বাংলা নিউজ >
ছবিঘর > One Nation, One Vote impact on WB: ২৬-এ বাংলায় যেই জিতুক, সরকারের মেয়াদ হবে ৩ বছর, প্রস্তাব 'এক দেশ, এক ভোট' কমিটির
One Nation, One Vote impact on WB: ২৬-এ বাংলায় যেই জিতুক, সরকারের মেয়াদ হবে ৩ বছর, প্রস্তাব 'এক দেশ, এক ভোট' কমিটির Updated: 14 Mar 2024, 01:45 PM IST Abhijit Chowdhury আজ রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে ১৮ হাজার ৬২৬ পাতার রিপোর্ট জমা করলেন 'এক দেশ, এক ভোট' কমিটির প্রধান তথা দেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। সেই দীর্ঘ রিপোর্টেই প্রস্তাব করা হয়েছে, ২০২৪ সালের পর থেকে সব ভোট যাতে 'সমন্তরাল' করা হয়। 1/5 দীর্ঘ ১৯১ দিনের গবেষণা, আলোচনার পরে এই ১৮ হাজার পাতার রিপোর্ট তৈরি করেছে 'এক দেশ, এক ভোট' কমিটি। রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বে এই কমিটি গঠিত হয়েছিল ২০২৩ সালের ২ সেপ্টেম্বর। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল, ডেমোক্রেটিক প্রগ্রেসিভ আজাদ পার্টি (ডিপিএপি) প্রধান গুলাম নবী আজাদরা এই কমিটির সদস্য ছিলেন। 2/5 এই উচ্চ স্তরের কমিটি বিজেপি, তৃণমূল কংগ্রেস, সমাজবাদী পার্টি, সিপিআই, সিপিআইএম, এআইএমআইএম, আরপিআই, আপনা দল সহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সাথে দেখা করে এই বিষয়ে মতবিনিময় করেছে। তারপরই এই এই রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। এদিকে পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস সহ বিরোধীরা প্রথম থেকেই 'এক দেশ, এক ভোট'-এর এই ধারণার বিরোধিতা করে আসছে। 3/5 এই কমিটির প্রস্তাব, প্রথম ধাপে লোকসভা, বিধানসভার একযোগে ভোট করা হোক। এরপর দ্বিতীয় ধাপে ১০০ দিনের মধ্যে স্থানীয় পঞ্চায়েত বা পুরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। এদিকে কোনও রাজ্যের বিধানসভা যদি ত্রিশঙ্কু হয় বা আস্থা ভাটো সরকারের পতন হয় এবং ভোট অনিবার্য হয়ে পড়ে, তাহলে ফের নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচনে গঠিত সরকারের মেয়াক পাঁচবছরের বাকি সময়ের জন্য থাকবে। 4/5 এদিকে ২০২৪ সালের পর থেকে সব নির্বাচন যেন সমন্তরাল হয়। এর জন্যে কমিটির প্রস্তাব, এরপর থেকে যে যে রাজ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, সেই রাজ্যগুলিতে সরকারের মেয়াদ হবে ২০২৯ সাল পর্যন্ত। অর্থাৎ, পশ্চিমবঙ্গ, অসমের মতো যে সব রাজ্যে ২০২৬ সালে ভোট হবে, সেই সরকারের মেয়াদ থাকবে ২০২৯ সাল পর্যন্ত। অর্থাৎ, পাঁচের বদলে বাংলার পবর্তী সরকারের মেয়াদ হবে ৩ বছর। 5/5 রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বাধীন প্যানেল একযোগে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সরঞ্জাম, জনবল এবং নিরাপত্তা বাহিনীর জন্য আগাম পরিকল্পনার সুপারিশ করেছে। একযোগে নির্বাচন হলে তা স্বচ্ছ হবে, অন্তর্ভুক্তিমূলক হবে বলে দাবি কমিটির। এতে ভোটাররা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ তরবেন এবং নির্বাচন প্রক্রিয়ার আস্থা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে। কমিটির আর বক্তব্য, উন্নয়ন প্রক্রিয়া এবং সামাজিক সংহতিকে উৎসাহিত করবে এক ভোট। এই আবহে সমন্তরালের নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক ভিত্তি আরও হবে।