দেশকে বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম অর্থনীতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে একের পর এক কাজ করে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। কোভিডকালে ভারতের অর্থনীতি ধাক্কা খেলেও এখন তা ফের একবার ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। এরই মাঝে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাঙ্কের এক রিপোর্টে দাবি করা হল, আর ৭ বছরেই ভারতীয়দের মাথা পিছু আয় বাড়বে ৭০%।
1/5 স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাঙ্কের রিপোর্ট অনুযায়ী, বর্তমানে ভারতের মাথা পিছু গড় আয় ২৪৫০ ডলার। সেই মাথা পিছু আয় ২০৩০ সালে ৪০০০ ডলার ছুঁয়ে ফেলবে বলে আশা ব্যক্ত করা হয়েছে ব্যাঙ্কের রিপোর্টে। ২০৩০ সালের মধ্যে দেশের জিডিপি বেড়ে সাড়ে ৬ ট্রিলিয়ন ডলার হবে বলেও অনুমান করা হয়েছে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাঙ্কের সেই রিপোর্টে।
2/5 রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ২০০১ সালে ভারতের মাথা পিছু গড় আয় ছিল মাত্র ৪৬০ ডলার। সেখান থেকে ২০১১ সালে ভারতীয়দের মাথা পিছু গড় আয় হয় ১৪১৩ ডলার। আর ২০২১ সালে ভারতীয়দের মাথা পিছু গড় আয় গিয়ে দাঁড়ায় ২১৫০ ডলারে। বর্তমানে সেই মাথা পিছু গড় আয় হল ২৪৫০ ডলার। সেই মাথা পিছু আয় ২০৩০ সালে ৪০০০ ডলার ছুঁয়ে ফেলতে পারে বলে দাবি স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাঙ্কের রিপোর্টে।
3/5 এদিকে রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতের গড় মাথা পিছু আয় বৃদ্ধির মূল কারণ রফতানি বৃদ্ধি। ২০৩০ সালের মধ্যে ভারতের রফতানির পরিমাণ দ্বিগুণ হবে বলে অনুমান করা হয়েছে রিপোর্টে। বর্তমানে ভারতের রফতানির মোট পরিমাণ ১.২ ট্রিলিয়ন ডলার। সেই পরিমাণ ২০৩০ সালে ২.১ ট্রিলিয়ন ডলার হতে পারে বলে অনুমান করা হয়েছে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ডের রিপোর্টে।
4/5 এদিকে মাথা পিছু গড় আয়ের নিরিখে বর্তমানে শীর্ষে রয়েছে তেলাঙ্গানা। সেই রাজ্যের মাথা পিছু আয় ২ লাখ ৭৫ হাজার ৪৪৩ টাকা বা ৩৩৬০ ডলার। এরপরই তালিকায় রয়েছে কর্ণাটক। সেই রাজ্যের মাথা পিছু আয় ২ লাখ ৬৫ হাজার ৬২৩ টাকা। এরপর আছে তামিলনাড়ু। সে রাজ্যের মাথা পিছু আয় ২ লাখ ৪১ হাজার ১৩১ টাকা। এরপর কেরল। সেখানকার মাথা পিছু গড় আয় ২ লাখ ৩০ হাজার ৬০১ টাকা। তালিকায় পরবর্তী নাম অন্ধ্রপ্রদেশের। সেই রাজ্যের মাথা পিছু আয় ২ লাখ ৭ হাজার ৭৭১ টাকা।
5/5 এদিকে রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০৩০ সালে রাজ্যগুলির মধ্যে মাথা পিছু আয়ের নিরিখে শীর্ষে চলে যাবে গুজরাট। এরপর তালিকায় একে একে থাকবে মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, কর্ণাটক, হরিয়ানা, তেলাঙ্গানা এবং অন্ধ্রপ্রদেশ। এদিকে উত্তরপ্রদেশ, বিহারের মতো রাজ্যগুলিতে মাথা পিছু আয় বেড়ে ২০০০ ডলার হবে ২০৩০ সালে। গড়ের থেকে অনেকটা কম হলেও বর্তমানের তুলনায় তা হবে দ্বিগুন।