সাম্প্রতিক একাধিক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, লোকসভা ভোটের আগে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম কমতে চলেছে। এই নিয়ে বুধবার প্রশ্ন করা হয়েছিল কেন্দ্রীয় জ্বালানি মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরীকে। জবাবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন, এই মুহূর্তে তেলের দাম কমানো নিয়ে আলোচনা হচ্ছে না সরকারি স্তরে।
1/7 জ্বালানি তেলের দাম কমানোর সম্ভাবনা প্রসঙ্গে বুধবার হরদীপ সিং পুরী বলেন, 'এই সমস্ত মিডিয়া রিপোর্ট অনুমানমূলক। শুধু তাই নয়, আমি ঘুরে ফিরে বলব যে এই রিপোর্টগুলির মাধ্যমে সামান্য দুষ্টুমি চলছে। আমি স্পষ্ট করে দিতে চাই যে জ্বালানি তেল বিপণন সংস্থাগুলির সঙ্গে এই ধরনের কোনও বিষয়ে কোনও আলোচনা হয়নি সরকারের।'
2/7 বুধবার পুরী বলেছেন, 'জ্বালানি তেল যাতে পাওয়া যায়, অস্থির পরিস্থিতিতে সেটা নিশ্চিত করাই হল আমার প্রাথমিক দায়িত্ব।' তিনি দাবি করেন যে জ্বালানি তেলের দাম নিয়ে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলিই নিজেদের সিদ্ধান্ত নেয়। সেইসঙ্গে তিনি বলেন, 'ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করুন, যাতে কোনওরকম অস্থিরতা না আসে। সবকিছু স্বাভাবিক থাকে।'
3/7 এরপর গাজা এবং ইউক্রেন যুদ্ধের উল্লেখ করে হরদীপ পুরী বলেন, 'আমরা খুবই অশান্ত পরিস্থিতির মধ্যে আছি। বিশ্বের দু'টি নির্দিষ্ট এলাকায় সংঘাতের পরিস্থিতি রয়েছে। ২০২৩ সালে এলএনজি কার্গোর ৪ থেকে ৮ শতাংশ এই পথ দিয়ে গিয়েছিল। এবং প্রতিদিন ৮২ লাখ ব্যারেল অশোধিত তেল এই পথ দিয়ে আসে। ঈশ্বর না করুক, যদি কোনও চ্যালেঞ্জের মুখে আমাদের পড়তে হয়, আপনি এর প্রভাব দেখতে পারবেন।'
4/7 উল্লেখ্য, বিগত কয়েক মাসে বিশ্ব বাজারে কমেছিল তেলের দাম। এই আবহে জল্পনা তৈরি হয়, এবার কি ভারতেও পেট্রোল এবং ডিজেলের দাম কমানো হবে? তবে এই সপ্তাহে ২ ডলার করে দাম বেড়েছে অশোধিত তেলের ব্যারেলের। সাম্প্রতিককালে লোহিত সাগর এবং আরব সাগরে ভারতগামী বেশ কিছু জাহাজে হামলা হয়েছে।
5/7 টানা ২১ মাস তেলের দাম অপরিবর্তিত রেখেছে ভারতের তিনটি রাষ্ট্রায়ত্ত জ্বালানি সংস্থা - ইন্ডিয়ান অয়েল, বিপিসিএল এবং এইচপিএসিএল। এর আগে গত অর্থবর্ষে অপরিশোধিত তেলের দাম বাড়লেও ঘরোয়া বাজারে জ্বালানি তেলের দাম হেরফের করা হয়নি। পরবর্তীতে বিশ্ব বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম কমে যায়। এই আবহে শেষ তিনটি ত্রৈমাসিকে লাভের মুখ দেখেছিল ভারতীয় সংস্থাগুলি।
6/7 এদিকে সম্প্রতি রাশিয়া থেকে ভারতের তেল আমদানি কমেছে। লেনদেনের সমস্যার জেরে আমদানি কমতে পারে বলে দাবি করা হয়েছিল রিপোর্টে। এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী জানালেন, ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে লেনদেনে কোনও সমস্যা নেই। তবে আমদানির পরিমাণ যে কমেছে তা অস্বীকার করেননি পুরী। এই ক্ষেত্রে অবশ্য তাঁর দাবি, রাশিয়া থেকে তেল আমদানি কমে থাকলে তা তেলের দামের কারণে কমেছে। তিনি বলেন, ভারতীয় তেল শোধনাগারগুলি সবচেয়ে ভালো রেটে তেল কিনতে চায়। এর জেরেই হয়ত আমদানি কমেছে।
7/7 মন্ত্রীর কথায়, 'যাই হচ্ছে, তার সরাসরি যোগ রয়েছে তেলের দামের সঙ্গে। ভারত সরকারের একমাত্র বক্তব্য হল, সবচেয়ে সস্তা জায়গা থেকে তেল আমদানি করা হবে। দেশের মানুষ যাতে ন্যায্য মূল্যে জ্বালানি কিনতে পারে।' এদিকে লেনদেনের সমস্যা নিয়ে ওঠা দাবি প্রসঙ্গে হরদীপ পুরী দাবি করেন, ভারত রোজ গড়ে ১৫ লাখ ব্যারেল তেল কিনে থাকে রাশিয়ার থেকে। লেনদেনের সমস্যা হলে এত পরিমাণ তেল কী করে ভারত কিনত?