সিইও পদ থেকে স্যাম অল্টম্যানকে সরিয়ে দিল চ্যাটজিপিটি তৈরি করা সংস্থা ওপেনএআই। এই আবহে জোর চর্চা শুরু হয়েছে তাঁকে নিয়ে। এরই মাঝে প্রায় দু'বছর আগে তাঁরই বোনের করা মারাত্মক এক অভিযোগের বিষয় ফের প্রকাশ্যে এসেছে। ভাইরাল হয়েছে স্যামের বোনের করা সেই টুইটগুলি।
1/5 ২০২১ সালে স্যাম অল্টম্যানের বোন অ্যানি অল্টম্যান অভিযোগ করেছিলেন তাঁকে যৌন হেনস্থা করেছে তাঁর দুই দাদা - স্যাম এবং জ্যাক। ২০২১ সালের ১৩ নভেম্বর অ্যানি দীর্ঘ টুইটে অভিযোগ করেছিলেন, তাঁর দুই দাদা মানসিক এবং শারীরিক ভাবে তাঁর ওপর অত্যাচার চালিয়েছেন। তিনি নিজের সোশ্যাল মিডিয়া বার্তায় লেখেন, 'আমি বিশ্বাস করি আরও অনেকেই আমার দাদাদের যৌন হেনস্থার শিকার। আমি আহ্বান করছি, তাঁরা যেন সাহস নিয়ে এগিয়ে আসেন।'
2/5 এরপর চলতি বছরের মার্চ মাসে আরও একটি বিস্ফোরক সোশ্যাল মিডিয় পোস্ট করেছিলেন অ্যানি অল্টম্যান। তাতে তিনি লেখেন, 'আমি আর সেই চার বছর বয়সি সেই মেয়ে নই যার ১৩ বছর বয়সি 'ভাই' বিনা অনুমতিতেই আমার বিছানায় উঠে আসত। আমি অবশেষে এটা মেনে নিয়েছি যে তুমি আমাকে ভয় পাও। আমি তোমাকে যতটা ভয় পাই, তার থেকে বেশি তুমি আমাকে ভয় পাও।'
3/5 প্রসঙ্গত, ৩৮ বছর বয়সি অল্টম্যান খুব অল্প সময়ের মধ্যেই গোটা বিশ্বে পরিচিতি লাভ করেছিলেন চ্যাটজিপিটির দৌলতে। তাঁর সংস্থার তৈরি এই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স চ্যাটবক্স অবাক করা সব কাজ করে দেখিয়েছে বিগত এক বছরে। কবিতা লেখা থেকে শুরু করে গল্প লেখা বা অ্যাপ্লিকেশন লিখে দেওয়া, পরীক্ষার প্রশ্নের জবাব দেওয়ার মতো কাজ সেকেন্ডে করে ফেলে এই চ্যাটবক্স।
4/5 এদিকে পদ খুঁইয়ে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ মুখ খোলেন অল্টম্যান। সংক্ষিপ্ত বার্তায় তিনি লেখেন, 'ওপেনএআই-তে কাজ করার সময়টা আমার দুর্দান্ত কেটেছে। ব্যক্তিগত ভাবে এটা খুব অনন্য এক অভিজ্ঞতা ছিল। আমার সব কিছু বদলে গিয়েছিল। এবং আশা করছি এই পৃথিবীরও কিছুটা এতে বদলেছে। এত জ্ঞানীগুণী মানুষের সঙ্গে কাজ করতে আমার খুবই ভালো লেগেছে।'
5/5 এদিকে চ্যাটজিপিটির সহপ্রতিষ্ঠাতা গ্রেগ ব্রকম্যানকে ওপেনএআই বোর্ড সভাপতি পদ থেকে অপসারিত করার প্রস্তাব পাশ হয় বোর্ডে। তবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, সংস্থায় তিনি থাকবেন। নয়া সিইও-র অধীনে তিনি কাজ করবেন। এরপর নিজে থেকেই সংস্থার প্রেসিডেন্ট পদ ছাড়েন ব্রকম্যান। ওদিকে অল্টম্যানের জায়গায় অন্তরবর্তী সিইও হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সংস্থার চিফ টেকনোলজিকাল অফিসার মীরা মূরতিকে।