শেষবার দেশর রেল পরিষেবা থমকে গিয়েছিল ১৯৭৪ সালে। সেবার টানা ২০ দিন ট্র্যাক দিয়ে ছোটেনি কোনও ট্রেন। ২০২৪ সালে ফের একবার সেই দৃশ্যর পুনরাবৃত্তি ঘটতে পারে দেশে। এমনই হুঁশিয়ারি দিলেন রেলকর্মীরা। তবে কেন ৫০ বছর পর ফের ধর্মঘটের পথে হাঁটার ভাবনা রেলকর্মীদের? জবাব: পুরনো পেনশন স্কিম।
1/6 পুরনো পেনশন স্কিমের দাবিতে রেল ধর্মঘট করা হবে কি না, সম্প্রতি এই নিয়ে গণভোট হয়েছিল রেলকর্মীদের সংগঠন সদস্যদের মধ্যে। সিংহভাগ ক্ষেত্রেই রেলকর্মীরা ধর্মঘটের পক্ষে ভোট দিয়েছেন। দেশ জুড়ে নাকি সব জোনের কর্মীদের ৯০ শতাংশর বেশি রেলকর্মী ধর্মঘটের পক্ষে ভোট দিয়েছেন। সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টির পন্থা হিসেবে ধর্মঘটের বিকল্প নেই বলেই মত তাদের।
2/6 এরই মাঝে ইস্টার রেলওয়েমেন ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক অমিত ঘোষ বললেন, কেন্দ্রীয় সরকারকে অনেকবারই আমাদের দাবির কথা জানিয়েছি। তবে সরকার তাতে কর্ণপাত করেনি। এই আবহে এখন আমরা মনে করছি, ধর্মঘটই একমাত্র পথ। তবে ধর্মঘট নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে কেন্দ্রীয় সরকারকে আরও একটা চিঠি লেখা হবে। প্রস্তাবিত ধর্মঘটের ৪৫ দিন আগে সেই চিঠি লেখা হবে। যদি তাতেও কোনও ইচিবাচক জবাব না মেলে, তাহলে আমরা ধর্মঘটই করব।
3/6 দেশের ইতিহাসে ১৯৬০ সালের জুলাই মাসে প্রথমবার ধর্মঘটে গিয়েছিলেন রেলকর্মীরা। আর শেষবারের জন্য ১৯৭৪ সালে ধর্মঘট করেছিলেন রেলকর্মীরা। সেবার টানা ২০ দিন ট্র্যাক দিয়ে ছোটেনি কোনও ট্রেন। ইন্দিরা গান্ধীর সরকার সেবারে বাধ্য হয়েছিল রেলকর্মীদের দাবি মেনে নিতে। তাঁর হস্তক্ষেপে শেষ পর্যন্ত ফের ট্রেন ছুটতে শুরু করেছিল দেশে।
4/6 প্রসঙ্গত, বিগত বেশ কয়েক মাস ধরে জাতীয় পেনশন স্কিম এবং পুরোনো পেনশন ব্যবস্থা নিয়ে রাজনীতি চলছে দেশে। বহু ক্ষেত্রেই সরকারি কর্মীরা পুরনো ব্যবস্থা চালু করার দাবি করেছে। এই আবহে দিল্লিতে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের সমাবেশ হয়েছে। এমনকী আরএসএস-এর অনুমোদন প্রাপ্ত সংগঠনও ওপিএস ফেরানোর দাবিতে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর কাছে দরবার করেছে। সরকারি কর্মীদের বক্তব্য, এনপিএস-এর অধীনে অবসর গ্রহণের পরে তাদের ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তিত তারা।
5/6 প্রসঙ্গত, বিগত বেশ কয়েক মাস ধরে জাতীয় পেনশন স্কিম এবং পুরোনো পেনশন ব্যবস্থা নিয়ে রাজনীতি চলছে দেশে। বহু ক্ষেত্রেই সরকারি কর্মীরা পুরনো ব্যবস্থা চালু করার দাবি করেছে। এই আবহে দিল্লিতে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের সমাবেশ হয়েছে। এমনকী আরএসএস-এর অনুমোদন প্রাপ্ত সংগঠনও ওপিএস ফেরানোর দাবিতে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর কাছে দরবার করেছে। সরকারি কর্মীদের বক্তব্য, এনপিএস-এর অধীনে অবসর গ্রহণের পরে তাদের ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তিত তারা।
6/6 এদিকে কয়েক সপ্তাহ আগেই অষ্টম বেতন কমিশনের দাবিতে রেলকর্মীদের তরফ থেকে চিঠি লেখা হয়েছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। রেল কর্মীদের সংগঠন - ন্যাশনাল ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান রেলওয়েমেনের তরফে এই চিঠি লেখা হয়। রেল কর্মীদের দাবি, এইক্রয়ড সূত্রে বেতন কমাঠামো পর্যালোচনা করা হোক। তাতে মূল্যবৃদ্ধি অনুযায়ী বেতন বৃদ্ধি নিশ্চিত হবে। পাশাপাশি নতুন কমিশনের অপেক্ষা না করে এই ফর্মুলাতেই ম্যাট্রিক্স বদল করা যেতে পারে বলেও সুপারিশ রেলকর্মীদের সংগঠনের। করোনাভাইরাসের কারণে ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত সরকার যে ডিএ দেয়নি, সেটা মিটিয়ে দেওয়ার দাবিও তুলেছেন রেলকর্মীরা।