পেটিএম পেমেন্টস ব্যাঙ্কের ওপর আগেই খাড়া নেমে এসেছে। তবে এর জেরে কোনও গ্রাহকেরই টাকা 'মার যাবে না'। এদিকে পেমেন্টস ব্যাঙ্ক বন্ধ হতে চললেও পেটিএম-এর কী হবে? যদিও অনলাই পেমেন্ট সংস্থাটি পেমেন্টস ব্যাঙ্কের থেকে আলাদা। তবে বিভিন্ন পরিষেবার জন্য পেমেন্টস ব্যাঙ্কের সঙ্গে যুক্ত ছিল এটি।
1/7 পেটিএম পরিষেবা প্রদান জারি রাখবে বলে আগেই দাবি করেছিলেন সংস্থার প্রধান বিজয় শেখর শর্মা। তবে পেটিএম পেমেন্টস ব্যাঙ্কের ওপর খাড়া নেমে আসায় সংশয়ে গ্রাহকরা। এই আবহে পেটিএম নিয়ে গ্রাহকদের মনে থাকা একাধিক প্রশ্নের জবাব দেবে আরবিআই। তার আগে এনপিসিআই (ইউপিআই পেমেন্ট দেখে), এনইটিসি (ফাস্ট্যাগ পেমেন্ট দেখে), বিবিপিএস (বিভিন্ন বিল পেমেন্ট দেখে)-এর সঙ্গে আলোচনা করছে আরবিআই।
2/7 জানা গিয়েছে, আজ সন্ধ্যা কিংবা আগামিকাল, ১৫ ফেব্রুয়ারি এই সব প্রশ্ন বা FAQ-এর জবাব প্রকাশ করতে পারে আরবিআই। আরবিআই-এর তরফ থেকে বলা হয়েছে, যেই সব ক্ষেত্রে টাকা তোলা যাবে না, সেখানে কীভাবে সুরক্ষিত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পেটিএম গ্রাহকরা নিজেদের টাকা পাঠিয়ে দিতে পারে, তার জন্যেই এই বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে আলোচনা চলছে। এদিকে ইউপিআই পেমেন্ট যাতে কোনও ভাবে ব্যাহত না হয়, তার ওপরেও নজর রাখা হবে।
3/7 আরবিআই কি পেটিএম পেমেন্টস ব্যাঙ্কের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবে? এই জল্পনার মাঝেই আরবিআই গভর্নর শক্তিকান্ত দাস জানিয়ে দিলেন, এমন কোনও পরিকল্পনা এখন তাঁদের নেই। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, 'পেটিএম গ্রাহকদের স্বার্থরক্ষাই আমাদের অগ্রাধিকার।' তিনি বলেন, 'আমরা অনেক আলোচনার পর, অনেক বিশ্লেষণের পর সব সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকি... আমি খুব স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, এই মুহুর্তে পেটিএম সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত পর্যালোচনার কোনও সম্ভাবনা নেই।'
4/7 এর আগে আরবিআই-এর তরফ থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়, ২৯ ফেব্রুয়ারির পর থেকে পেটিএম পেমেন্টস ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট, ওয়ালেট এবং ফাস্ট্যাগ দিয়ে অনলাইনে কোনও টাকা দেওয়া যাবে না। শুধুমাত্র যে গ্রাহকদের অ্যাকাউন্ট বা ওয়ালেটে টাকা থাকবে, তাঁরাই ২৯ ফেব্রুয়ারির পরও অনলাইনে টাকা দিতে পারবেন। যতদিন টাকা থাকবে, ততদিন তাঁরা সেই সুযোগ পাবেন।
5/7 একাধিক রিপোর্ট অনুযায়ী, একই প্যানকার্ডের সঙ্গে ১,০০০-এর বেশি গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট সংযুক্ত থাকা, লাগাতার গুরুত্বপূর্ণ নিয়মের লঙ্ঘন, ভুয়ো রিপোর্ট দাখিল, লাইসেন্সিং শর্তের চূড়ান্ত লঙ্ঘনের মতো কারণে পেটিএম পেমেন্টস ব্যাঙ্কের উপর শাস্তির খাঁড়া নেমে এসেছে। এদিকে তাদের বিরুদ্ধে ইডি তদন্তের দাবি উড়িয়ে দিয়ে পেটিএম দাবি করেছে, অর্থ পাচারের মতো কার্যকলাপের সঙ্গে কোনও ভাবেই যুক্ত না সংস্থা বা কোম্পানির কোনও আধিকারিক।
6/7 গত ৬ ফেব্রুয়ারি আরবিআই আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন পেটিএম প্রতিষ্ঠাতা তথা সংস্থার সিইও বিজয় শেখর শর্মা। সেদিনই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন পেটিএম সিইও বিজয় শেখর শর্মা। এই আবহে ধস নামা পেটিএম-এর শেয়রের গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী হয়েছিল বুধের সকাল থেকে। তবে পরে জানা যয়, বিজয়কে নির্মলা ১০ মিনিটের বৈঠকে জানিয়েছিলেন, আরবিআই-এর সিদ্ধান্তে সরকার কোনও হস্তক্ষেপ করবে না। এরপর ফের ধস নামে পেটিএম-এর শেয়ারে।
7/7 এই কঠিন পরিস্থিতিতে পেটিএম-এর তরফ থেকে করা হয় একটি বড় পদক্ষেপ। রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ৯ ফেব্রুয়ারি পেটিএম একটি পরামর্শদাতা কমিটি গঠন করেছে। আরবিআই-এর যেসব নিয়মাবলী অমান্য করার অভিযোগে পেটিএম-এর ওপর খাড়া নেমে এসেছে, সেই ভুলভ্রান্তি শুধরাতেই নাকি এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, প্রাক্তন সেবি কর্তা এম দামোদরন এই কমিটির শীর্ষ থাকবেন। তিনি পেটিএম-এর বোর্ড অফ ডিরেক্টরদের সঙ্গে কাজ করবেন এই সমস্যার সমাধান সূত্র বের করতে।