবগত করা হয়েছিল।
3/5 ঘটনা প্রসঙ্গে হোটেলের এক নিরাপত্তারক্ষী বলেন, 'চিনা দূতাবাসের থেকে আসা কূটনীতিকদের সঙ্গে একটি অদ্ভূত আকারের ব্যাগ ছিল। সাধারণ ব্যাগের প্রায় এক ফুট লম্বা ছিল সেই ব্যাগ। বেশ চওড়াও ছিল সেটি। তারা সেই ব্যাগটিকে পরীক্ষা করতে বারণ করেন। ব্যাগটিতে কী আছে, তা মৌখিক ভাবে জানাতেও অস্বীকার করেন তাঁরা।'
4/5 এদিকে ব্যাগটিকে পরে শুক্রবার দিল্লিতে অবস্থিত চিনা দূতাবাসে নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানা গিয়েছে। সেই ব্যাগে কী ছিল, তা এখনও জানা যায়নি। এদিকে হোটেল কর্তৃপক্ষ ঘটনা সম্পরকে জি২০ সম্মেলনের নিরাপত্তাকর্মীদের জানায়। তবে প্রাথমিক ভাবে অনুমান করা হচ্ছে, সেই ব্যাগে কোনও যান্ত্রিক উপকরণ ছিল। এদিকে হোটেলে থাকা চিনা কূটনীতিকরা 'প্রাইভেট নেটওয়ার্ক'-এর দাবি জানায়। হোটেলের ওয়াইফাইতে কাজ করতে তাঁরা অস্বীকার করেন।
5/5 এদিকে সম্প্রতি দিল্লিতে অনুষ্ঠিত জি২০ শীর্ষ সম্মেলনের ঘোষণাপত্র নিয়ে মুখ খোলে চিন। বেজিংয়ের বক্তব্য, এই ঘোষণাপত্র 'ইতিবাচক বার্তা' পাঠিয়েছে। চিনের কথায়, এই ঘোষণাপত্র থেকে বোঝা যাচ্ছে যে এই প্রভাবশালী গোষ্ঠী বিশ্বের চ্যালেঞ্জগুলিকে মোকাবিলা করতে একসঙ্গে কাজ করছে। বিশ্ব অর্থনীতিকে একসঙ্গে এগিয়ে নিতে চায় এই সবকটি দেশ। এই ঘোষণাপত্র চূড়ান্ত করার ক্ষেত্রে চিনও ভূমিকা গ্রহণ করেছে বলে দাবি করে বেজিং।