বাংলা নিউজ >
ছবিঘর > Narendra Modi on comparison with China: 'চিনের সাথে ভারতের তুলনা করবেন না', ভারতের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ তুলে ধরলেন মোদী
Narendra Modi on comparison with China: 'চিনের সাথে ভারতের তুলনা করবেন না', ভারতের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ তুলে ধরলেন মোদী Updated: 22 Dec 2023, 01:16 PM IST Abhijit Chowdhury সাম্প্রতিককালে আন্তর্জাতিক মহলে বারংবারই ভারতের তুলনা টানা হয়েছে চিনের সাথে। এই নিয়ে সম্প্রতি প্রশ্ন করা হয়েছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। ব্রিটিশ সংবাদপত্র ফিন্যানশিয়াল টাইমসের এই প্রশ্নের জবাবে মোদীর অকপট জবাব, 'চিনের সাথে নয়, ভারতের তুলনা টানা হোক অন্যান্য গণতন্ত্রের সাথে।' 1/7 ভারতে দুর্নীতি, প্রশাসনিক বাধা, প্রশিক্ষিত কর্মপ্রার্থীর অভাব, বেকারত্বের মতো ইস্যু নিয়ে মোদীকে প্রশ্ন করেছিল ফিন্যানশিয়াল টাইমস। সঙ্গে ব্রিটিশ সংবাদপত্র চিনের সাথে ভারতের তুলনার প্রসঙ্গও তুলেছিল। এর জবাবে প্রধানমন্ত্রী সাফ বলেন, 'ভারতের তুলনা অন্য গণতন্ত্রের সাথে হওয়া উচিত। আমাদের প্রতিবেশীর সাথে আমাদের তুলনা টানা উচিত না।' পাশাপাশি বেকারত্ব, দুর্নীতির মতো ইস্যু নিয়ে চিন্তার কারণ নেই বলে দাবি করেন মোদী। 2/7 মোদী বলেন, 'এটা মাথায় রাখতে হবে যে এই যে সমস্যার কথা বলা হচ্ছে, সেগুলি যদি সত্যি সত্যি গুরুতর আকার ধারণ করত, তাহলে বিশ্বের দ্রুততম অর্থনীতির তকমা পেত না ভারত। অনেক সময়ই পূর্বধারণা থেকে এই ধরনের সমস্যা আছে বলে মনে করা হয়। সেই পূর্বধারণা বদলাতে বেশ সময় লাগে।' 3/7 নরেন্দ্র মোদী বলেন, 'আমাদের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য একটা সম্পূর্ণ ইকোসিস্টেম রয়েছে। আমাদের দেশের স্বাধীনতাকে ব্যবহার করে সরকারের বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ করছে। প্রতিদিনই সম্পাদকীয়, টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠান, সোশ্যাল মিডিয়া, ভিডিয়ো, টুইটের মাধ্যমে আমাদের বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক আচরণের অভিযোগ করে আসছে।' 4/7 এদিকে ভারতের ২০ কোটি সংখ্যালঘুর ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মুসলিমদের উল্লেখ না করে মোদী পারসিদের অর্থনৈতিক সাফল্যের দিকে ইঙ্গিত করেন। পারসিদের তিনি 'ভারতে বসবাসকারী ধর্মীয় ক্ষুদ্র-সংখ্যালঘু' হিসেবে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, 'বিশ্বের অন্যত্র নিপীড়নের সম্মুখীন হওয়া সত্ত্বেও তারা ভারতে নিরাপদ আশ্রয় খুঁজে পেয়েছে। এখানে তারা সুখে ও সমৃদ্ধিতে বসবাস করছে। এটাই প্রমাণ করে যে ভারতীয় সমাজে কোনও ধর্মীয় সংখ্যালঘুর প্রতি বৈষম্যের কোনও অনুভূতি নেই।' 5/7 এদিকে 'ভারত বিরোধী' মনোভাবাপন্ন মানুষদের উদ্দেশ্যে মোদী বলেন, '১৯৪৭ সালে যখন ব্রিটিশরা ভারত ছেড়ে গিয়েছিল, তখন তারা অনেক ভবিষ্যদ্বাণী করে গিয়েছিল। তবে আমরা সেই ভবিষ্যদ্বাণী এবং তাদের ধারণাকে ভুল প্রমাণিত করেছি।' এদিকে ফিনানিশ্যাল টাইমসের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয় যে বিজেপি নেতারা সাম্প্রতিককালে একাধিকবার মুসলিম বিরোধী বক্তব্য পেশ করেছেন। এদিকে মোদীর মন্ত্রিসভাতেও কোনও মুসলিম সদস্য নেই। 6/7 এদিকে ভারতের গোটা সংবিধান কি বদলে ফেলবে মোদী সরকার? এই নিয়েও মুখ খোলেন প্রধানমন্ত্রী। সংবিধান বদলে ফেলার কোনও সম্ভাবনা নেই বলেই দাবি করলেন মোদী। ব্রিটিশ সংবাদপত্র ফিন্যানশিয়াল টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'সরকার তো রূপান্তরমূলক পদক্ষেপগুলি এমনিতেই নিতে পারছে।' মোদীর কথায়, 'দেশের মানুষ উপলব্ধি করছে যে ভারত নতুন উচ্চতায় ওঠার জন্য তৈরি।' কঠিন প্রশ্নের মুখোমুখি হয়ে মোদী দাবি করেন, দেশের গণতান্ত্রিং মূল্যবোধ এবং সঠিক স্থানে আছে। 7/7 সাক্ষাৎকারে ফিন্যানশিয়াল টাইমস মোদীকে প্রশ্ন করেছিল, 'বিরোধীরা আশঙ্কা করছে, তৃতীয় দফায় যদি বিজেপি বড় ব্যবধানে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করে তাহলে ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ মূল্যবোধকে জলাঞ্জলি দিয়ে হিন্দুরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য নয়া সংবিধান আনা হতে পারে। এই বিষয়ে আপনার কী মতামত?' এই প্রশ্নের জবাবে মোদী বলেন, 'এই ধরনের দাবি আদতে ভারতের জনগণকে অপমান করার সামিল। বৈচিত্র্য এবং গণতন্ত্রের প্রতি ভারতীয়দের অঙ্গীকারকেও অপমান করা হচ্ছে এই ধরনের জল্পনার মাধ্যমে।'