বিশ্বের বৃহত্তম ভোগ্যপণ্য সংস্থা নেসলে ভারত সহ বেশ কয়েকটি দেশে শিশু দুধ এবং শস্যজাত পণ্যগুলিতে চিনি এবং মধু মেশাচ্ছে বলে দাবি করা হয়েছে রিপোর্টে। পাবলির আইন নামক এক সংস্থা এই সংক্রান্ত তদন্ত চালায় নেসলের পণ্যগুলির ওপরে। আর সেখান থেকেই এই গুরুতর তথ্য সামনে এসেছে বলে জানা গিয়েছে।
1/5 বাচ্চাদের খাবারে চিনি মিশে আন্তর্জাতিক বিধি লঙ্ঘন করছে নেসলে। এমনই দারি করা হয়েছে পাবলিক আই-এর তদন্ত রিপোর্টে। এদিকে ভারত সহ এশিয়ার বিভিন্ন দেশ, আফ্রিকা এবং লাতিন আমেরিকাতে তাদের পণ্যে নেসলে চিনি মেশাচ্ছে বলে দাবি করা হয়েছে পাবলিক আই-এর রিপোর্টে। এই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতেই নেসলে ইন্ডিয়ার শেয়ারের দর প্রায় ৫ শতাংশ পড়ে গিয়েছে আজ।
2/5 রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ভারতে নেসলের সর্বাধিক বিক্রিত দুটি বেবি-ফুড ব্র্যান্ডে উচ্চ মাত্রায় চিনি রয়েছে। অন্যদিকে যুক্তরাজ্য, জার্মানি, সুইজারল্যান্ড ও অন্যান্য উন্নত দেশে এ ধরনের পণ্য আবার চিনি মুক্ত। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ভারতে ১৫টি সেরেলাক বেবি প্রোডাক্টের সবগুলোতেই প্রতি সার্ভিংয়ে গড়ে প্রায় ৩ গ্রাম চিনি থাকে। এই একই পণ্যটি জার্মানি এবং যুক্তরাজ্যে চিনি মুক্ত। রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২২ সালে ভারতে ২০ হাজার কোটি টাকার সেরেলাক পণ্য বিক্রি করেছে নেসলে। (প্রতীকী ছবি)
3/5 এদিকে নেসলের বেবি-ফুডের প্যাকেটে পুষ্টিগত বৈশিষ্ট তুলে ধরা হয়। অর্থাৎ, খাবারে কতটা ভিটামিন বা খনিজ পদার্থ আছে। এতে চিনির মাত্রা বা পণ্যে ব্যবহৃত উপকরণ সম্পর্কে কোনও স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায় না। অতিরিক্ত পরিমাণ চিনি ও মধু মেশানো থাকায় শিশুরা এই খাবার খেয়ে ওবেসিটি ও অন্যান্য ক্রনিক রোগের শিকার হতে পারেন বলে আশঙ্কা। (প্রতীকী ছবি)
4/5 এদিকে এই সব বেবি-ফুডে অতিরিক্ত চিনি থাকায় শিশুরা তাতে আশক্ত হয়ে পড়তে পারে বলে দাবি করা হয়েছে রিপোর্টে। এই বিষয়ে নেসলে ইন্ডিয়ার মুখপাত্রকে প্রশ্ন করা হলে, তিনি জানান, আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় স্ট্যান্ডার্ড মেনে শিশুদের খাবারে চিনির পরিমাণ কমানো হয়েছে। বিগত ৫ বছরে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত চিনির পরিমাণ কমানো হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
5/5 এদিকে বিতর্কের আবহে মুখ খুলেছে নেসলে। সংস্থার তরফ থেকে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, আমরা সবাইকে আশ্বস্ত করতে চাই যে আমাদের বেবি ফুড পণ্যগুলিতে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ভিটামিন, খনিজ পদার্থ, আয়রন ইত্যাদির মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টি আছে। শৈশবকালের জন্য শিশুর যা যা প্রয়োজন, তা এতে আছে। আমরা কখনই আমাদের পণ্যের পুষ্টির মানের সাথে আপস করি না এবং ভবিষ্যতেও কখনও তা করব না। আমরা ক্রমাগত আমাদের বিস্তৃত গ্লোবাল রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্ককে আমাদের পণ্যের পুষ্টির প্রোফাইল বাড়ানোর জন্য ব্যবহার করে থাকি।