কয়েক মাস পরেই লোকসভা ভোট। তারইমধ্যে সংরক্ষণের পক্ষে সওয়াল করল রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরআরএস)। সংঘ প্রধান মোহন ভাগবতের সেই সওয়ালের প্রেক্ষিতে আক্রমণ শানিয়েছে কংগ্রেস। হাত শিবিরের দাবি, সংঘের চিন্তাধারায় এখনও সংরক্ষণের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে।
1/5 সংরক্ষণের পক্ষে সওয়াল করলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরআরএস) প্রধান মোহন ভাগবত। তাঁর দাবি, সমাজে যতদিন বৈষম্য আছে, ততদিন সংরক্ষণ ব্যবস্থা চালু রাখতে হবে। পালটা কংগ্রেসের তরফে দাবি করা হয়েছে, সংঘ প্রধানের মাথায় সংরক্ষণের বিরুদ্ধে ‘ষড়যন্ত্র’ চলছে। সনাতন ধর্মেই বিভেদ আছে বলে দাবি করেছে কংগ্রেস। (ছবি সৌজন্যে পিটিআই)
2/5 বুধবার নাগপুরের রবিনগরে একদল পড়ুয়ার সঙ্গে সাক্ষাতের ফাঁকেই সংঘের প্রধান দাবি করেন, সামাজিক অনগ্রসরতা এবং বৈষম্যের ভিত্তিতে সংরক্ষণের বিষয়টি সংবিধানে স্বীকৃত আছে। যতদিন সমাজে বৈষম্য থাকবে, ততদিন সেই সংরক্ষণ ব্যবস্থা চালু রাখা উচিত। (ছবি সৌজন্যে পিটিআই)
3/5 ভাগবত দাবি করেন, সংবিধানে যে সংরক্ষণ ব্যবস্থার উল্লেখ আছে, সেটার পক্ষেই মতপ্রকাশ করে সংঘ। 'যাতে সমাজে সাম্য আসে, সেটা আমাদের নিশ্চিত করতে হবে। বৈষম্যে ইতি টানতে হবে।' সঙ্গে তিনি বলেন, 'হয়ত বৈষম্য একেবারে খোলাখুলি দেখা যায়, হয়ত একেবারে খোলাখুলি বৈষম্য দেখা যায় না, কিন্তু সমাজে বৈষম্য আছে। তাই সামাজিকভাবে বৈষম্যের শিকার হওয়ার মানুষদের যতদিন না বাকি সমাজের স্তরে আনা হচ্ছে, ততদিন সংবিধান স্বীকৃত সংরক্ষণ ব্যবস্থা চালু রাখতে হবে।' (ছবি সৌজন্যে পিটিআই)
4/5 বিষয়টি আরও ব্যাখ্যা করে সংঘের প্রধান বলেন, ‘শুধুমাত্র আর্থিক এবং রাজনৈতিক বৈষম্যে ইতি টানলেই হবে না। সামাজিক বৈষম্য উপড়ে ফেলার বিষয়টিও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই সামাজিক বৈষম্যও উপড়ে ফেলতে হবে।’ (ফাইল ছবি, সৌজন্যে পিটিআই)
5/5 তবে সংঘের প্রধানের সেই মন্তব্য নিয়ে সমালোচনা করেছেন কংগ্রেস নেতা পবন খেরা। তিনি দাবি করেন, সংরক্ষণ নিয়ে সংঘের মাথায় ‘ষড়যন্ত্রের’ যে চিন্তাভাবনা ছিল, সেটা এখনও জীবিত আছে বলে দাবি করেন কংগ্রেসের নেতা। (ফাইল ছবি, সৌজন্যে পিটিআই)