বাংলা নিউজ >
ছবিঘর > No Exams in Lower Classes: কেন্দ্রের পাঠ্যক্রম কমিটির সুপারিশে জল্পনা, নীচু ক্লাসে উঠে যাবে পরীক্ষা?
No Exams in Lower Classes: কেন্দ্রের পাঠ্যক্রম কমিটির সুপারিশে জল্পনা, নীচু ক্লাসে উঠে যাবে পরীক্ষা? Updated: 08 Apr 2023, 03:46 PM IST Abhijit Chowdhury নীচু ক্লাসে পরীক্ষা তুলে দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করল কেন্দ্রের পাঠ্যক্রম কমিটি। জাতীয় পাঠ্যক্রম পরিকাঠামো অনুযায়ী, জাতীয় শিক্ষা নীতি কার্যকর করতে প্রাথমিক স্তরে পরীক্ষা তুলে দিয়ে নয়া পদ্ধতি চালু করতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই পদ্ধতিতে তৃতীয় শ্রেণি থেকে লিখিত পরীক্ষা চালু করা হতে পারে। 1/6 জাতীয় পাঠ্যক্রম পরিকাঠামোর খসড়ায় বলা হয়েছে, মূল্যায়ন প্রক্রিয়া এমন হওয়া উচিত যাতে পড়াশোনাটা কোনও পড়ুয়ার কাছেই অতিরিক্ত বোঝা হিসেবে না মনে হয়। খসড়া অনুযায়ী, ফাউন্ডেশন পর্যায়ে, অর্থাৎ ৩ থেকে ৮ বছরের শিশুদের মূল্যায়ন করতে হবে পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে। একজন শিশু কতটা শিখছে বা যোগ্যতা অর্জন করছে তার মূল্যায়ন করার অনেক উপায় থাকতে পারে। প্রামাণ্য নথির মাধ্যমে শিশুদের অগ্রগতি রেকর্ড করা উচিত। 2/6 এই আবহে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, জাতীয় এবং রাজ্য স্তরে দ্বিতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পরীক্ষা তুলে দেওয়া নিয়ে ২০২২ সালে একটি সমীক্ষা করা হয়েছিল। সেই সমীক্ষার ফল পর্যালোচনা করেই দ্বিতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পরীক্ষা ব্যবস্থা তুলে দেওয়ার পক্ষে সুপারিশ করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের জুলাই মাসে নয়া জাতীয় শিক্ষানীতি ঘোষণা করা হয়েছিল। এরপর গতবছরই প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার কাঠামো বদলের কথা জানিয়েছিলেন শিক্ষা মন্ত্রী। 3/6 এদিকে এই শিক্ষাবর্ষ থেকেই বড় বদল আনতে চলেছে সিবিএসই। ২০২৪ সালের বোর্ড পরীক্ষার জন্য তৈরি প্রশ্নমালার প্যাটার্নও বদলে দেওয়ার ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় বোর্ড। জানানো হয়েছে, লম্বা উত্তররের প্রশ্নের বদলে এমসিকিউ-র ওপর বেশি জোর দেওয়া হবে। জাতীয় শিক্ষা নীতির পথ অনুসরণ করেই এই পদক্ষেপ করবে সিবিএসই। 4/6 ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত হতে চলা দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষাগুলির জন্য নয়া প্যাটার্নে প্রশ্নমালা তৈরি করা হবে। নতুন প্যাটার্নে, সংক্ষিপ্ত এবং দীর্ঘ উত্তরের প্রশ্নের জন্য বরাদ্দ নম্বর কমানো হবে। এদিকে বিষয়ের আরও গভীরে গিয়ে পড়ুয়াদের পড়াশোনা করতে উৎসাহী করতে এমসিকিউ বা বহুনির্বাচনী প্রশ্নের ওপর জোর দেওয় হবে। 5/6 রিপোর্ট অনুযায়ী, ১০ শ্রেণিতে কেস ভিত্তিক এমসিকিউ প্রশ্নের ভাগ ৪০ থেকে বাড়িয়ে ৫০ শতাংশ করা হবে। এদিকে অবজেকটিভ সেকশনেও এমসিকিউ-এর মতোই প্রশ্ন থাকবে। প্রশ্নপত্রে অবজেকটিভ প্রশ্নের জন্য বরাদ্দ থাকবে ২০ শতাংশ নম্বর। এদিকে দীর্ঘ জবাবের প্রশ্নের ভাগ থাকবে ৩০ শতাংশ। আগের শিক্ষাবর্ষে দীর্ঘ জবাবের প্রশ্নের জন্য ৪০ শতাংশ নম্বর বরাদ্দ ছিল। তা এবছর ১০ শতাংশ কমানে হয়েছে। 6/6 এদিকে দ্বাদশ শ্রেণিতে কেস ভিত্তিক এমসিকিউ প্রশ্নের ভাগ ৩০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৪০ শতাংশ করা হবে ২০২৪ সালের পরীক্ষায়। এদিকে অবজেকটিভ সেকশনে এমসিকিউ-এর মতোই প্রশ্ন থাকবে। প্রশ্নপত্রে অবজেকটিভ প্রশ্নের জন্য বরাদ্দ থাকবে ২০ শতাংশ নম্বর। এদিকে দীর্ঘ জবাবের প্রশ্নের ভাগ থাকবে ৪০ শতাংশ। আগের শিক্ষাবর্ষে দীর্ঘ জবাবের প্রশ্নের জন্য ৫০ শতাংশ নম্বর বরাদ্দ ছিল। তা এবছর ১০ শতাংশ কমানে হয়েছে।