ভোট হচ্ছে পাকিস্তানে। আর সেদিনই দেশ জুড়ে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। দিনের বেলাতেই কার্যত ‘অন্ধকারে’ ডুবে গেল পাকিস্তান। এদিকে সেদেশের নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধের সিদ্ধান্ত তাদের নয়! তাহলে পড়শি দেশে হচ্ছেটা কি?
1/5 প্রাথমিক ভাবে মনে করা হয়েছিল যে মোবাইল ও ইন্টারনেট পরিষেবা বুঝি কোনও কারণে ব্যাহত হয়েছে পাকিস্তানে। সেই সময় জানা যায়, পাকিস্তানের দ্বিতীয় বৃহত্তম মোবাইল নেটওয়ার্ক প্রদানকারী সংস্থা জং-এর পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে। তবে এরই মাঝে উঠতে থাকে ভোটে কারচুপি করার ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব। এই আবহে প্রাক্তন পিপিপি সেনেটর মুস্তফা নওয়াজ খোকর অভিযোগ করেন, পাকিস্তানের নির্বাচনে রিগিং শুরু হয়ে গিয়েছে।
2/5 এরপরে জানা যায়, পাকিস্তানে মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এজেন্সির নির্দেশেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে বলে জানায় সেদেশের নির্বাচন কমিশন। ইন্টারনেট বা মোবাইল পরিষেবা ব্যাহত করার সিদ্ধান্ত কমিশনের নয় বলে স্পষ্ট করেন কমিশনার সিকন্দার রাজা সুলতান। তবে তিনি আশা ব্যক্ত করেন, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠ হবে।
3/5 এদিকে মোবাইল ও ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরে পিটিআই সেদেশের নেটিজেনের উদ্দেশে বিশেষ বার্তা দিয়েছে। ইমরান খানের দলের আবেদন, শহরে যাতে সবাই নিজেদের ওয়াইফাই থেকে পাসওয়ার্ড সরিয়ে তা ‘ওপেন’ করে দেন, যাতে আশেপাশের সবাই সেই ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারেন।
4/5 এদিকে পাকিস্তানের শীর্ষ স্থানীয় সংবাদপত্র 'ডন'-কে গতকালই পাক টেলিকমিউনিকেশনস অথরিটি বলেছিল, ভোটের দিনে ইন্টারনেট বন্ধের কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি। তবে গতকাল দু'টি পৃথক বিস্ফোরণে ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছিল পাকিস্তানে। এই আবহে নিরাপত্তার অজুহাত দেখিয়ে পাকিস্তানি সেনাই কার্যত মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবস্থা বন্ধ করেছে দেশ জুড়ে।
5/5 এদিকে ইন্টারনেট বন্ধের জন্য পাকিস্তান টেলিকমিউনিকেশনস অথরিটিকে তোপ দেগেছে ইমরান খানের দল পিটিআই। সোশ্যাল মিডিয়ায় এক বার্তায় এই নিয়ে পিটিআই লিখেছে, নির্বাচনের দিনে ইন্টারনেট পরিষেবা নিয়ে পাকিস্তান টেলিকমিউনিকেশন অথরিটির যে পালটি খেল, তা বিশ্বাসঘাতকতা। ফোন পরিষেবা বন্ধ করার অর্থ, নাগরিকদের অধিকারকে ইচ্ছাকৃতভাবে দমন করা। এটা গণতন্ত্রের উপহাস।