রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা কিছুটা হলেও দূর হয়েছে। তবে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক সংকট এখনও দূর হয়নি। এই আবহে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফ থেকে ৩ বিলিয়ন ডলারের 'বেইলআউট' প্যাকেজ পাওয়ার কথা ইসলামাবাদের। এর মধ্যে থেকে ১.১ বিলিয়ন ডলার যাতে দ্রুত দেওয়া হয়, তার জন্যই আবেদন জানায় পাকিস্তান।
1/5 রিপোর্ট অনুযায়ী, ৩ বিলিয়ন দলারের সাহায্য প্যাকেজের মধ্যে থেকে ১.১ বিলিয়ন ডলার যাতে দ্রুত দেওয়া হয়, তার জন্য সম্প্রতি পাক আমলারা আইএমএফ কর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন। এই আবহে আমলা স্তরে সেই অর্থ দেওয়ার বিষয়ে ঐক্যমতে পৌঁছানো গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। তবে এর জন্য শর্ত পূরণ করতে হবে পাকিস্তানকে।
2/5 এর আগেও আইএমএফ-এর অর্থ সাহায্য পেতে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছিল ইসলামাবাদকে। বর্তমান পরিস্থিতিতে এই দফার ১.১ বিলিয়ন ডলার দেওয়ার আগে পাকিস্তানের রিভিউ করবে আইএমএফ। সংস্থার আধিকারিক ন্যাথান পোর্টার জানান, পাকিস্তান তাদের অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করতে কী কী কর্মসূচি নিয়েছে, তা খতিয়ে দেখতে দ্বিতীয় এবং চূড়ান্ত রিভিউ করবে আইএমএফ।
3/5 জানা গিয়েছে, গত ১৪ মার্চ থেকে ১৯ মার্চ পর্যন্ত ইসলামাবাদে পাক আমলাদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন আইএমএফ আধিকারিকরা। রিপোর্ট অনুযীয়, আইএমএফ-এর এক্সিকিউটিভ বোর্ডের অনুমোদন পেলে পাকিস্তানকে ১.১ বিলিয়ন ডলার দেওয়া হবে। উল্লেখ্য, গত বছর ১১ এপ্রিল প্রাথমিক ভাবে অর্থ সাহায্যের চুক্তি হয়েছিল পাকিস্তান ও আইএমএফ-এর মধ্যে। এবছর ১১ এপ্রিল সেই চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে। এক্সিকিউটিভ বোর্ডকে তার আগেই অনুমোদন দিতে হবে। নয়ত টাকা পাবে না পাকিস্তান।
4/5 এদিকে আইএমএফ একটি বিবৃতিতে বলেছে, 'বিগত কয়েক মাসে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক হাল কিছুটা হলেও ফিরেছে। তবে তাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার এবারও খুব একটা ঊর্ধ্বমুখী হবে না। এদিকে মুদ্রাস্ফীতির বিষয়টি এখনও সর্বোচ্চ গুরুত্বের।' আইএমএফ জানিয়েছে, এই সমস্যা মেটাতে ইসলামাবদকে সমস্যার আরও গভীরে গিয়ে নীতি পরিবর্তন করতে হবে।
5/5 এদিকে ভারতের তুলনায় পাকিস্তানের অর্থনীতি কোথায় দাঁড়িয়ে, তার একটা আন্দাজ পাওয়া যায় পাকিস্তানি রুপির মূল্যের দিকে নজর দিলেই। আজ, ভারতের ১ লাখ টাকা পাকিস্তানে ৩ লাখ ৩২ হাজার টাকা। এদিকে আজকের দিনে ১ ডলারের মূল্য পাকিস্তানি মুদ্রায় ২৭৬.০৫ টাকা। পাকিস্তানের মুদ্রার দাম যে কতটা পড়ে গিয়েছে, এর থেকেই আন্দাজ লাগানো যায়। অবশ্য গতবছর সেপ্টেম্বরে ভারতের ১ লাখ টাকার দাম পাকিস্তানে ৩ লাখ ৭০ হাজারে উঠে গিয়েছিল। সেখান থেকে কিছুটা ঘুরে দাঁড়িয়েছে পাক অর্থনীতি। তবে এখনও বেহাল দশা জারি।