১৯৭৭ সালের পর সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে প্রভিডেন্ট ফান্ডের সুদের হার। এর জেরে মধ্যবিত্তের সঞ্চয়ের পরিমাণ কমতে চলেছে।
1/4প্রভিডেন্ট ফান্ড ডিপোজিটের সুদের হার ৮.৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৮.১ শতাংশ করা হয়েছে। ১১-১২ মার্চ গুয়াহাটিতে ইপিএফও বোর্ডের একটি বৈঠক হয়। সেখানে পিএফ-এর সুদের হার কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর জেরে প্রভাবিত হতে চলেছেন দেশের ৬ কোটি বেতনভোগী কর্মচারী। কর্মজীবী মধ্যবিত্তের সঞ্চয়ের পরিমাণ কমতে চলেছে এর জেরে।
2/4EPFO-র নিয়ম অনুসারে, একজন কর্মচারীর মূল বেতনের কমপক্ষে ১২ শতাংশ বাধ্যতামূলকভাবে প্রভিডেন্ট ফান্ডে সঞ্চয় করার জন্য কেটে নেওয়া হয়। একজন নিয়োগকর্তাকেও আরও ১২ শতাংশ অনুদান দিতে হয় কর্মচারীর পিএফ অ্যাকাউন্টে। কোভিড মহামারী ইপিএফও-এর আয় কমিয়েছিল। EPFO ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে সুদ দিতে বিলম্ব করেছিল। ছবিটি প্রতীকী
3/4উল্লেখ্য, ১৯৭৭-৭৮ সালের পর এটা ইপিএফও-র সর্বনিম্ন সুদের হার। সেবারে ইপিএফও-র সুদের হার ৮ শতাংশে এসে ঠেকেছিল। এর আগে ২০২১ সালের মার্চ মাসে সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ট্রাস্টি ২০২০-২১ অর্থবর্ষের জন্য ইপিএফও আমানতের উপর ৮.৫ শতাংশ সুদের হার ধার্য করেছিল। কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক বোর্ডের প্রস্তাবনাকে অনুমোদন দিলে ঘোষিত হারে সুদ দেওয়া শুরু করবে সংস্থা।
4/4২০১৯-২০ অর্থবর্ষে ইপিএফও-র সুদের হার ২০১২-১৩ অর্থবর্ষের পর থেকে সর্বনিম্ন ছিল। তখন পিএফ-এ সুদের হার ৮.৫ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছিল। এর আগে ইপিএফও তার গ্রাহকদের ২০১৬-১৭ অর্থবর্ষে ৮.৬৫ শতাংশ হারে এবং ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে ৮.৫৫ শতাংশ হারে সুদ প্রদান করেছিল। ২০১৫-১৬ অর্থবর্ষে ইপিএফও তার গ্রাহকদের ৮.৮ শতাংশ হারে সুদ প্রদান করেছিল। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্য মিন্ট)